সুস্থ থাকতে খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন শসার বীজ। ছবি: সংগৃহীত
গরমের দিনে শরীরে জলের অভাব দূর করে শসা। এমনিতেও সারা বছরই শসা খাওয়ার চল আছে। স্যালাড হোক বা ডি-টক্স ওয়াটার, শসা থাকবেই। কিন্তু জানেন কি, শসার বীজের উপকার! অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর শসার বীজ। হজমশক্তি বৃদ্ধি থেকে ত্বকের জৌলুস বাড়াতে এর ভূমিকা অপরিসীম।
হজমে সহায়ক
শসার বীজে থাকে ফাইবার। হজমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এই ফাইবার। বিশেষত কোষ্ঠ-কাঠিন্যের সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁরা খাদ্য তালিকায় স্যালাডের সঙ্গে শসার বীজও খেতে পারেন। এতে হজমের সমস্যা দূর হবে, পেট পরিষ্কার থাকবে।
জলের ঘাটতি দূর করে
জলের ঘাটতি শসা যেমন দূর করতে পারে, তেমন শসার বীজও পারে। শসার বীজেও প্রচুর জল থাকে। সঠিকভাবে শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনের জন্য পর্যাপ্ত জল খাওয়া জরুরি। দেহের তাপমাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যও জল খাওয়া দরকার। শসার বীজের জল সেক্ষেত্রেও পরোক্ষ ভাবে সাহায্য করে।
ওজন কমাতে সহায়ক
কম ক্যালোরি ও উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ শসা বীজ ওজন কমাতেও সাহায্য করে। বীজ খেলে দ্রুত পেট ভরে যায়। অথচ বেশি ক্যালোরি শরীরে যায় না। পাশাপাশি এতে থাকা ফাইবার হজম থেকে পেট পরিষ্কারে সাহায্য করে। যা ওজন কমাতে গেলে জরুরি। পাশাপাশি এতে থাকা উপাদান, শরীর থেকে টক্সিন বার করতেও সাহায্য করে।
অ্যান্টি অক্সিড্যান্টস
শসা বীজে থাকে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। যা শরীর ভাল রাখতে কার্যকর। বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধে, হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে অ্যান্টি অক্সিড্যান্টের ভূমিকা আছে। এতে থাকে জিঙ্ক, যা রোগ প্রতিরোধে কার্যকর।
হার্টের জন্য ভাল
শসা বীজে থাকা ম্যাগনেশিয়াম ও পটাশিয়াম যা শরীরের জন্য জরুরি। এই দুই খনিজ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হৃদ্যন্ত্র ভাল রাখতেও কার্যকর।
ত্বকের ঔজ্জ্বল্য
শসার বীজ ভিটামিন ই তে ভরপুর। এ ছাড়াও এতে থাকে ফ্যাটি অ্যাসিড। দু’টি উপাদানই ত্বকের ঔজ্জ্বল্যের জন্য জরুরি। ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বককে ময়শ্চারাইজ় করতে সাহায্য করে।
হাড়ের স্বাস্থ্য
শসার বীজে থাকা ক্যালশিয়াম, ফসফরাসের মতো খনিজ হাড় মজবুত করে। বিশেষত বয়স হলেও হাড় ভঙ্গুর হওয়ার যে প্রবণতা দেখা যায়, তা এড়াতে শসার বীজও খাদ্য তালিকায় রাখা যেতে পারে।
কী ভাবে খাবেন শসার বীজ?
শসার বীজ আলাদা ভাবেই কিনতে পাওয়া যায়। শুকনো খোলায় বা ঘি দিয়ে বীজ রোস্ট করে নিন। যে কোনও রকম স্যালাডে ছড়িয়ে খেতে পারেন।