বেশি। কোঁকড়া চুল সম্পর্কে অনেকেই নানা রকম ভুল ধারণা রাখেন। ছবি: সংগৃহীত
কোনও অনুষ্ঠান বাড়ি কিংবা পার্টিতে যাওয়ার আগে অনেকেই সাজে একটু বদল আনতে কার্লার দিয়ে চুল কোঁকড়া করে নেন। অনেকের আবার প্রকৃতিগত ভাবেই কোঁকড়া চুল। কোঁকড়া চুল যেন মুখের গড়নটাই পাল্টে দেয়! দেখতে সুন্দর লাগলেও এই চুল সামলানো ঠিক ততটাই মুশকিল! বিশেষ করে গরমের দিনে জট পড়ার প্রবণতাও এ ক্ষেত্রে অনেকটাই বেশি। কোঁকড়া চুল সম্পর্কে অনেকেই নানা রকম ভুল ধারণা রাখেন। তাতে সমস্যা আরও বেড়ে যায়।
কোঁকড়া চুলের যত্নে কোন ভুলগুলি এড়িয়ে চলবেন?
১) অনেকেই মনে করেন কোঁকড়া চুলে শ্যাম্পু করার আগে জট ছাড়ানোর প্রয়োজন পড়ে না! এই ধারণা একেবারেই ভুল। কোঁকড়ানো চুলে ব্রাশ ব্যবহার করা উচিত না। শ্যাম্পু করার আগে বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ভাল করে চুল আঁচড়ে নিন। জট ছাড়াতে প্রয়োজন পরলে সিরাম বা গরম তেলও ব্যবহার করতে পারেন। চুলের জট ভাল করে ছাড়িয়ে তবেই শ্যাম্পু করুন। নইলে চুল ঝরার সমস্যা বেড়ে যাবে।
২) সদ্য পার্লার থেকে চুল কোঁকড়া করে এসেছেন? ভাবছেন ঘন ঘন চুল আঁচড়ালে চুল আবার সোজা হয়ে যাবে? এই ধারণা ভুল। কোঁকড়া চুলে বেশি জট পড়ে। চুল ভাল করে না আঁচরালে চুলের জট ছাড়াতে কালঘাম ছুটে যায়! বড় দাঁতে কাঠের চিরুনি দিয়ে বারবার চুল আঁচড়ালে চুলে জটও পড়বে না আর চুল ঝরাও বন্ধ হবে।
প্রতীকী ছবি
৩) অনেকের ধরণা কোঁকড়া চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুল সোজা হয়ে যেতে পারে। এমনটা ভাবার কিন্তু কোনও কারণ নেই। সাময়িক ভাবে কার্লার দিয়ে চুল কোঁকড়া করলে এমনটা হয়। তবে আপনার চুল যদি প্রকৃতিগত ভাবেই কোঁকড়া হয় তা হলে কিন্তু চুলের যত্নের জন্য কন্ডিশনিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কন্ডিশনার চুলের কোষ রক্ষা করার পাশাপাশি, পরিবেশগত ক্ষতির হাত থেকেও সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করে। শ্যাম্পু করার পরও কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না যেন।
৪) কোঁকড়া চুলে রং করলেই চুলের বারোটা বাজবে— এই ধারণা অনেকেরই। ভাল মানের রং ব্যবহার করলে এবং রং করার পর সঠিক পদ্ধতিতে চুলের যত্ন নিলে চুলের কোনও ক্ষতি হয় না। সবটাই নির্ভর করছে আপনি কী ভাবে চুলের পরিচর্যা করছেন তার উপর।
৫) অনেকে আবার মনে করেন কোঁকড়া চুল বাড়তে সময় লাগে। আসলে কোঁকড়া চুল বাড়লেও তা গুটিয়ে থাকে তাই সহজে বোঝা যায় না।