শব্দ জব্দ ২০২৩-এর মঞ্চ (প্রত্যুষা আজমি )। নিজস্ব চিত্র।
গত বছর আনন্দবাজার অনলাইন আয়োজিত 'শব্দ- জব্দ ২০২৩'-এ শব্দের লড়াইয়ে অংশগ্রহণ করেছিল আমার স্কুল। প্রায় দু’মাস ধরে শব্দের বিভিন্ন খেলা নিয়ে 'শব্দবাজি'র পক্ষ থেকে 'শব্দ-জব্দ'-এর দাদা দিদিরা আমাদের স্কুল চকগোপাল সারদা বিদ্যাপীঠ ফর গার্লস-এ হাজির হয়েছিলেন। তখন থেকেই আমরা একেবারে নতুন এক অভিজ্ঞতার শরিক।
বাংলা শব্দ নিয়ে বিভিন্ন খেলা, কুইজের পরে আমাদের জানানো হয়, 'শব্দ-জব্দ'-এর চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার জন্য আমাদের বিদ্যালয়কে নির্বাচিত করা হয়েছে। মনে একরাশ উত্তেজনা ও আনন্দ নিয়ে তাই ২৭ জুলাই পৌঁছে গিয়েছিলাম রবীন্দ্র সদনে।
'শব্দ-জব্দ' ২০২২-এ প্রথম অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু সে বছর আমার স্কুল অংশগ্রহণ করার সুযোগ পায়নি। এ বার সেই সুযোগ আসায় প্রথম বার এক নতুন পরিবেশে নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে চেয়েছিলাম। সারা রাজ্যের মধ্যে ২০টি জেলার ১৫৩টি স্কুল নিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাংলা শব্দের অভিনব খেলা 'শব্দ-জব্দ'।
রবীন্দ্র সদনের প্রেক্ষাগৃহে পা রেখে চারদিকটা দেখে মনটা একটু অশান্ত হয়েছিল প্রথমে। তবে চেয়েছিলাম পুরো পরিবেশটাকে উপভোগ করতে। এরপর প্রথম পর্বের খেলা শুরু হয় এবং আমাদের বিদ্যালয় সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়।
মনে সাহসটা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল। কিন্তু লড়াই এ বার আরও কঠিন । ১৫৩টি স্কুল থেকে নির্বাচিত ৫০টি স্কুল, সময় আরও কম এবং খেলা আরও কঠিন। তবু আমরা সেই পর্ব সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হই।
৫০টি স্কুল থেকে এ বার বেছে নেওয়া হয় চূড়ান্ত ছ’টি স্কুলকে। সেই মুহূর্তটা আমার কাছে আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে। এত বড় মঞ্চে, এত গুণী ব্যক্তিদের সামনে নিজের স্কুলের প্রতিনিধিত্ব করার মধ্যে যে এক আলাদা প্রশান্তি, আলাদা গর্ব আছে, তা অনুভব করেছিলাম।
তবে সব থেকে বড় সৌভাগ্য ছিল সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় হাত থেকে তাঁর নিজের লেখা বই তাঁর স্বাক্ষর সহ গ্রহণ করা। ধন্যবাদ 'শব্দ-জব্দ'র পুরো দলকে। আমাদের প্রান্তিক বিদ্যালয়কে বৃহৎ মঞ্চে উপস্থিত করার জন্য তাদের কাছে আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব। এই বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে আমার বিদ্যালয় যদি এই প্রতিযোগিতায় সুযোগ পায়, তবে আরও এক বার 'শব্দ-জব্দ'-এ অংশগ্রহণ করতে চাই।