বেশি আদা খেলে বিপদ হতে পারে? ছবি: সংগৃহীত।
সকালের ডিটক্স পানীয় থেকে তরকারি, মাছ কিংবা মাংসের কোনও পদ— সবেতেই আদা দেওয়ার চল রয়েছে। বমি ভাব, মাথাব্যথা, ডায়েরিয়া, সর্দি-কাশি কিংবা ঋতুস্রাবজনিত সমস্যা নিরাময়ে এই কন্দ খাওয়ার পরামর্শ আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বহু পুরনো রেওযাজ।
আদার মধ্যে রয়েছে প্রয়োজনীয় কিছু অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান। সাম্প্রতিক বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই উপাদানগুলি রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল কমাতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, এমনকি শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতেও সাহায্য করে। কিন্তু পুষ্টিবিদেরা বলছেন, অতিরিক্ত আদা খাওয়া শরীরের পক্ষে ক্ষতিকর। আবার, এমন কিছু ওষুধ রয়েছে, যার সঙ্গে আদা খেলেও কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে। জানেন সেগুলি কী?
১. রক্ত পাতলা করার ওষুধ:
আদার মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলি প্রাকৃতিক ভাবেই ‘ব্লাড থিনার’ হিসাবে কাজ করে। তার সঙ্গে কেউ যদি বাইরে থেকে আবার রক্ত পাতলা করার ওষুধ খেয়ে থাকেন, তা হলে কিন্তু হিতে বিপরীত হতে পারে।
২. ডায়াবিটিসের ওষুধ:
ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য ‘ইনসুলিন সেন্সিটিভিটি’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই কাজটি করতে সাহায্য করে আদা। কিন্তু যাঁরা দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ খাচ্ছেন, তাঁদের জন্য আদা বিপজ্জনক হতে পারে। ওষুধ এবং আদা— একত্রে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে কমিয়ে দিতে পারে।
ছবি: সংগৃহীত।
৩. উচ্চ রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখার ওষুধ:
রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতেও নিয়মিত ওষুধ খান অনেকে। তার সঙ্গে অতিরিক্ত আদা খেলে গোল বাধতে পারে। কারণ, আদার মধ্যে থাকা বেশ কিছু উপাদানও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করে। এক সঙ্গে দু’টি জিনিস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে গেলে জটিলতা দেখা দিতেই পারে।
সে ক্ষেত্রে রোজ কতটুকু আদা খাওয়া যেতে পারে?
চিকিৎসকেরা বলছেন, যে ভাবেই আদা খান প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তার পরিমাণ সর্বসাকুল্যে ৪ গ্রাম। অর্থাৎ সকালের আদা দেওয়া চা, তরকারি, মাছ-মাংসের পদ— সব মিলিয়ে ২ চা চামচের বেশি আদা খাওয়া যাবে না।