স্নানঘরের তিন জিনিস বাদ দিতে বলছেন চিকিৎসক। কী সেগুলি? ছবি:ফ্রিপিক।
ভাল থাকা শুধু পুষ্টিকর খাওয়া বা শরীরচর্চার সঙ্গে যুক্ত নয়। দৈনন্দিন অভ্যাস এবং জিনিসপত্র ব্যবহারেও ভুলভ্রান্তির সঙ্গেও তার যোগ রয়ে যায়। নিয়মিত ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় জিনিসও হতে পারে অসুখের কারণ, ডেকে আনতে পারে বিপদ বলছেন সমাজমাধ্যম প্রভাবী গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজিস্ট সৌরভ শেঠি। ভাল থাকার উপায় বাতলাতে গিয়ে স্নানঘরের তিন জিনিস বাদ দিতে বলেছেন তিনি। কী সেই জিনিস? কেনই বা তা বাতিল করা জরুরি?
১. তিন মাসের বেশি ব্যবহৃত দাঁত মাজার ব্রাশ অবিলম্বে ফেলে দেওয়ার পক্ষপাতী চিকিৎসক। কারণ বার বার ব্যবহার করতে গিয়ে ব্রাশের দাঁড়াগুলি বা ব্রিসল্স আলগা হয়ে যায়। পুরনো, আলগা দাঁড়ার যেমন দাঁত পরিষ্কারের ক্ষমতা কমে যায়, তেমনই তাতে ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। সে কারণেই বলা হয়, একটি দাঁত মাজার ব্রাশ মাস তিনেকের বেশি ব্যবহার করা ঠিক নয়।
২. স্নানঘরে রেজ়ার সযত্নে না রাখলে তাতে যেমন ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে, তেমনই ভোঁতা ব্লেড ত্বকের পক্ষেও ক্ষতিকর। চিকিৎসক বলছেন, একই রেজ়ার সর্বোচ্চ ৬-৭ বার ব্যবহার করা চলে। ধার কমে যাওয়া রেজ়ার ব্যবহারে ত্বকে জ্বালা, চুলকানি হতে পারে। পরিচ্ছন্নতার অভাব থাকলে সংক্রমণ ঘটাও অসম্ভব নয়।
৩. অনেকেই মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে, মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে মাউথওয়াশ ব্যবহার করেন। অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল মাউথওয়াশেরও ক্ষতিকর দিক রয়েছে। চিকিৎসক বলছেন, মাউথওয়াশ ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়ার পাশাপাশি ভাল ব্যাক্টেরিয়া মেরে ফলে। শরীরে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে।
সুতরাং সুস্থ থাকতে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। পাশাপাশি ব্যবহার্য জিনিসের উপকার, অপকার সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকা দরকার।