কোন ফল খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমবে? ছবি: সংগৃহীত।
একে, হাতে-পায়ে, আঙুলে, গাঁটে ব্যথা, তার উপরে খাওয়া নিয়েও বিধিনিষেধ! ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে গাঁটের ব্যথার মতো শারীরিক কষ্ট তো থাকেই, একই সঙ্গে খাদ্যতালিকা থেকে বাদ পড়ে যায় পালংশাক, বিনস, বরবটি, শিম, রাজমা-সহ বেশ কয়কটি সব্জি। মাছ-মাংস, ডিম খাওয়াও হয়ে যায় পরিমিত। এই সমস্যায় যাঁরা ভুগছেন তাঁদের অনেকেরই প্রশ্ন, ‘তবে খাবটা কী!’
শরীর ভাল রাখতে বরং ভরসা রাখুন কয়েকটি ফলে। প্রতি দিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একটি করে ফল খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে ইউরিক অ্যাসিড।
তরমুজ
এই ফলে থাকে ভিটামিন এ, সি, বি৬-সহ বিভিন্ন ভিটামিন। এতে থাকে সিট্রুলাইন নামে উপাদান, যা শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে ও কিডনির স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে।
আনারস
এই ফলও বেশ সুস্বাদু। আনারসে থাকে রকমারি ভিটামিন, প্রয়োজনীয় খনিজ ও ব্রোমেলেন নামে এক ধরনের উৎসেচক। এই উৎসেচকই ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।
কিউয়ি
টক-মিষ্টি স্বাদের কিউয়ির উপকারিতা অনেক। ভিটামিন সি ও ফাইবারে সমৃদ্ধ এই ফলটি ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা হ্রাসে কার্যকরী।
ব্লুবেরি
ছোট ছোট ফলটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর। এতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন্স ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমাতে সহায়ক। এই ফলের অনেক গুণ। সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে ব্লু বেরি।
কমলালেবু
এ ফল মূলত শীতে পাওয়া যায়। খেতেও সুস্বাদু। ভিটামিন সি ও সাইট্রিক অ্যাসিডে ভরপুর ফলটি। শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে গেলে তা অস্থিসন্ধি ও মূত্রনালিতে থিতিয়ে পড়ে। থিতিয়ে পড়া ইউরিক অ্যাসিড ‘ক্রিস্টালের’ আকার নেয়। কমলালেবুতে থাকা উপাদান ইউরিক অ্যাসিডকে ক্রিস্টালে পরিণত হতে বাধা দেয়।
আপেল
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিনে ভরপুর আপেলও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
চেরি
ইউরিক অ্যাসিড কমাতে সাহায্য করে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর এই ফলটিও।