মোটা হয়ে যাওয়ার ভয়ে বিয়ে বাড়ি যাওয়া বন্ধ করবেন না। ছবি: সংগৃহীত।
সদ্য উৎসব পেরিয়েছে। উৎসবের অনিয়ম কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই শীতকাল চলে এসেছে। শীতকাল হল বিয়ের মরসুম। বাড়িতে থরে থরে জমা হচ্ছে নিমন্ত্রণের চিঠি। নিমন্ত্রণ রক্ষাও করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে প্রায় প্রতি দিনই চলছে রাজকীয় ভূরিভোজ। বিয়ে বাড়ির ভোজ মানে তেল-মশলায় মাখামাখি। সেই সঙ্গে শেষ পাতে বাহারি মিষ্টি, আইসক্রিম তো আছেই। রসনাতৃপ্তি হলেও বেহাল হচ্ছে শরীরের অবস্থা। গ্যাস-অম্বল তো নিত্যদিনের সঙ্গী। সেই সঙ্গে বাড়ছে ওজনও। কোলেস্টেরল, থাইরয়েডের মতো ক্রনিক সমস্যা থাকলেও বাড়াবাড়ি পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। তবে রোগবালাইয়ের ভয়ে বিয়েবাড়ি যাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে, সেটাও ঠিক নয়। তাই রোজ রোজ বিয়েবাড়ির খাবার খেয়েও সুস্থ থাকা সম্ভব, যদি কয়েকটি নিয়ম মেনে চলা যায়।
১) শুধু খাওয়াদাওয়া করলেই চলবে না। সেই সঙ্গে শরীরচর্চাও করতে হবে। তা হলে বজায় থাকবে ভারসাম্য। খাওয়াদাওয়ায় রাশ টানতে না চাইলে শরীরচর্চা করতেই হবে।
২) বিয়েবাড়ি গিয়ে লোভনীয় খাবার চোখের সামনে দেখে নিজেকে সামলানো কঠিন। তবে অন্য সময় একটু বুঝেশুনে খাওয়াদাওয়া করা জরুরি। ফাইবার, প্রোটিন, অল্প পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট খেতে পারলে ভাল। তবে মিষ্টি, চিনি মেশানো নরম পানীয় এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।
৩) প্রচুর জল খেতে হবে। শরীরে জলের পরিমাণ কমে গেলে হজমের গোলমাল দেখা দিতে পারে। জলের অভাবে শরীরের চনমনে ভাবও কমে যায়। শীতে জল খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিলে চলবে না। তা ছাড়া পরিমাণ মতো জল খেলে ত্বকও জেল্লাদার হবে।
পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোনোও জরুরি। ছবি: সংগৃহীত।
৪) পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমোনোও জরুরি। ঘুম কম হলে শরীর ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ে। তখন কোনও নিয়ম মেনেই আর লাভ হয় না। সুস্থ থাকতে চাইলে ঘুমোতে হবে।
৫) অবসাদ, উদ্বেগও ওজন বেড়ে যাওয়ার কারণ। তাই মানসিক স্বাস্থ্যেরও খেয়াল রাখতে হবে। মানসিক ভাবে আনন্দে থাকলে সুস্থ থাকা সহজ হয়ে যায়। দেদার অনিয়মেও রোগবালাই ছুঁতে পারে না।