দিনের যে কোনও সময়ে, কাজের ফাঁকে চোখের পাঁচটি ব্যায়াম করতে পারলেই উপকার মিলবে। ছবি- সংগৃহীত
প্রয়োজনে হোক বা অভ্যাসে, বেশির ভাগ মানুষকেই এখন দিনের মধ্যে ১৮ ঘণ্টা মোবাইল বা ল্যাপটপে চোখ রেখে কাটাতে হয়। কারণ পড়াশোনা, বিনোদন, কেনাকাটা, অফিসের কাজ, সবই এখন অনলাইনে। ফলে কম্পিউটার বা ফোনের স্ক্রিনের দিকে বেশি ক্ষণ তাকিয়ে থাকছেন সকলে। আর তার ফলে বাড়ছে চোখের সমস্যা। একটানা অনেক ক্ষণ চোখের পেশির উপর চাপ পড়লে চোখ থেকে জল পড়া, চোখে ব্যথা হওয়া, ক্লান্তি, মাথা যন্ত্রণার মতো নানা রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে।
কিন্তু নিত্যদিনের কাজ সামলে চোখের উপর আসা বাড়তি এই চাপ ঠেকাবেন কী ভাবে?
চিকিৎসকদের মতে, চোখের পেশির উপর বাড়তি চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে ‘স্ক্রিন টাইম’ কমাতে হবে। কিন্তু যদি কারও পক্ষে তা করা সম্ভব না হয়, সে ক্ষেত্রে একমাত্র উপায় হল নিয়মিত চোখের ব্যায়াম করা। দিনের যে কোনও সময়ে, কাজের ফাঁকে চোখের পাঁচটি ব্যায়াম করতে পারলেই উপকার মিলবে।
কোন কোন ব্যায়ামে চোখের উপর চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়?
১) ঘন ঘন চোখের পলক ফেলা
চোখের সামনে এমন কোনও জিনিস অতর্কিতে এসে পড়লে আপনা থেকেই চোখের পলক পড়ে যায়। এই পলক ফেলার অভ্যাসও কিন্তু চোখের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে বিচ্ছুরিত তীব্র আলো এক ভাবে চোখের উপর এসে পড়লে সমস্যা হতেই পারে। এই সমস্যা থেকে সহজে মুক্তি পাওয়ার উপায় হল বার বার চোখের পলক ফেলা।
২) চোখের মণি ঘোরানো
একটানা চোখের কাজ করলে চোখের পেশির উপর চাপ পড়া স্বাভাবিক। তাই কাজের ফাঁকে ফাঁকেই চোখ বন্ধ করে, চোখের মণি গোল করে চোখের চারদিকে ঘোরান। এক বার বাঁ দিক থেকে ডান দিক, আবার ডান দিক থেকে বাঁ দিকে ঘোরানো অভ্যাস করুন।
৩) একটি রেখা বরাবর চোখের মণি উপর-নীচ করা
চোখের মণি গোল গোল করে ঘোরানোর মতোই এই ব্যায়াম করার সময়ে একটি সরলরেখা বরাবর চোখের মণি উপর থেকে নীচে, নীচ থেকে উপরে এবং বাঁ দিক থেকে ডান দিকে আবার ডান দিক থেকে বাঁ দিকে সঞ্চালন করতে হয়। চোখের পাতা বন্ধ করে এই ব্যায়াম অভ্যাস করলেও কিন্তু চোখের কষ্ট অনেকটাই কমে।
৪) গরম সেঁক দেওয়া
চোখের উপর গরম সেঁক দিলে অশ্রুগ্রন্থি থেকে জল বেরিয়ে আসে। চোখের পেশির চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এই পদ্ধতি অনেকটাই সাহায্য করে। চোখে ব্যথা নিয়ে ব্যায়াম করতে না পারলে গরম সেঁক দিয়ে আগে ব্যথা কমিয়ে নিন। তার পর হালকা ব্যায়াম করুন।
৫) হাতের তালু ঘষে চোখের উপর তাপ দেওয়া
ইংরেজিতে যাকে বলে পামিং। শুরুতে দুই হাতের তালু ভাল করে ঘষতে থাকুন যত ক্ষণ না গরম হয়ে উঠছে। এর পর আলতো করে দু’চোখের পাতার উপর দুই হাতের তালু রাখুন। আরাম পাবেন। অনেক ক্ষণ কম্পিউটার বা ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকলে মাঝেমধ্যেই পামিং করা অভ্যাস করুন।