প্রতীকী চিত্র।
সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে অনেকেই দিন শুরু করেন সূর্য নমস্কারের মতো আসন দিয়ে। যদিও আসনটি দিনের যে কোনও সময়েই করা যেতে পারে। তবে ফিটনেস বিশেষজ্ঞেরা পরামর্শ দেন, ভোরের দিকে এই আসন করলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাওয়া যায়। যদি খোলা জায়গায় প্রকৃতির মাঝে সূর্য নমস্কার করা যায়, তা হলে শরীরের অনেক রোগব্যধি দূরে থাকে। বিশুদ্ধ অক্সিজেন মন ও মস্তিষ্ককেও তরতাজা রাখে। অবসাদ-উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
সূর্য নমস্কারের পদ্ধতি জানুন
সূর্য নমস্কার কী করে করতে হবে তার অনেক ছবি ও ভিডিয়ো এখন ইন্টারনেটে পাওয়া যায়। তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিয়েই সূর্য নমস্কারের প্রতিটি আসন অভ্যাস করা ভাল। ধাপে ধাপে করতে হয় আসন। প্রতিটি আসন নিখুঁত হলে তবেই উপকার পাওয়া যায়।
আসন করার সময় পোশাক নির্বাচনের দিকেও নজর দিতে হবে। এমন পোশাক পরতে হবে, যাতে হাত ও পা বার বার ওঠানামা করাতে, শরীরের বিভিন্ন ভঙ্গিমা করতে অসুবিধা না হয়।
প্রথমে হাতজোড় করে নমস্কার করার ভঙ্গিতে দাঁড়ান।
এ বার দুই হাতের তালু খুব জোরে চাপুন, যাতে বুকের পেশি শক্ত হয়। এর পর অর্ধচন্দ্রাসনের ভঙ্গিতে হাত তুলে পিছনে বেঁকান।
তৃতীয় ধাপে সামনে ঝুঁকে দুই হাতের তালু পায়ের সামনের মাটিতে রাখতে রাখুন।
এই অবস্থায় হাঁটু ভেঙে বসে পড়ুন।
এ বার সেই ভাবে থেকেই ডান পা পিছনে সোজা করে দিন। এমন অবস্থাতেই শরীর টান টান রেখে মাথা তুলে সামনের দিকে তাকান। এর পর বাঁ পা পিছনে সোজা করে দিন।
এ বার ডন বৈঠক করার ভঙ্গিতে হাতে চাপ দিয়ে শরীর নামিয়ে আনুন। ফের সেই অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে উঠুন।
এ বার বাঁ পা পূর্বের ভঙ্গিমায় ভাঁজ করে সামনে নিয়ে আসুন। মাথা নামান। ডান পা ভাঁজ করে সামনে নিয়ে আসুন।
নিতম্ব গোড়ালিতে লাগিয়ে বসুন। আবার নিতম্ব তুলে সোজা রেখে দুই হাতের তালু পায়ের সামনের মাটিতে নামিয়ে আনুন।
সূর্য নমস্কার করলে সারা শরীরের ব্যায়াম হয়। ছবি: সংগৃহীত।
এর পর হাত তুলে অর্ধচন্দ্রাসনের ভঙ্গিতে শরীরে পিছনে বেঁকান।
সেখান থেকে সোজা হয়ে হাতজোড় করে নমস্কার করার ভঙ্গিতে ফিরে আসুন।
এই পুরোটা হল এক বার সূর্য নমস্কার। শ্বাসপ্রশ্বাস স্বাভাবিক রেখে চেষ্টা করুন ৬ বার সব ক’টি আসন করতে।
সূর্য নমস্কার করলে সারা শরীরের ব্যায়াম হয়। রক্ত সঞ্চালন ভাল থাকে। ফুসফুস থেকে হার্ট, লিভার, কিডনি–সব অঙ্গই ভাল থাকবে এই ব্যায়াম করলে। ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল হয়, মনও ভাল থাকে নিয়মিত সূর্য নমস্কার করলে। অনেক জটিল অসুখের ঝুঁকিও কমে যায়।
এই প্রতিবেদন সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা। যে কোনও আসন করার আগেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কোন আসন কী পদ্ধতিতে করবেন তা-ও বিশেষজ্ঞের থেকে ভাল করে জেনে নিন।