মৌরি খাওয়ার আছে কোনও সুফল? ছবি: সংগৃহীত।
নিরামিষ তরকারিতে মৌরি ফোড়ন দিলে স্বাদ বেশ অন্য রকম হয়। তবে বাঙালি বাড়িতে মৌরির জনপ্রিয়তা মুখশুদ্ধি হিসাবেই। ভূরিভোজ হোক কিংবা রোজের ডাল-ভাত— খাওয়ার পর মৌরির কৌটোর দিকে ঠিক হাত চলে যায়। রেস্তরাঁয় গেলেও একই জিনিস। খাওয়ার পর বিল মেটানো হয়ে গেলেও অনেকেই শুধুমাত্র মৌরির অপেক্ষায় বসে থাকেন। এক মুঠো মৌরি মুখে দিলে তবে শান্তি। মৌরি দ্রুত হজম করতে সাহায্য করে সেটা ঠিক। খাওয়ার পর মৌরি চিবোলে আর কী কী উপকার পাওয়া যায়?
শ্বাস দুর্গন্ধমুক্ত হয়
খাওয়ার পর ঠিক করে মুখ না ধুলে শ্বাসবায়ুর সঙ্গে আঁশটে গন্ধ বেরোয়। তবে খাওয়ার পর মৌরি খেয়ে নিলে সে সমস্যা আর হয় না। মৌরিতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান, যা মুখের দুর্গন্ধ দূর করে। আমিষ খাবার খাওয়ার পর মৌরি চিবোলে স্বাদের বদলও ঘটে।
শর্কর্রার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে
ডায়াবিটিস থাকলে খাবার খাওয়ার পর মৌরি খেতে পারেন। তাতে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে না। রক্ত চলাচলও স্বাভাবিক রাখে মৌরি। নিয়মিত ইনসুলিন যাঁরা নেন, মৌরি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করলে শারীরিক সমস্যা বিশেষ হবে না।
দৃষ্টিশক্তি প্রখর হয়
চোখের জন্যেও মৌরি উপকারী। মৌরিতে রয়েছে ‘ক্যারোটেনয়েডস’ উপাদান, যা চোখের জ্যোতি বৃদ্ধি করে। চোখে ঝাপসা দেখা, চোখ থেকে জল পড়া কিংবা চোখে ব্যথার মতো একাধিক সমস্যার সমাধান লুকিয়ে মৌরিতে। রোজ না হলেও মাঝেমাঝে মৌরি চিবোলে চোখ ভাল থাকবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে
ওজনের পাল্লা যাতে ভারী না হয় তার জন্য মৌরি খেতে পারেন। মৌরি দীর্ঘ ক্ষণ পেট ভর্তি রাখতে সাহায্য করে। শরীরের কার্বের পরিমাণ কমাতেও মৌরি দারুণ সাহায্য করে। বিপাকহার বাড়িয়ে তুলে মেদ ঝরাতে মৌরির জুড়ি মেলা ভার।