ছবি: প্রতীকী
বাইরে অঝরে বৃষ্টি পড়ছে। মাঠে কাদা মেখে খেলে বেড়াচ্ছে ছেলেপিলের দল। অথচ ছুটির দিনে জানলার কাচে সেই বৃষ্টির ধারা দেখতে দেখতে হঠাৎ মনটা কেমন যেন হু হু করে ওঠে। অথচ দুঃখ-কষ্ট পাওয়ার মতো খুব যে কিছু ঘটেছে, এমনটাও নয়। নিজের ফেলে আসা ছোটবেলার স্মৃতি মনে পড়েই কি এমন কষ্টের উদ্রেক হচ্ছে? বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মনখারাপের কারণ স্পষ্ট নয়। মনোবিদেরা বলছেন, শুধু বর্ষার ধূসর মেঘ নয়, কারও কারও ক্ষেত্রে কিন্তু গরমের দাবদাহ বা শীতের মলিনতাও মনখারাপের কারণ হতে পারে। চিকিৎসা পরিভাষায় যা ‘সিজ়নাল অ্যাফেক্টিভ ডিজ়অর্ডার’ বা ‘এসএডি’ বলে পরিচিত।
ঋতুভিত্তিক এই অবাদের লক্ষণগুলি কি সাধারণ অবসাদের চেয়ে আলাদা?
অতিরিক্ত মানসিক চাপ থেকেই এ ধরনের অবসাদ জাঁকিয়ে বসে। তার উপর অস্বস্তিকর আবহাওয়া দোসর হিসাবে কাজ করে। মনোবিদেরা বলছেন, কখনও ক্লান্তি, কখনও অনিদ্রা, খেতে ইচ্ছে না করা, সাধারণ কথায় মেজাজ বিগড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। নিজেকে নিয়ে বা নিজের কাজ নিয়ে হতাশা ঘিরে ধরতে পারে। বেঁচে থাকাও অর্থহীন মনে হয় অনেকের।
‘ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ মেন্টাল হেল্থ’ বলছে, শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি ব্যবহারে বা আচরণে পরিবর্তন এই ধরনের অবসাদের অন্যতম একটি লক্ষণ। অকারণে রেগে যাওয়া, অন্যের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা, উদ্বেগ, মনের মধ্যে অহেতুক ভয়ও কারও কারও ক্ষেত্রে এই সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। তবে ‘সিজ়নাল অ্যাফেক্টিভ ডিজ়অর্ডার’ কেন হয়, সে বিষয়ে নিশ্চিত করে কিছু বলা যায় না। অস্বস্তিকর আবহাওয়া যে এই সমস্যা আরও বাড়িয়ে তোলে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
ছবি: প্রতীকী
‘সিজ়নাল অ্যাফেক্টিভ ডিজ়অর্ডার’-এর কি কোনও চিকিৎসা আছে?
আলোর সাহায্যে এই ধরনের অবসাদের চিকিৎসা করা হয়। তা ছাড়াও জীবনধারায় পরিবর্তন আনলে, নিয়মিত শরীরচর্চা করলেও এই সমস্যা খানিকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় বলে জানাচ্ছেন মনোবিদেরা।