মাত্র ৩ আসনেই পুরো চাঙ্গা। ছবি: সংগৃহীত।
মহিলারা স্বাস্থ্যসচেতন, তা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই। কিন্তু পেশাগত ব্যস্ততা, সংসারের দায়িত্ব, ব্যক্তিগত জটিলতা, সন্তান সামলানো— এত কিছু একসঙ্গে করে শরীরের দিকে নজর দেওয়ার সুযোগ পান না অনেকেই।
সময়ে না খাওয়া, জল কম খাওয়া, শরীরচর্চা না করা— এগুলিই যেন রোজের অভ্যাস হয়ে দাঁড়ায়। সেই সঙ্গে অত্যধিক শারীরিক পরিশ্রম তো আছেই। যার ফলে হাঁটুতে ব্যথা, অনিয়মিত ঋতুস্রাব, অত্যধিক ব্রণর মতো সমস্যায় ভোগেন মহিলারা।
সুস্থ থাকতে রোজের রুটিনে খানিক বদল আনা জরুরি। তবে সময়ের অভাবে সেটাও যদি না পারেন, তা হলে অন্তত কিছু যোগাসন রোজ করতে হবে। তা হলে অনেক রোগের ঝুঁকি কমবে। ফিট থাকবে শরীর। দৌড়ঝাঁপ করাও অনেক সুবিধাজনক হবে।
ভুজঙ্গাসন
পেটের উপর ভর দিয়ে শুয়ে পড়ুন। পা দু’টি পিছনের দিকে জোড়া অবস্থায় রাখুন। কাঁধের ঠিক নীচে হাত দু’টি রেখে কনুই সোজা রাখুন। এই অবস্থায় শ্বাস নিয়ে মেঝে থেকে শরীর উঠিয়ে বুক চিতিয়ে রাখুন। কাঁধটি সামনের দিকে আনবেন না। এ বার ঘাড় সোজা করে সামনের দিকে তাকান। এই অবস্থায় পাঁচ বার শ্বাস নিন ও শ্বাস ছাড়ুন। তার পর শুরুর ভঙ্গিতে ফিরে যান।
উষ্ট্রাসন
হাঁটু গেড়ে বসুন। পিছনের দিকে খানিকটা হেলে হাত দু’টি দিয়ে পায়ের গোড়ালি ধরুন। এর পর মাথা পিছনের দিকে ঝুলিয়ে দিয়ে ধীরে ধীরে পেটের অংশটা সামনের দিকে এগিয়ে দিন। ডান হাতের বুড়ো আঙুলটি ডান দিকের গোড়ালির ভিতর দিকে রেখে বাকি সব আঙুল বাইরের দিকে রাখুন। বাঁ দিকের ক্ষেত্রেও একই ভাবে রাখুন। পায়ের পাতা মাটিতে রাখুন। স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে শবাসন করে শুরুর অবস্থায় ফিরে যান।
শশাঙ্গাসন। ছবি: সংগৃহীত।
শশাঙ্গাসন
প্রথমে হাঁটু গেড়ে বসুন। তার পর মাথা সামনের দিকে ঝুঁকিয়ে চেষ্টা করুন কপাল দিয়ে হাঁটু ছুঁতে। এ বার হাত দিয়ে দু’পায়ের গোড়ালি ধরুন। স্বাভাবিক শ্বাসপ্রশ্বাস নিন। তার পর ধীরে ধীরে মাথার তালু মাটিতে ছুঁইয়ে দশ বার গুণে ছেড়ে দিন। প্রথমেই এতখানি না পারলে অভ্যাস করলে ধীরে ধীরে পারবেন।