ডায়াবেটিকরা নুডলস খাবেন না? ছবি: সংগৃহীত।
দীর্ঘ দিন ধরেই ডায়াবিটিস রয়েছে। তাই খাওয়াদাওয়ার উপর বিশেষ নজর দিতেই হয়। তবে, কাজে বেরোনোর আগে কিংবা কাজ থেকে ফিরে সব সময় রান্না করতে ইচ্ছে করে না বলে ‘ইনস্ট্যান্ট নুডলস’ দিয়েই কাজ চালিয়ে নেন। পেটও ভরে, রাঁধতে খুব বেশি সময়ও লাগে না। তবে, পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে এই ধরনের নুডলস কিন্তু ক্ষতিকর। স্বাদে মিষ্টি না হলেও এই ধরনের খাবারে শর্করার পরিমাণ অনেকটাই। তাই ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য তা একেবারেই নিরাপদ নয়। তা হলে কি নুডলস খাওয়া ছেড়ে দিতে হবে?
নুডলস বা চাউমিন তৈরির মূল উপকরণ হল ময়দা। ময়দা আসলে কার্বোহাইড্রেট। এই কার্বোহাইড্রেটের মধ্যে শর্করা রয়েছে। ময়দার মধ্যে রয়েছে স্টার্চ, যা সহজে হজম হয়ে যায়। তাই নুডলস খেলে রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। অবশ্য, সব সংস্থার ইনস্ট্যান্ট নুডলসে যে একই রকম কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা থাকবে, তেমনটা নয়। তবে, এই ধরনের নুডলস সাধারণত কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ অনেকটাই বেশি থাকে। ময়দায় গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি। তাই পুষ্টিবিদেরা বলছেন, ময়দার বদলে হোলগ্রেন আটা বা দানাশস্যের আটা দিয়ে তৈরি নুডলস খাওয়া যেতে পারে। এই খাবারের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম হওয়ায় রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়ার ভয় থাকে না। নেটপ্রভাবী এবং পুষ্টিবিদ পূজা শাহ ভাবে বলছেন, এক কাপ নুডলসে যে পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকে, তা একটি রুটির দ্বিগুণ এবং এক কাপ ভাতের দেড় গুণ।
ডায়াবেটিকদের ক্ষেত্রে ‘ইনস্ট্যান্ট নুডলস’ ক্ষতিকর। ছবি: সংগৃহীত।
তা হলে নুডলসের বদলে অন্য কী খাওয়া যেতে পারে?
শুধু নুডলস নয়, ময়দা দিয়ে তৈরি যে কোনও ধরনের খাবারেই কার্বোহাইড্রেট, শর্করা থাকে। তাই একান্ত যদি সেই সব খাবার খেতেই হয়, তা হলে অবশ্যই পরিমাণের দিকে নজর দিতে হবে। সারা দিনে অন্য যে সব খাবার খাচ্ছেন, তার মধ্যে কতটা কার্বোহাইড্রেট রয়েছে, সে সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। তবেই রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হবে।