New Year Party

বাচ্চারাই আয়োজন করুক নিজেদের পার্টি

হাতছানি দিচ্ছে নতুন বছর। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই শুরু হয়ে যাবে উদ্‌যাপন। কিন্তু নিজেরা আনন্দে মেতে থাকতে থাকতে অনেক সময়ই ভুলে যাই বাচ্চাদের আনন্দের কথা। ফলে শিশুরা পার্টিতে বোর হয়।

Advertisement

প্রমা মিত্র

শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ ১৫:০৬
Share:

হাতছানি দিচ্ছে নতুন বছর। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই শুরু হয়ে যাবে উদ্‌যাপন। কিন্তু নিজেরা আনন্দে মেতে থাকতে থাকতে অনেক সময়ই ভুলে যাই বাচ্চাদের আনন্দের কথা। ফলে শিশুরা পার্টিতে বোর হয়। মধ্যরাত পর্যন্ত জেগে থাকতে থাকতে ক্লান্তও হয়ে পড়ে। তাই বর্ষবরণের দিন খেয়াল রাখুন ওদের আনন্দের দিকেও। কী ভাবে ওরাও নিজেদের মতো করে মজা করতে পারে তার জন্য দেখে নিন কিছু আইডিয়া।

Advertisement

ডেকরেশন: বাচ্চাদের পার্টি যখন, তখন ডেকরেশনও করুক ওরাই। বাজার থেকে সাজানোর কোনও জিনিস না কিনে এনে রঙিন চার্ট পেপার, মার্বল পেপার, র‌্যাপিং পেপার, বেলুন, স্কেচ পেন কিনে আনুন। বাচ্চারাই বানিয়ে ফেলুক সুন্দর ক্রাফ্ট, পেন্টিং, স্কেচ, স্ট্রিমারস। নিজেদের ফোলানো বেলুন দিয়েই সাজানো হোক পার্টি। পিচবোর্ড আর মার্বল পেপার দিয়ে তৈরি ফোটোফ্রেমে বছরের সবচেয়ে সুন্দর ছবি পিন আপ করে লাগিয়ে দিক ২০১৬ মেমরি বোর্ডে। নিজেদের তৈরি মাস্ক, ক্যাপ পরেই সাজুক ওরা। এতে ওরা নতুন কিছু যেমন শিখবে, তেমনই নিজেরা আয়োজন করলে মজাও হবে অনেক বেশি।

অনুষ্ঠান: নিউ ইয়ার্স পার্টিতে বড়রা নাচ, গান, মদ্যপান, আড্ডায় মাতলেও বাচ্চারা অনেক সময়ই বোর হয়। আর তাই ওদের এন্টারটেনমেন্টের জন্য কিছুটা সময় রাখুন। নাচ, গান, রিসাইটেশন, ইন্সট্রুমেন্ট বাজানো যে যা পারে তাই নিয়েই ছোটখাট অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রাখুন। কিছুটা সময় শুধু ওদের গুরুত্ব দিন।

Advertisement

বেকিং: শুধু সাজানো নয়, বাচ্চাদের লাগিয়ে দিন বেকিংয়ের কাজেও। ছোট ছোট কাপকেক, কুকিজ, চকোলেট সহজেই বানাতে পারবে বাচ্চারা। তারপর নিজেদের তৈরি খাবারগুলোই গিফট র‌্যাপে মু়ড়ে নতুন বছরের উপহার হিসেবে তুলে দিক একে অপরের হাতে। দামি উপহার পেলে ওরা যত না বেশি খুশি হবে, তার চেয়ে ঢের বেশি আনন্দ নিজেদের তৈরি উপহারে।

