যে সব শিশুর অনিয়ন্ত্রিত হৃদ্স্পন্দনের সমস্যা আছে, তাদের জন্য উত্তেজক খেলা ক্ষতিকারক। ছবি : সংগৃহীত
কংক্রিটের জঙ্গলে ভরা শহরে এমনিতেই এখন খোলা জায়গার অভাব। শিশুদের শারীরিক ভাবে সক্রিয় থাকতে ছুটে, দৌড়ে বেড়ানোর কোনও বিকল্প নেই। তাই এই প্রজন্মের শিশুদের কাছে খেলা বলতে মূলত ‘ভিডিয়ো গেম’।
কিন্তু জেনে রাখা জরুরি, ঘরে বসে খেলা এই সব ‘ভিডিয়ো গেম’-ই আপনার সন্তানের হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে। বিশেষ করে যে সব শিশুর অনিয়ন্ত্রিত হৃদ্স্পন্দনের সমস্যা আছে, তাদের জন্য এই সব উত্তেজক খেলা আরও ক্ষতিকর। প্রাণও কেড়ে নিতে পারে বলে মনে করেন চিকিৎসকদের একাংশ।
ছবি : সংগৃহীত
অস্ট্রেলিয়ার ‘দ্য হার্ট সেন্টার ফর চিলড্রেন’-এর চিকিৎসক এবং গবেষকদের মতে, যে সব শিশুর অনিয়ন্ত্রিত হৃদ্স্পন্দনের সমস্যা আছে, তাঁদের জন্য ভিডিয়ো গেম অত্যন্ত বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। কারণ, খেলার সময়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে হার্ট রেটও বেড়ে যায়। এই সময়ে কেউ জ্ঞান হারিয়ে ফেলতে পারে।
গবেষণার জন্য এই দলটি বেশ কয়েকটি কেস পর্যালোচনা করে, এমন ২২ জন শিশুকে শনাক্ত করেছে। তারা ‘মাল্টিপ্লেয়ার ওয়ার’ খেলাটি খেলতে খেলতে খুব উত্তেজিত হয়ে পড়ে এবং কেউ কেউ জ্ঞানও হারায়। খেলা চলাকালীন ক্যাটেকোলামিনার্জিক পলিমরফিক ভেন্ট্রিকুলার ট্যাকিকার্ডিয়া ও টাইপ১ এবং টাইপ২ কনজেনিটাল লং কিউটি সিনড্রোমে আক্রান্ত হতেও দেখা গিয়েছে।
এই রোগের কারণ হিসাবে গবেষকরা অবশ্য শিশুটির পারিবারিক ইতিহাস এবং হৃদ্যন্ত্রের জন্মগত ক্রটির কথাও উল্লেখ করেছেন। অভিভাবকদের উদ্দেশে চিকিৎসকদের একটিই পরামর্শ, উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোনও রকম খেলা, সিনেমা, ছবি থেকে এই রোগে আক্রান্ত শিশুদের দূরে রাখতে হবে।