স্মৃতিশক্তি বাড়বে কোন খাবারে? ছবি: সংগৃহীত।
সারা বছর পড়াশোনা করালেও পরীক্ষার খাতায় সন্তান পুরোটা উগরে দিতে পারে না। অনেক অভিভাবকের মুখেই এমন আক্ষেপ শোনা যায়। সারা বছর পড়াশোনা করিয়েও যদি পরীক্ষার রেজাল্টে তার প্রতিফলন দেখতে না পাওয়া যায়, তা হলে বাবা-মায়ের দুঃখ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু শিশুদের দোষ দেওয়া যায় না। শিশু মনস্তত্ত্ব বোঝা সহজ নয়। অনেক সময় চেনা পরিবেশে যে কাজগুলি শিশু সহজেই করে ফেলতে পারে, অচেনা-অজানা মানুষের মধ্যে গিয়ে সব কিছুতেই ঘাবড়ে যায়। জানা জিনিসও ভুলে যায়। তবে স্মৃতিশক্তির দুর্বলতাও এর নেপথ্যে রয়েছে। সে ক্ষেত্রে শিশুকে খাওয়াতে পারেন ডার্ক চকোলেট। এমনি সাধারণ চকোলেটের বদলে ডার্ক চকোলেট কিনে দিতে পারেন। কী লাভ হবে তাতে?
ডার্ক চকোলেটের মধ্যে থাকে কোকো, যা মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আসলে কোকোর মধ্যে থাকে প্রচুর মাত্রায় ফ্ল্যাভোনয়েড, যা মস্তিষ্কে রক্তের সঞ্চলনা বাড়িয়ে দেয়। শরীর, মন চনমনে হয়ে ওঠে যার ফলে চিন্তাশক্তি ও কার্যক্ষমতা বেড়ে যায়। অনেক গবেষণায় বলা হয়েছে, দীর্ঘ দিন স্মৃতিশক্তি অটুট রাখতে চকোলেট দারুণ উপকারী।
শিশু ডার্ক চকোলেট খেলে বাড়বে স্মৃতিশক্তি। বাবা-মায়েরাও যদি চকোলেটে ভাগ বসান, তা হলেও মিলবে সুফল। ডার্ক চকোলেট আর কী কী উপকার করে?
১) বার্ধক্যের প্রভাব কমাতেও ডার্ক চকলেটের বিশেষ গুণ রয়েছে। তাই যাঁরা বয়স বাড়ার প্রভাব কমাতে চান, তাঁরা অবশ্যই ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। এটি অ্যান্টি-এজিং এজেন্ট হিসাবে কাজ করে। ডার্ক চকোলেট সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে জেল্লা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
২) যাঁদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে, এমন রোগীরাও ডার্ক চকলেট খেতে পারেন। ডার্ক চকোলেটে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম পাওয়া যায়, যা রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে।
৩) ডার্ক চকোলেট হৃদ্যন্ত্রকে সুস্থ-সবল রাখতেও সাহায্য করে। প্রতি দিন দু’-তিন টুকরো চকোলেট খেলে তা হৃদ্যন্ত্রের জন্য খুব ভাল। ডার্ক চকোলেট রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভাল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকলেই হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমে।