‘শতরঞ্জ...’ নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়

শহরে এসেছিলেন সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তৃতা দিতে। কিন্তু বরাবরের ঠোঁটকাটা, নির্ভীক তিনি। অপ্রিয় কথাটা বলতে কখনও ইতস্তত করেন না। নাসিরুদ্দিন শাহ্ তেমনই সোজাসাপ্টা বলে দিলেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত-কেপেঁজা তুলোর মতো সাদা কোঁকড়া-কোঁকড়া চুলে ভর্তি মাথা আস্তে আস্তে দুলতে থাকে যখন তাঁকে অনুবাদ করে পড়ে শোনানো হয় আনন্দবাজারের খেলার পাতার একটা লেখা। হ্যাঁ, খেলার পাতা। সিনেমা নয়। তা-ও আবার গৌতম গম্ভীরের কলাম। কারণ? নাসিরুদ্দিন অভিনীত ‘মির্জা গালিব’ সিরিয়াল গম্ভীরকে কতটা অনুপ্রাণিত করে সেটাই উল্লেখ করা আছে লেখায়। আর কলকাতায় এসে তা শুনেই নাসিরুদ্দিন শাহ্-এর চোখ চিকচিক করে ওঠে। খবরের কাগজটা নিজের সঙ্গে নিয়ে যাবেন বলেন তিনি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০১৪ ০০:০৫
Share:

পেঁজা তুলোর মতো সাদা কোঁকড়া-কোঁকড়া চুলে ভর্তি মাথা আস্তে আস্তে দুলতে থাকে যখন তাঁকে অনুবাদ করে পড়ে শোনানো হয় আনন্দবাজারের খেলার পাতার একটা লেখা।

Advertisement

হ্যাঁ, খেলার পাতা। সিনেমা নয়। তা-ও আবার গৌতম গম্ভীরের কলাম।

কারণ? নাসিরুদ্দিন অভিনীত ‘মির্জা গালিব’ সিরিয়াল গম্ভীরকে কতটা অনুপ্রাণিত করে সেটাই উল্লেখ করা আছে লেখায়। আর কলকাতায় এসে তা শুনেই নাসিরুদ্দিন শাহ্-এর চোখ চিকচিক করে ওঠে। খবরের কাগজটা নিজের সঙ্গে নিয়ে যাবেন বলেন তিনি।

Advertisement

শহরে এসেছিলেন সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তৃতা দিতে। সামনেই মুক্তি পাবে তাঁর অভিনীত যুধাজিৎ সরকার পরিচালিত বাংলা ছবি ‘খাসি কথা’। তবে সিনেমায় তাঁর অভিনীত কসাইয়ের চরিত্রটি স্বল্প দৈর্ঘ্যের। আর আছে হোমি আদাজানিয়া পরিচালিত ‘ফাইন্ডিং ফ্যানি ফার্নান্ডেজ’। কিন্তু নিজের এই সিনেমা নিয়ে কথা বললেন না। একটা সিগারেট ধরিয়ে নিয়ে আলাপচারিতায় বসলেন অন্যান্য প্রসঙ্গে।

সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে নাসিরুদ্দিন শাহের অভিনয় না-দেখতে পাওয়াকে দর্শক একটা ক্ষতি বলেই মনে করেন...
এটা আমারও ক্ষতি। কারণটা হয়তো ভাষার সমস্যা। আমি তো বাংলা বলতে পারি না। রে তো ভাষা এবং উচ্চারণ নিয়ে খুব পার্টিকুলার ছিলেন।

সিমি গারেওয়াল, ওয়াহিদা রহমান অভিনয় করেছেন। সঞ্জীব কুমারকে নিয়ে উনি তো ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’ হিন্দিতে বানিয়েছিলেন...
সিমি আর ওয়াহিদার স্টারডমের ‘অরা’টা ছিল। তাই ভাষাটা সমস্যা হয়নি। ‘শতরঞ্জ কে খিলাড়ি’ আমার খানিকটা ওভাররেটেড লাগে! নাটকটা আমি অনেক বার অভিনয় করেছি। ছবিটাকে আমার টপ হেভি মনে হয়।

কোনও দিন সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে দেখা হয়নি?
‘মির্চ মসালা’ দেখে উনি হ্যান্ডশেক করেন। ওইটুকুই। আমি এতেই খুশি। তার মানে উনি তখন জানতেন আমি কে! (হাসি)

ইন্টারনেটে একটা লেখায় আছে যে, আপনি সত্যজিৎ রায়কে চিঠি লিখেছিলেন...
ওটা কল্পনাপ্রসূত। তবে চিঠি একটা লিখেছিলাম। ‘মির্জা গালিব’-এর প্রসঙ্গ তুললেন। তাই বলছি। গুলজার ভাইকে চিঠি লিখেছিলাম। তখন এফটিআইআই-তে সেকেন্ড ইয়ারে পড়তাম। ২৪ বছর বয়স। শুনেছিলাম সঞ্জীব কুমারকে দিয়ে গুলজার ভাই একটা ছবি করতে যাচ্ছে মির্জা গালিবকে নিয়ে। কিন্তু সঞ্জীব অসুস্থ হয়ে পড়েন। আর তার পর ফিল্মটা বন্ধ হয়ে যায়। তখন আমি একটা চিঠি লিখে বলেছিলাম, ‘আই অ্যাম দ্য অ্যাক্টর ইউ আর লুকিং ফর। অ্যান্ড আই ডোন্ট থিঙ্ক ইউ শুড কাস্ট সঞ্জীব কুমার’!

মানে? এটা আপনি লিখে দিলেন!
(হাসি) হ্যাঁ। গুলজার ভাইয়ের অফিসে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু চিঠিটা ও পায়নি। ভেবেছিলাম, কী আর হবে? খুব বেশি হলে আমাকে নেবে না।

ছবিটা হয়নি, কিন্তু স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
হ্যাঁ। তত দিনে আমি ওর সঙ্গে দু’টো ছবি করে ফেলেছি। ‘ইজাজত’ আর ‘লিবাস’ (যেটা আজও রিলিজ করেনি)। আমরা একসঙ্গে টেনিস খেলতাম। হঠাৎ একদিন ফোন করে বলল, ‘গালিব করবে?’ আমি বললাম, হ্যা।ঁ তার পর ওকে ওই চিঠির কথা বললাম। তখন শুনলাম ও কোনও দিন ওটা পায়নি। অফিসে নিশ্চয়ই গিয়েছিল। কিন্তু আমার হাতের লেখা এত খারাপ যে, কেউ হয়তো পড়তেই পারেনি। তখন বয়স অল্প ছিল। আই ওয়াজ ইয়াং অ্যান্ড অ্যারোগ্যান্ট।

আর আজ?
(হাসি) আজও উদ্ধত।

ভয় হয় না?
না। কারণ কোনও দিন সাফার করিনি এর জন্য। হয়তো যতটা বলা উচিত তার থেকেও বেশি বলেছি। আই ওয়াজ ইয়াং অ্যান্ড ফুলিশ। এনএসডি-তে থাকাকালীন একটা প্রবন্ধ লিখেছিলাম যে ‘ওয়েটিং ফর গোডো’ নাটকটা একেবারে বস্তাপচা। মিস্টার ইব্রাহিম আলকাজি রেগে গিয়ে আমাকে তো প্রায় ফেল করিয়ে দেন আর কী! কিন্তু গত ৩৫ বছর ধরে এই নাটকটা অভিনয় করছি। এখন বুঝি এটা বিশ্বের অন্যতম সেরা নাটক। আনগার্ডেড মুহূর্তে ওই সব কথা বলে ফেলেছি। তবে অনুশোচনা নেই। আগেকার আমি আর আজকের আমির মধ্যে তফাতটা হল এখন আমি আগে ভাবি, তার পর কথা বলি।

অমিতাভ বচ্চনের সম্পর্কে কী মত?
আই হ্যাভ নো ভিউ অব হিম। হি ডাজন্ট ফিগার ইন মাই লাইফ।

দ্যাটস অলসো আ ভিউ...
হি ইজ ইন হিজ ওনলি অরবিট। আই ডোন্ট সি হিজ ওয়ার্ক। আই ওয়াচড আ ফিউ এপিসোডস অব ‘ক্রোড়পতি’ অ্যান্ড ওয়াজ ভেরি ইমপ্রেসড। দ্য ওয়ে হি ক্যান স্টিল কানেক্ট টু অ্যান অর্ডিনারি পার্সন ইজ ইমপ্রেসিভ।

ওঁর শেষ কোন ছবি দেখেছিলেন...
দ্যাট রেচেড ফিল্ম অব গোবিন্দ নিহালনি উইথ ওম পুরি অ্যান্ড হিম। যেটা দেখতে গিয়ে মাঝপথেই হল ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলাম। বসে পুরোটা দেখতে পারিনি। নামও মনে নেই ছবিটার। (ছবিটার নাম ‘দেব’)।

আপনি তো ‘শোলে’ নিয়েও বেশ কড়া কথা বলেছেন...
হুঁ। বলেছি তো। সেপ্টেম্বর মাসে আমার একটা বই বেরোচ্ছে। নাম ‘অ্যান্ড দেন ওয়ান ডে’। তাতে একটা চ্যাপ্টার আছে ‘শোলে’ নিয়ে। দিস উইল রাফল আ লট অব ফেদার্স।

এই বেপরোয়া নাসিরুদ্দিন শাহ্ হওয়ার পিছনে কতটা অবদান আপনার ছোট শহরে একান্নবর্তী পরিবারে মানুষ হওয়ার অভিজ্ঞতা?
অনেকটাই। আমার বাবা সরকারি চাকরি করতেন। হাজার টাকা মাইনে পেতেন। তার মধ্যে ৬০০ টাকা খরচ করতেন আমাদের তিন ভাইয়ের শিক্ষার পিছনে। টাকার মূল্য তখন বুঝতাম, কিন্তু কোনও দিন টাকার পিছনে ছুটিনি। ফেমের পিছনে দৌড়েছি।

তার জন্যই অভিনেতা হলেন নাকি?
একদম। যে অভিনেতা বলেন সে ফেমের পিছনে দৌড়চ্ছে না, সে মিথ্যা কথা বলছে। (হাসি) আরে স্বপ্নে তো সবাই দেখে যে, অভিনয় করে বাড়ি, গাড়ি আর ব্লন্ড মহিলার সঙ্গ পাবে!

এটা কেন বলেন যে, মানুষের কোনও ইনবর্ন ট্যালেন্ট থাকে না?
মনে হয় না যে, আমরা জন্মাই কোনও স্পেশাল গিফ্ট নিয়ে। উই আর বর্ন উইথ সার্টেন অ্যাপ্টিটিউডস্। আমরা লাকি হলে সেটাকে ডেভেলপ করতে পারি। যেমন, মেডিক্যালি বলা হয় যে, উই আর বর্ন উইথ দ্য অ্যাপ্টিটিউড টু সুইম। যে সেটা ডেভেলপ করে, সে ভাল সাঁতার কাটবেই। তবে, চান্সটা বড় ফ্যাক্টর। আর কে কী ভাবে নিজেকে গড়ছে। ছোটবেলায় আমি পড়াশোনায় একদম বাজে ছিলাম। স্কুলে অঙ্কতে শূন্য পেতাম। অভিনেতা হতে আমাকে আসলে সাহায্য করেছিল পরিবেশ। মিরাটের কাছে ফিউডাল একটা পরিবার ছিল আমার মামাবাড়ি। সব লক্ষ করতাম। পরিবারে বাবা-মা সব থেকে কম ইন্টারেস্টিং ছিলেন। কিন্তু মামারা ভীষণ ইন্টারেস্টিং ছিলেন। অনেক সময় অভিনয়ে ওঁদের মিমিক করে থাকি।

মানে ‘ইশকিয়া’ আর ‘দেড় ইশকিয়া’র খালুজানের মতো কোনও আত্মীয় আপনার ছিল নাকি?
হা হা হা। ভেরি মাচ। মাই খালা-স ওয়্যার রিয়েল ড্রাগনস।

স্মারক বক্তৃতায় বললেন, একটা কারণ আছে যার জন্য এক অভিনেতা কিছু ছবিতে ভাল আর অন্যতে খারাপ কাজ করেন। তাহলে কী করে হয় যে, যত খারাপ ছবি হোক না কেন আপনি খারাপ অভিনয় করেন না?
(হাসি) তা হলে আপনি আমার খারাপ অভিনয় দেখেননি। গুগল করুন।

লোকে হয়তো বলে যে, আপনি কেন এই ছবিটা করলেন...
ছবিগুলো শুরুর সময় তো এটা ভাবি না যে সেগুলো খারাপ হবে আর তাই আমাকে ওগুলোতে অভিনয় করতেই হবে। ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েও ভেবেছি, শেষমেশ ছবিটা ভাল হবে। স্মল বাজেট ছবি। ভাল আইডিয়া। হয়তো ভালই হবে। কিন্তু বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তা হয়নি। আমি শ্যুটিংয়ের প্রথম সপ্তাহেই বুঝতে পারি যে, চয়েসটা ভুল। কিন্তু অটোপাইলটে শ্যুটিং চালিয়ে যাই। কারণ? কমিটমেন্ট। তবে ‘মুঝে মেরি বিবি সে বাঁচাও’, ‘জ্যাকপট’, ‘জন ডে’ নিয়ে অনুশোচনা নেই। ভাগ্য ভাল যে, অভিনয়ের সময়ে আমাকে ভাবতে হয় না ছবিটা ভাল করবে কি না। ‘আ ওয়েডনেসডে’ বা ‘ইশকিয়া’র মতো বড় হিটও আমার কেরিয়ারে কোনও পার্থক্য তৈরি করে না। আবার ‘জ্যাকপট’ বা ‘জন ডে’র ব্যর্থতাও আমার কেরিয়ারে কোনও প্রভাব ফেলে না। অ্যান অ্যাক্টর কান্ট বি বেটার দ্যান দ্য ফিল্ম হি ইজ ইন। ২০০-র বেশি ছবি করেছি। তার মধ্যে ‘মুঝে... ’ও আছে!

এই ছবিটা সই করার সময়ও টাইটেল কি এটাই ছিল?
না। টাইটেল, স্টোরি সব আলাদা ছিল।

শুনেছি যে, অনেক ছবির পোস্টারে নিজেকে দেখে চিনতে পারেন না!
(হাসি) প্রায়ই হয়। একটা ফিল্ম হয়তো ফ্লপ করেছে। পরে আমার কোনও ছবি, ধরুন ‘ত্রিদেব’, ভাল করল তখন ওই ফ্লপ ছবিকে আবার রিলিজ করে দেয়। একই ফিল্ম কিন্তু টাইটেল আলাদা।

বিরক্তি হয় না যে ভাল কাজ করলেও কিছুই পাল্টায় না?
কী পাল্টাবে? সিনেমা দুনিয়াকে পাল্টাতে পারে না। আমি এটাকে কমপ্লিমেন্ট হিসেবে দেখি যখন লোকে ধরেই নেয় যে, আমি ভাল করবই।

তবে এমনও সাধারণ মানুষ আছে যারা বলে, কেন আমার অভিনয় খারাপ লেগেছে। সেই মতামতকে আমি ততটাই গুরুত্ব দিই, যতটা দিই দুনিয়ার সব চেয়ে বড় ক্রিটিকের। লোকে টাকা খরচা করে ছবি দেখতে যায়, এই ভেবে যে ছবিটা ভাল হবে। ক্রিটিক তো ফ্রি টিকিট পায় আর ছবিটা এই আশা নিয়ে দেখে যে অভিনয় খারাপ হবে আর তা নিয়ে কাঁটাছেঁড়া করতে পারবে। অনেকে সমালোচনা করতে গিয়ে গল্পের প্লট লেখেন। নাথিং পারসেপটিভ টু সে অ্যাবাউট দ্য কোয়ালিটি। একটা ফিল্মে পরিচালক যেটা করতেই চান না, সেটা কেন করা হল না, তা নিয়ে কটাক্ষ করে। হোয়াই ডু ইউ এক্সপেক্ট সোশ্যাল কমিটমেন্ট ফ্রম ডেভিড ধাওয়ান?

আপনি বলেন আগেকার দিনে ‘ডিফারেন্ট সিনেমা’র মানে ছিল এমন ছবি যা করে অভিনেতারা পারিশ্রমিক পাবেন না। এই ধারণাটা কি পাল্টেছে?
না। ‘আক্রোশ’, ‘ভবানি ভওয়াই’, ‘অ্যালবার্ট পিন্টো কো গুসসা কিঁউ আতা হ্যয়’ বানানো হয়েছিল সাড়ে তিন লাখে। আজ যদি ‘অ্যালবার্ট পিন্টো...’ কেউ বানাতে চান তা হলে সাড়ে তিন কোটি লাগবে। কিন্তু অভিনেতাদের আজও সে ছবি করলে পয়সা দেওয়া হবে না। নিজের গাড়ি ব্যবহার করতে হবে। বাড়ি থেকে খাবার নিয়ে যেতে হবে। পরিস্থিতিটা একই। একটা টুইস্ট আছে। আজকাল কোনও অল্প বাজেটের ছবি কেউ বানাতে চায় না। মুম্বইতে কোনও প্রযোজক বলুন একটা দু’ কোটির ছবি বানাতে চাই, সেই প্রযোজক তখন বলবেন না কুড়ি কোটির ছবি বানালে কথা বলব। প্রযোজক মনে মনে ভাবেন দু’কোটির ছবি বানালে তো পাঁচ কোটি আসবে। আর কুড়ি কোটি বিনিয়োগ করলে তো একশো কোটির স্বপ্ন দেখা যাবে! কাল যদি কোনও প্রযোজককে গিয়ে বলি আমি ডিজিটাল ক্যামেরা দিয়ে ছবি বানাতে চাই, আমাকে পাঁচ লাখ দিন। উনি দেবেন না। যদি বলি ৭৫ কোটি দিন, তা হলে বলবেন, “লেটস টক”। গুলজারভাই ‘মির্জা গালিব’ বানানোর পর ও’হেনরির গল্প নিয়ে একটা বারো পর্বের সিরিজ বানাতে চেয়েছিলেন দূরদর্শনের জন্য। প্রজেক্টটা নাকচ হয়ে যায়। কেউ বারো পার্ট সিরিয়াল নিয়ে কথা বলতে চায় না। দে ওয়ান্ট টু টক অ্যাবাউট ১২০০০ পার্ট সিরিয়াল। তার পর চেয়েছিলেন নাজির আকবরবাদী নিয়েও কাজ করতে। সেটাও শুনেছি হয়নি। শেষে প্রেম চন্দের গল্প নিয়ে কাজ করেছেন।

টেলিভিশনে এক রকম। সিনেমার ক্ষেত্রে এটা কেন হয়? আমাদের সিনেমায় তো এই স্মল বাজেট ছবি তৈরির লেগ্যাসি রয়েছে....
দ্য সেভেনটি’স ফিল্ম মেকার্স ফেলড আস। তাঁদের নিয়ে আমি সমালোচনা করলে লোকে আমায় ভুল বুঝেছে। লোকে ভেবেছে আমি গুড সিনেমাকেও ক্রিটিসাইজ করেছি। কেন করব? আমি কি ইডিয়ট? আমার যুক্তি ছিল এই সত্তর দশকের সিনেমা পরিচালকেরা তত দিনই অল্প বাজেটের ছবি বানিয়েছেন, যত দিন তাঁরা বড় বাজেটের সিনেমা বানাতে পারেননি। সেটা করার সুযোগ যখন পেয়েছেন তখন তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তারকাদের সই করেছেন। কিছু জিজ্ঞেস করলেই বলতেন আমাদের বেশিসংখ্যক দর্শক দরকার। কেন? যখন ছবি বানাতে শুরু করেছিলেন, তখন তো এ কথা শুনিনি। হঠাৎ দেখলাম এসি গাড়িতে বসে বিহারের চাষিভাইদের গল্প নিয়ে সিনেমা বানাতে গিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকার বাজেটটা তাঁদের কম লাগছে! বেশি দর্শক ধরার গল্প ফাঁদার কারণটা কী? অর্ধেক সংখ্যক দর্শক যাঁরা ‘অ্যালবার্ট পিন্টো...’ টাইটেলটা জানেন, তাঁরা ছবিটা দেখেননি। এখনকার পরিচালকদের মধ্যেও সেই প্রবণতাটা দেখি। অনুরাগ কাশ্যপ, বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানে কিছু কাজ করেই তার পর আরামটা চান। যদি একটা কাটিং এজ ছবি বানাতেই হয়, তা হলে অত আরামের দরকার কীসের?

এই সব বললে সিনিকাল হওয়ার অভিযোগ ওঠে না?
না। কেউ বলে না যে আমি মিথ্যেবাদী। শুধু বলে কেন আমি এই সব বলছি। কেন আমি বিদেশে গিয়ে ভারতীয় সিনেমার সমালোচনা করছি? আমি বলি, কেন করব না? আসলে এখন একে অপরের পিঠ চাপড়ানোটা ইন্ডাস্ট্রির একটা লাইফলাইন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বক্তৃতায় সে দিন আপনি ‘কাগজ কে ফুল’, ‘দো বিঘা জমিন’ আর ‘কাবুলিওয়ালা’ প্রসঙ্গে উল্লেখ করে বলেছিলেন যখন সেই ছবিগুলো এ দেশে হচ্ছিল তখন বিদেশে বানানো হচ্ছিল ‘রশোমন’, ‘বাইসাইকেল থিভস্’, ‘সিটিজেন কেন’। এটা একটু খুলে বলবেন?
সে দিন কাউকে আঘাত করতে চাইনি। তাই উহ্য রেখেছিলাম। ‘কাগজ কে ফুল’ ছবিটা ভয়ঙ্কর ভাবে ওভাররেটেড। ছবিতে এক সেকেন্ডের জন্যও ইন্ডাস্ট্রির বিষয়ে কোনও সত্যি ইমেজ ভেসে ওঠেনি। সেল্ফ পিটিং। সেল্ফ ইনডালজেন্ট ফিল্ম। প্রথম শটটাই ভাবুন যখন ওয়াহিদা ঢোকেন। একজন উটকো ব্যক্তি ভুল করে ক্যামেরার সামনে চলে আসে। সেটে কি ডিরেক্টর, ক্যামেরাম্যানরা সবাই ঘুমোয় যে ও ভাবে এক আগন্তুক ক্যামেরার সামনে চলে আসবে আর কেউ কাট বলবে না! তবে ছবিটা ইজ ওয়েল শট। ওয়াহিদা রহমানের অসাধারণ অভিনয়... সবাই ফিল্মটাকে মাস্টারপিস বলছে বলেই এক বছর আগে আবার দেখেছি। সরি, আই জাস্ট ক্যান নট স্ট্যান্ড ইট।

‘কাবুলিওয়ালা’ আর ‘দো বিঘা জমিন’য়ের মুখ্য চরিত্ররা ভাল অভিনয় করেছিলেন। বিমলদার (বিমল রায়) ছবির অভিনয় নিয়ে একটা আর্টিকেল লিখেছিলাম। তাই ছবিগুলো মন দিয়ে দেখেছিলাম। সহশিল্পীর অভিনয় খুব বিরক্তিকর লেগেছিল। বিমল রায় খুব জোর করে মনে হয় পার্শ্বচরিত্রে সেই একই অভিনেতাদের ব্যবহার করতেন। রেপার্টরি কোম্পানির মতো। ‘কাবুলিওয়ালা’ আর ‘দো বিঘা জমিন’য়ের মতো ভাল ছবিতেও কিছু সহশিল্পীদের অভিনয় আমার ভয়ঙ্কর লাগে। কিন্তু যদি একটা ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে ‘বাইসাইকেল থিভস’, ‘সিটিজেন কেন’, বা ‘রশোমন’ দেখেন, একটাও ফলস্ মুহূর্ত পাবেন না।

তার মানে বলছেন ভারতীয় সিনেমা সারাক্ষণ মধ্যমেধাকে তোল্লাই দেওয়ার ঐতিহ্যে বিশ্বাসী?
হ্যাঁ। অসহ্য লাগে যখন শুনি লোককে বলতে ‘আমাদের সময়ে কী-ই না ছিল...’ যত সব নস্টালজিয়া নিয়ে বাড়াবাড়ি। আমাদের সিনেমা বাহ্যিক বিষয়টাকেই নকল করে। আজও পঞ্চাশের দশকের মিউজিক্যাল এপ করা হয়। সেটাও ঠিকঠাক পারি না। আমরা ‘সেভেন ব্রাইডস ফর সেভেন ব্রাদার্স’ রিমেক করে সেটাকে এমন ভাবে খুন করি, যাতে চেনাও না যায়। সিনেমাটোগ্র্যাফি, এডিটিংয়ে উন্নতি হয়েছে আমাদের ছবিতে। কিন্তু শুধু তা দিয়ে তো আর ভাল সিনেমা হয় না।

এক সময় বলতেন, ভারতে সিরিয়াস সিনেমা বলে কিছু হয় না। মত পাল্টেছেন?
হুমম্... যে সময় মৃণালদা একহাতে ‘ভুবন সোম’ বানাচ্ছিলেন, হিন্দিতে তখন আর একজনই ছিলেন। কে এ আব্বাস। ৪০ বছর পরে হয়তো ২০ জন ওই ধরনের ডিরেক্টর আছেন। কিন্তু অন্যান্য ডিরেক্টরদের সংখ্যাও বেড়েছে। তাই ইট ইজ আ স্মল অ্যাভারেজ।

আপনি ‘ভাগ মিলখা ভাগ’কে ‘ফেক’ ছবি বললেন। কিন্তু আজ তো ওটা জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছে...
হ্যাঁ, বেস্ট ফিল্ম, বেস্ট ডিরেক্টর দেওয়া হচ্ছে... অ্যাওয়ার্ডস্ আর ডিসাইডেড বাই আউট-অব-ওয়ার্ক ফিল্মমেকার্স! (হাসি) জাতীয় পুরস্কার আমার কাছে অতটাই গুরুত্বের যতটা একটা পত্রিকার পুরস্কার! সব লবিবাজি চলছে। এ বার জাতীয় পুরস্কার একটা অসমাপ্ত ছবি পেয়েছে। ‘দ্য কফিন মেকার’কে দেওয়া হয়েছে দ্য বেস্ট ইংলিশ ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড। আমি ওতে অভিনয় করেছি। ব্লাডি, অ্যাবানডন্ড, ইনকমপ্লিট ফিল্ম। হয়তো কম্পিটিশনে আর কোনও ইংরেজি ছবিই ছিল না। তাই দিয়েছে। বুঝি না, সব ছবিকে কি ভাল না হলেও অ্যাওয়ার্ড দিতেই হবে? নেক্সট দেখব আদিবাসী ভাষায় একটাই ছবি বানানো হবে, আর সেটাই জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছে (হাসি)।

নতুন পরিচালকদের কী পরামর্শ দেবেন?
তাঁদের বুঝতে হবে কী ধরনের ছবি বানিয়ে যেতে চান সারা জীবন ধরে। এর উদাহরণ হল এক আমেরিকান পরিচালক, যাঁর নাম জন ক্যাসেভেটিস। সারা জীবন রটেন হলিউড ছবিতে অভিনয় করে টাকা রোজগার করতেন যাতে তাঁর মনের মতো কাটিং এজ ফ্যামিলি ড্রামা পরিচালনা করতে পারেন। ভারতে একজন পরিচালকও নেই, যিনি এ রকম করেছেন।

‘গাইড’ সম্পর্কে আপনার ধারণা কি একই আছে?
হ্যাঁ। ইট ইজ দ্য ফাইনেস্ট হিন্দি ফিল্ম এভার মেড। অন্য ভারতীয় ভাষায় সব ছবি দেখিনি। তাই ‘গাইড’কে ফাইনেস্ট ভারতীয় ছবি বলছি না। ‘পথের পাঁচালী’ ইজ ওয়ান অব দ্য ফাইনেস্ট ফিল্মস এভার মেড ইন ইন্ডিয়া। ‘গাইড’য়ের খুব কাছাকাছি আসে। যেমন আসে ‘মুঘল এ আজম’, ‘পেয়াসা’।

নিজের কোনও কাজ?
‘মাসুম’। শুধু ইমোশনের জন্য বলছি না। খুব ভাল ভাবে বানানো ছবি। চাই না ওটার রিমেক হোক। কিন্তু কিছু করার নেই রিমেকটা থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখা ছাড়া।

আপনি কি জানতেন সত্যজিৎ রায় ওয়াহিদা রহমানকে নিয়ে ‘গাইড’ তৈরি করতে চেয়েছিলেন?
তাই নাকি?

‘কনভারশেসনস উইথ ওয়াহিদা রহমান’ বইতে ওয়াহিদা রহমান এটা বলেছেন...
দারুণ তো! ছবিটা হলে ফ্যাসিনেটিং হত। রোজিকে একদম অন্য একটা আলোয় আবিষ্কার করতাম আমরা। যদিও ‘গাইড’-এও ওয়াহিদাজি দারুণ ছিলেন। ওঁকে আমি বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী মনে করি। কিন্তু আই অ্যাম গ্ল্যাড রে ওটা বানাননি!

কেন?
(হাসি) আরে আমি তো ছিলাম না রাজু গাইডের ভূমিকায় অভিনয় করার জন্য!

এটা জানলে হয়তো নিশ্চয়ই সত্যজিৎ রায়কেও চিঠি লিখে ফেলতেন...
(হাসি) হ্যাঁ। হয়তো সেটা লিখতাম।

এক সময় বলতেন আপনার ফেভারিট অ্যাক্টর হলেন...
...শাম্মী কপূর

দারা সিংহের নামটাও বলতেন...
(হাসি) হ্যাঁ। বলিনি যে দারুণ অভিনেতা। বলেছি ওঁদের খুব ভালবাসতাম। লাভ ইজ আনরিজনেবল।

শাম্মী কপূর না দারা সিংহ কার মতো হতে চাইতেন?
জানতাম যে ওঁদের দুজনের কারও মতো কোনও দিন আমি হতে পারব না। তাই ওঁরা আমার হিরো। বলরাজ সাহানি বা দিলীপকুমারকে দেখলে ভাবতাম খুব ভাল অভিনয় করেন। কিন্তু জানতাম যে আমি ওঁদের মতো কাজ করতে পারব।

কেউ যোগ হয়েছেন এই তালিকায়?
না, কেউ ওঁদের টাচ করতে পারবে না। এক বার একটা জিমে গিয়েছিলাম। ওখানে একটা ছেলে প্রণাম করে বলল যে বডিবিল্ডিং কম্পিটিশনে যাচ্ছে। ‘জলওয়া’তে আমার ফিজিক দেখে ও ইন্সপায়ার্ড! সে দিন ভেবেছিলাম যাক, দারা সিংহের কাছাকাছি যাওয়ার স্বপ্ন খানিকটা পূরণ হয়েছে।

যে ছবিকে আপনি বস্তাপচা বলছেন, সেটাকেই কেন শিক্ষিত দর্শক মাথায় তুলে নাচছে?
একটা সার্ভেতে বলা হয়েছিল যে যখন মানুষ টিভি দেখে, তখন তার মনটা ঠিক ততটাই অ্যালার্ট থাকে যখন সে ঘুমোয়। সিনেমার ক্ষেত্রেও তা-ই হয় বলে আমার অনুমান। অনেক সময় লোকে ছবি দেখার এক্সপিরিয়েন্সটা নিয়েই সম্তুষ্ট থাকেন। যদি না সাঙ্ঘাতিক অফেন্সিভ কিছু হয়। দর্শকরা ডিম্যান্ডিং নন।

মানে খারাপ ছবি হলেও রিজেক্ট করেন না?
রটেন অ্যাপলস আর রিজেক্টেড। কিন্তু যদি ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ দেখি, তা হলে ওটা আমার কাছে একটা সুন্দর করে বানানো জিঙ্গোইস্টিক, ডিজঅনেস্ট ছবি। দর্শক ছবিটার সাবভার্সিভ এলিমেন্টটা লক্ষ করে না। তাই শেষে যখন মিলখা বিটস আ পাকিস্তানি রানার, সবাই উল্লাস করে। ইট ইজ লাইক চিয়ারিং হোয়েন জাভেদ মিঁয়াদাদ ইজ আউট। ফর আস ইন ইন্ডিয়া এভরি পাকিস্তানি ইজ জাভেদ মিঁয়াদাদ।

মিলখা সিংহ তো নিজেও আপত্তি করেননি...
আমার প্রশ্ন মিলখার আশেপাশেও কেউ কি ছিল না যে বলতে পারত ‘পাজি, দিজ ইজ নট হাউ ইউ লুকড লাইক দেন’। আমি বললেই লোকে ভাবে আমি হিংসে করছি। ফারহান আখতারের এফর্টকে ছোট করছি না। কিন্তু দর্শকের ওই সেক্সি চেহারার ফারহানকে ও ভাবে রোম্যান্স করতে দেখে এত ভাল লেগেছে, যে ছবিটার সাবলিমিনাল এফেক্টটা মনেই আসেনি।

বিশ্বজুড়ে কিংবদন্তিরা কি স্তাবকদের জ্বালায় অনেক ক্ষেত্রে সত্যিটা বোঝেন না?
যে দিন কিংবদন্তি হব, সে দিন এর উত্তর দেব (হাসি)।

বাংলার কোনও মাস্টারপিসকে আপনার এ রকম মনে হয়েছে?
স্মারক বক্তৃতায় এসেছি। এ সব বলব না।

অবশ্য আপনি তো বললেন যে ‘শতরঞ্জ...’ ইজ ওভাররেটেড...
লেকচারের দিন কেউ বলেছিলেন যে রে হিমসেল্ফ রেকগনাইজড দ্যাট হি ডিড’ন্ট কোয়াইট সাকসিড উইথ ‘শতরঞ্জ...’। আই হোপ হি ডিড। হি ওয়াজ সাচ আ গ্রেট ম্যান। ইট কান্ট বি দ্যাট হি ডিড নট নো।

আপনার অভিধানে তারকার অর্থ কী?
তারকারা ব্যবসায়ী পণ্য ছাড়া কিছুই নন। ওঁরা প্রেডিক্টেবল। হি হ্যাজ টু গেট দ্য বামস অন দ্য সিটস। একই সময় অ্যাক্টর হওয়া এবং অভিনেতা হওয়ার মধ্যে একটা সংঘর্ষের ব্যাপার থাকে। শুধুমাত্র ড্যানিয়েল ডে ল্যুইস-এর মতো ব্যতিক্রমী মানুষের পক্ষেই একই সঙ্গে তারকা-অভিনেতা হওয়াটা সম্ভব।

ভারতের কেউ?
না।

আপনি নিজে?
না, না। আমি ২০ জনকে সামলাতে পারি না, তো দু’হাজার লোককে কী ভাবে সামলাব? আই উড লুজ মাই বেয়ারিংস। আমি খুব কৃতজ্ঞ যে ও সবের মধ্যে দিয়ে আমাকে যেতে হয়নি। তবু ভাল ভাবে জীবন কাটাতে পেরেছি। তবে নতুনদের মধ্যে বলব নওয়াজ, ইরফান, মনোজ বাজপেয়ীরা এখন স্টারডমের দোরগোড়ায়। আমার ভয় যে, এই ইন্ডাস্ট্রি ষড়যন্ত্র চালাবে যাতে ওরা ওখানেই থাকে। কোনও কারণ নেই কেন কিছু অভিনেতাকে তারকা বলা হবে আর নওয়াজ, ইরফান আর কেকে-র মতো অভিনেতাদের হবে না। রণদীপ হুডাও ‘মনসুন ওয়েডিং’ থেকে অনেক উন্নতি করেছে। মনে হয় ও স্টার হওয়ার দিকেই এগোচ্ছে।

বাংলা থিয়েটার দেখেন? সে দিন লেকচারে তো বাদল সরকার আর উৎপল দত্তের প্রসঙ্গে কথা বললেন...
আজকাল দেখা হয় না। এখানে কি অল্পবয়সিরা ভাল নাটক লিখছে?

কিছু মৌলিক কাজ হচ্ছে। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী নিজেই নাট্যকার...
হুম... কলকাতায় এত কম সময় থাকি যে, থিয়েটার আর দেখা হয় না।

সমসাময়িক বাংলা সিনেমা দেখেন?
কিছুটা জানি। কিউ ইজ অ্যান ইন্টারেস্টিং ফিল্মমেকার। দেয়ার ইজ সৃজিত অলসো। হি মেড ‘অটোগ্রাফ’। হি ইজ ভেরি প্রলিফিক।

কিউ স্পেকট্রামের এক দিকে। আর সৃজিত একদম অন্য দিকে...
কিউ ইজ ওয়ান ইনসেন গাই। হি উইল কমপ্লিটলি ফলো দ্য ইমপালস। ওর মতো আরও সাহসী পরিচালক দরকার। হ্যাঁ, সৃজিত আর কিউ একদম আলাদা। সৃজিত ভাল স্টোরি টেলার। তবে আমি শুধুমাত্র ওর ‘অটোগ্রাফ’ দেখেছি।

ছবি: সুব্রত কুমার মণ্ডল

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement