ছবি- প্রতীকী
রোগা হওয়া সহজ নয়। পরিশ্রম করা জরুরি। অনেকে তা করেও থাকেন। জিমে যাওয়া, বাড়িতে শরীরচর্চা করা, নিয়ম মেনে খাওয়াদাওয়া— এগুলি করতেই হয়। অথচ এত কিছুর পরেও অনেক সময়ে সুফল পাওয়া যায় না। চিকিৎসকদের বক্তব্য, অনেক সময়ে শারীরিক কোনও সমস্যা থাকলে চেষ্টা করেও কমতে চায় না ওজন। বিশেষ করে কারও যদি থাইরয়েডের সমস্যা থাকে, সে ক্ষেত্রে অনেক সময়ে বিস্তর চেষ্টা করলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে আসতে চায় না। থাইরয়েড হলে বিপাকীয় হার কিছুটা কমে যায়। ফলে হজমের গোলমালের মতো কিছু কারণে ওজন বাড়তে থাকে। থাইরয়েড হলে বেশ কিছু খাবার আছে, যেগুলি খাওয়া যায় না। তবে কিছু খাবার, থাইরয়েডে ভুগলেও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করবে। রইল তেমন কিছু খাবারের তালিকা।
বাদামের মতো এমন স্বাস্থ্যকর খাবার খুব কম আছে। ছবি-সংগৃহীত
বাদাম
বাদামের মতো এমন স্বাস্থ্যকর খাবার খুব কম আছে। সেলেনিয়াম, জিঙ্ক সমৃদ্ধ বাদাম থাইরয়েডের সমস্যায় অনায়াসে খেতে পারেন। থাইরয়েডে খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণে না রাখতে মোটা হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
ডিম
থাইরয়েডে ডিম খাওয়া যায় না— অনেকেই মনে এমন ধারণা পোষণ করেন। চিকিৎসকরা বলছেন, ডিম খেলে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। বাদামের মতো ডিমেও রয়েছে সেলেনিয়াম, জিঙ্ক। থাইরয়েড রোগীর জন্য ডিম কিন্তু আদর্শ খাবার হতে পারে।
সবুজ শাকসব্জি
শরীর সুস্থ রাখতে শাকসব্জির কোনও বিকল্প নেই। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রোজের পাতে শাকসব্জি রাখার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। ভিটামিন, মিনারেলস এবং আরও অন্যান্য উপকারী পুষ্টিগুণ-সমৃদ্ধ শাকসব্জি নিয়ন্ত্রণে রাখে থাইরয়েডের সমস্যাও। শরীরে থাইরয়েড বাসা বাঁধলে, বেশি করে শাকসব্জি খাওয়ার কথা বলেছেন চিকিৎসক। এতে থাইরয়েডের মাত্র এবং ওজন— দুই-ই নিয়ন্ত্রণে থাকবে।