গেমস: যে সময় আপনারা ব্যস্ত থাকবেন সেই সময় বাচ্চাদের জন্য রাখুন কিছু বোর্ড গেমসের ব্যবস্থা। বর্ষবরণের মধ্যরাত পর্যন্ত যাতে ওরা ব্যস্ত থাকতে পারে। বোর হলে বাচ্চারা ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে পড়তে পারে। তাই ডিনারের পরেই রাখুন গেমসের ব্যবস্থা।

মিডনাইট সারপ্রাইজ স্ন্যাকস: মধ্যরাত পর্যন্ত জাগিয়ে রাখতে হলে কিছু সারপ্রাইজ স্ন্যাকসেরও ব্যবস্থা রাখুন। পপকর্ন, ওয়েফারস ভরে ওদের জন্য তৈরি করে রাখুন সারপ্রাইজ স্ন্যাকস ব্যাগ। জানিয়ে রাখুন রাত ১১টার সময় দেওয়া হবে সারপ্রাইজ স্ন্যাকস। এই উত্তেজনাতেই জেগে থাকবে ওরা।

বেলুন উইশ: গ্যাস বেলুন কিনে আনুন। ছোট ছোট কাগজে নিজেদের রেজলিউশন, উইশ লিখে ওরা ভরে দিক বেলুনে। তারপর বেলুনে হিলিয়াম গ্যাস ভরে সুন্দর রিবন দিয়ে বেঁধে দিক। ঠিক রাত ১২টায় উড়িয়ে দিক আকাশে।

কাউন্টডাউন: রাত ১২টার উত্তেজনা ধরে রাখতে কাউন্টডাউনের ব্যবস্থা তো রাখতেই হবে। বাচ্চাদের জন্য কিনে রাখুন নয়েজ মেকার। রাত ৮টা থেকে শুরু হয়ে যাক কাউন্টডাউন। ঘড়িতে ঢং ঢং করে একটা একটা করে ঘণ্টা পেরোলে নয়েজ মেকার বাজিয়ে উদ্‌যাপন শুরু হোক। আর শেষ ১০ সেকেন্ডের কাউন্টডাউন তো রয়েছেই।

বেলুন ড্রপ: নিউ ইয়ার্স পার্টির বল ড্রপ আইডিয়া নিজের বাড়ির পার্টিতেও করতে পারেন। বল নয়, বেলুন ড্রপ। দোকান থেকে কিনে আনুন বেলুন ড্রপ কিট। নেটে ফোলানো বেলুন ভরে ঘরের সিলিংয়ে আটকে বানিয়েও নিতে পারেন। ঠিক রাত ১২টায় হোক বেলুন ড্রপ। এই বেলুনেই ভরা থাকে বাচ্চাদের জন্য চকোলেট, কুকিজের মতো উপহার।

ওদের জন্য: শিশুরাই কিন্তু শিশুদের জন্য। শুধু নিজেদের আনন্দ নয়, পথশিশু বা দুঃস্থ শিশুদের মুখেও হাসি ফুটিয়ে তোলার ব্যবস্থা করুন ওদের মাধ্যমে। বছরের শেষ দিন বা নতুন বছরের প্রথম দিনটায় ওরা পথের বন্ধুদের হাতে তুলে দিক নিজেদেরই প্রিয় সোয়েটার, টেডি বা বই। বড় কিছু নয়, কিন্তু এর মধ্যে দিয়েই তৈরি হবে নিজের কিছু অন্যকে দেওয়ার অভ্যাস।

নতুন: পথশিশুরাও চায় নতুন কিছু পেতে। কিন্তু শিশুদের হাতে পয়সা থাকে না। যদি আপনার সন্তানের কাছে সারা বছরের পকেট মানি জমানো কিছু থাকে তাহলে তার ১০ শতাংশ অন্তত খরচ করতে শেখান ওদের জন্য। কিনে দিক কোনও খেলনা, বই বা পেন্সিল। আর যদি না থাকে তাহলে ওদের নিজের হাতে বানানো সেই সব কুকিজ, কাপ কেকর স্বাদ পাক পথের বন্ধুরাও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement