Women Organ Transplantation

অঙ্গদাতার ৮০ শতাংশই মহিলা! তার পরেও অঙ্গ গ্রহণের সময়ে কেন ব্রাত্য তাঁরা?

জীবিত ব্যক্তিদের করা অঙ্গদানের মধ্যে ৮০ শতাংশই নাকি নারীদের থেকে পাওয়া। কিন্তু সেই দান করা অঙ্গের কতটুকু তাঁরা নিজেরা পাচ্ছেন? কী বলছে পরিসংখ্যান?

Advertisement

এবিপি ডিজিটাল ব্র্যান্ড স্টুডিয়ো

শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২৩ ১২:২২
Share:

এখন নারীর ক্ষমতায়নের যুগ। কর্মক্ষেত্র থেকে শিক্ষা ক্ষেত্র, সবেতেই নারী শক্তির জয়গান। অঙ্গদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রেও সেই ছবি। সমীক্ষা বলছে, জীবিত ব্যক্তিদের করা অঙ্গদানের মধ্যে ৮০ শতাংশই নাকি নারীদের থেকে পাওয়া। কিন্তু সেই দান করা অঙ্গের কতটুকু তাঁরা নিজেরা পাচ্ছেন? কী বলছে পরিসংখ্যান?

Advertisement

অঙ্গদান যে আজ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। মরণোত্তর অঙ্গদান তো রয়েছেই। তবে অঙ্গের চাহিদার কথা মাথায় রেখে এখন জোর দেওয়া হচ্ছে জীবিত ব্যক্তির অঙ্গদানের বিষয়টিতেও। বৃক্ক(কিডনি) এবং যকৃৎ(লিভারের) মতো অঙ্গ দান করতে পারেন জীবিতরাও। এখন অনেকে এগিয়েও আসছেন অঙ্গদান করতে। চিকিৎসকেরাও স্বাগত জানাচ্ছেন নতুন প্রজন্মকে। তবে অবশ্যই তা শরীর বুঝে। জীবিত দাতার ক্ষেত্রে সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তবেই দান করা উচিত অঙ্গ। অঙ্গদানে জীবিত দাতার পরিসংখ্যানের আসল চিত্র কী? রইল এই প্রতিবেদনে।

মোহন ফাউন্ডেশন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। সম্প্রতি তাদের করা একটি সমীক্ষা বলছে, অঙ্গদানের ক্ষেত্রে সমগ্র ভারতে যে ক’জন জীবিত অঙ্গ দাতা রয়েছেন, তার প্রায় ৮০ শতাংশই নাকি মহিলা। অথচ সেই তুলনায় অঙ্গ গ্রহীতার হিসাবে মহিলাদের সংখ্যা খুবই কম। মোট অঙ্গ গ্রহীতার মাত্র ১৮.৯ শতাংশ।

Advertisement

এক্সপেরিমেন্টাল এবং ক্লিনিক্যাল ট্রান্সপ্লান্টেশনের উপরে ২০২১ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রের ভিত্তিতে করা এই সমীক্ষা বলছে ১৯৯৫ থেকে ২০২১ পর্যন্ত এক জন নারী এবং পুরুষের অঙ্গ প্রতিস্থাপনের হার ১:৪। এই সময়কালের ৩৬ হাজার ৬৪০টি অঙ্গদানের মধ্যে মহিলা গ্রহীতার সংখ্যা মাত্র ৬ হাজার ৯৪৫।

এর কারণ খুঁজতে গিয়ে চিকিৎসক সুনীল শ্রফ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমাদের সমাজে যেহেতু বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পরিবারের মুখে অন্ন তুলে দেয় ছেলেরা, তাই তাদের স্বাস্থ্যের দিকেই বেশি নজর দেওয়া হয়। অন্য দিকে, সমাজে মেয়েদের কাছ থেকেই বেশি আত্মত্যাগের আশা করা হয়, বিশেষত যখন তাদের প্রিয়জন বা আত্মীয় অসুস্থ থাকে। এটি এক ধরনের মানসিক অবস্থান, যা নিয়ে আরও গবেষণার প্রয়োজন।“

তামিলনাড়ুর ট্রান্সপ্লান্ট অথরিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক চিকিৎসক জে অমলরপবনাথন এ বিষয়ে বলেন, ”বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিকটাত্মীয় যদি দাতা না হন, তা হলে দেখা যায় দাতার আর্থিক অবস্থা গ্রহীতার আর্থিক অবস্থার চেয়ে খারাপ। এবং দাতা গ্রহীতার থেকে বয়সেও ছোট হয়। লিঙ্গ বৈষ্যমের সঙ্গে এই বিষয়টি মাথায় রাখা উচিত। ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশ তো বটেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উন্নত দেশেও এই ঘটনা লক্ষনীয়। আর জীবিত দাতার কথা উঠলে সেখানে মহিলাদের আধিক্যই সব সময়ে বেশি।“

অন্যকে নতুন জীবন দিন। এগিয়ে আসুন এবং অঙ্গীকার করুন অঙ্গদানের। ক্লিক করুন পাশের লিঙ্কে — bit.ly/47a6kLV

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement