Rituparna Sengupta Akshaya Tritiya 2020

এই অক্ষয় তৃতীয়া মৃত্যুপুরী থেকে জীবনপুরীতে নিয়ে যায়

তখন আমি প্রেগন্যান্ট। ঋষণা আমার পেটে। সেই নিয়েই শুট,সেই নিয়ে অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ দিনে ছবির মুক্তি।

Advertisement

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২০ ১২:৪৬
Share:

তখন আমি প্রেগন্যান্ট, ঋষণা আমার পেটে। সেই নিয়েই শুট, সেই নিয়ে অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ দিনে ছবির মুক্তি।

পয়লা বৈশাখের পরেই মুখিয়ে থাকতাম অক্ষয় তৃতীয়ার জন্য। বাঙালির শুভ কাজ আরম্ভের দিন ছিল এই অক্ষয় তৃতীয়া। ছবির মহরতও হত এই দিনে। মনে পড়ছে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের 'দৃষ্টিকোণ' রিলিজ করেছিল খুব বড় করে।ছবিটা দশ সপ্তাহ চলেছিল।আমার কাছে সেটা বিশাল পাওনা ছিল।'ভোরের আলো' বৈশালী ডালমিয়া প্রযোজনা করেছিল। প্রভাত রায় পরিচালক ছিলেন। আমি, প্রিয়াংশু, রণিত রায় ছবিতে কাজ করেছিলাম।

Advertisement

তখন আমি প্রেগন্যান্ট। ঋষণা আমার পেটে। সেই নিয়েই শুট,সেই নিয়ে অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ দিনে ছবির মুক্তি। সুদুর সিঙ্গাপুরে বসে এই সব স্মৃতি ভেসে আসছে।

আরও ছোটবেলায় বাবা ছিলেন, দিনটা সেই অক্ষয় তৃতীয়া! বাবা হঠাৎ টেলিভিশন নিয়ে এলেন।উফ! কী যে আনন্দ হয়েছিল। তখন বাড়িতে টেলিভিশন আসা মানে বিরাট ব্যাপার।এখন ঘরে ঘরে একের বেশি টেলিভিশন, ল্যাপটপ, আইপ্যাড, আরও কত কী! তখন সময়টা সম্পূর্ণ আলাদা! লোকে ভাবত 'বাবা! ওদের বাড়িতে টেলিভিশন আছে!'

Advertisement

এই অক্ষয় তৃতীয়া যেন এই মৃত্যুপুরী থেকে আমাদের জীবনপুরীর দিকে নিয়ে যায়

জানি না, এ বারের অক্ষয় তৃতীয়ায় মানুষ কী করবে? শুধু ঈশ্বরকে বলব, আর মৃত্যু দিয়ো না। এ বার জীবন ফিরিয়ে দাও। গত বছরের শেষ থেকে প্রায় রোজ মৃত্যুর খবর পাচ্ছি।হয় প্রিয়জনের, নয় পরিচিতদের, কখনও দূরের। আমরা প্রকৃতিকে নিয়ে বড্ড ছিনিমিনি খেলেছি। সেটা এখন সকলেই বুঝতে পারছে। এই অক্ষয় তৃতীয়া যেন এই মৃত্যুপুরী থেকে আমাদের জীবনপুরীর দিকে নিয়ে যায়। নতুন করে সহজ সরল ভাবে যেন আমরা জীবন শুরু করতে পারি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement