বয়স সংখ্যামাত্র। অভিনেত্রী শ্রিয়ার ফিটনেসের রহস্য কী? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
দক্ষিণী ছবির দুনিয়ার অভিনেত্রী শ্রিয়া শরণের বলিউড পরিচিতি ‘দৃশ্যম’, ‘দৃশ্যম-২’ ছবির হাত ধরে। আগামী দিনে তামিল কমেডি ছবি ‘সন্দক্করি’-তে দেখা যাবে তাঁকে।
বছর ৪২-এর নায়িকার একের পর এক কাজে মুগ্ধ তাঁর অনুরাগীরা। পেশাজগতের পাশাপাশি সংসারও সামলান তিনি। শ্রিয়া মেয়ের মা-ও। তবু তাঁর সৌন্দর্য চোখে পড়ার মতো। ছিপছিপে শরীর, ত্বক থেকে যেন দ্যুতি বেরোচ্ছে। ৪০ হলেই যেখানে সাধারণত পুরুষ থেকে মহিলাদের অধিকাংশের শরীরে মেদ জমতে শুরু করে, মুখে দেখা যায় বলিরেখা, ক্লান্তি চেপে বসে, সেখানে কী করে এত ফিট তিনি?
এমন প্রশ্ন মনে আসে অনেকেরই। নায়িকারা যে শরীরচর্চা করেন, নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যকর খাবার খান, সে কথা সকলেই জানেন। ব্যতিক্রম নন অভিনেত্রীও। শ্রিয়া এক সাক্ষাৎকারে তাঁর খাওয়া নিয়ে ভাবনার কথা জানিয়েছিলেন। দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় প্রোটিনে জোর দেন অভিনেত্রী।
শুধু পেশিগঠনে নয়, দৈনন্দিন কাজকর্মেও প্রোটিনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। বিশেষত নির্মেদ চেহারা পেতে গেলে প্রোটিন জাতীয় খাবার খুব জরুরি, বলেন পুষ্টিবিদেরা। শ্রিয়াও তেমনটাই মনে করেন। অভিনেত্রী বলছেন, ‘‘আমি বুঝতে পেরেছি, পেশিগঠন, বিপাকহার বৃদ্ধির জন্য প্রোটিন জরুরি হলেও অনেক সময় তা উপেক্ষিত রয়ে যায়। সে কারণেই আমার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় প্রোটিনে জোর দিই। প্রোটিনের চাহিদাপূরণে কাঠবাদাম, ডিম, ইয়োগার্ট, ডাল, কিনোয়া থাকে আমার পাতে। এই সমস্ত খাবারই আমার দৈনন্দিন কাজের শক্তি জোগায়, শরীর চনমনে রাখে।’’
শ্রিয়ার মতো আপনিও যদি এই খাবারগুলি খান, শরীরে কি বদল হবে? কী ভাবে, কখন এগুলি খান অভিনেত্রী?
কাঠবাদাম: এতে শুধু প্রোটিন নয়, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন এবং খনিজ মেলে। শ্রিয়ার কথায়, ‘‘কাঠবাদাম স্ন্যাক্স হিসেবে ভাল। মাঝেমধ্যে খিদে পেলে আমি কয়েকটা বাদাম খাই। কাঠবাদাম পেট ভরায়, আবার প্রয়োজনীয় শক্তিও জোগায়।’’ শরীরচর্চার আগে এবং পরে খাওয়ার জন্যও কাঠবাদাম ভাল। স্মুদির সঙ্গেও কাঠবাদাম মিশিয়ে খান অভিনেত্রী।
গ্রিক ইয়োগার্ট: প্রোটিন এবং প্রোবায়োটিকের জোগান দেয় গ্রিক ইয়োগার্ট। প্রোবায়োটিক গাট হেল্থ বা পেটের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। ক্রিমের মতো ইয়োগার্ট ফল এবং বাদামকুচি মিশিয়ে খান শ্রিয়া। কখনও আবার স্মুদি, স্যালাড ড্রেসিংয়েও ইয়োগার্ট মিশিয়ে নেন। স্ন্যাক হিসেবে, আবার কখনও ভরপেট খাওয়ার সময়েও ইয়োগার্ট খান অভিনেত্রী।
ডাল: উদ্ভিজ্জ প্রোটিনের অন্যতম উৎস হল ডাল। এতে ফাইবার ছাড়াও ভিটামিন, খনিজ মেলে। কখনও ভাতের সঙ্গে ডালের স্যুপ খান শ্রিয়া। আবার স্যালাডে অঙ্কুরিত মুগডালও মিশিয়ে নেন।
ডিম: ডিমে মেলে অত্যন্ত ভাল মানের প্রোটিন। শ্রিয়া বলছেন, ‘‘পোচ, স্ক্র্যাম্বলড বা কখনও সব্জি দিয়ে স্যতে করা ডিম খাই আমি।’’ দিনভর কাজের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি জোগাতে সাহায্য করে ডিম। ব্যস্ত দিনে তিনি অ্যাভোকাডো টোস্ট এবং ডিম খেয়ে বেরিয়ে পড়েন।
কিনোয়া: ‘সুপার ফুড’ বলে পরিচিত কিনোয়া শুধু প্রোটিন নয়, ফাইবার, ভিটামিন এবং খনিজেও পূর্ণ। এটি গ্লুটেন ফ্রি, অর্থাৎ রক্তে চট করে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দেয় না। শ্রিয়ার কথায়, ভাতের বদলে কিনোয়া খাওয়াই যায়।