যখন বিয়ে দিলে প্রাণে

ফাল্গুন মাসে। গোধূলি লগ্নে। বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। লিখছেন সংযুক্তা বসু।‘আবহমান’ কালের নিয়ম মেনে শেষ পর্যন্ত আগামী বসন্তে সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন নায়িকা অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। যখনই দেখা হয়েছে আগে বিয়ে নিয়ে কেমন যেন একটা অনীহা দেখাতেন তিনি। সেই মেয়েই এখন লাল বেনারসি পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৪ ০০:০০
Share:

পাত্রী জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্রাপ্ত অভিনেত্রী। পাত্র একটি বিশিষ্ট বিজ্ঞাপন সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট। পাত্রীর নাম অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। পাত্রের নাম রাজর্ষি বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

বিয়ের তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫।

বিয়ের সময়: গোধূলিলগ্ন।

Advertisement

বিবাহ বাসর লীলা রিসর্ট। কসবা।

‘আবহমান’ কালের নিয়ম মেনে শেষ পর্যন্ত আগামী বসন্তে সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন নায়িকা অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। যখনই দেখা হয়েছে আগে বিয়ে নিয়ে কেমন যেন একটা অনীহা দেখাতেন তিনি। সেই মেয়েই এখন লাল বেনারসি পরে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চলেছেন। শুধু তাই নয়, এই বিয়ের খবর ছাপার ব্যাপারে ফোন করাতে অনন্যা বললেন, “দাঁড়ান, বিয়ে নিয়ে কোনও কথা বলব কি না সেটা মাকে একবার জিজ্ঞেস করে নিই।”

তার মানে কি সম্বন্ধের বিয়ে? হাসতে হাসতে অনন্যা বললেন, “এক রকম সম্বন্ধেরই বিয়ে। তবে আমাদের আগে থেকে পরিচয় ছিল। ওদের বাড়ির থেকে আমার মায়ের কাছে প্রস্তাব আসার পর আমরা দু’জনেই বলাবাহুল্য রাজি হয়ে যাই। দুই বাড়ির উত্‌সাহে শেষ পর্যন্ত এটা দুই পরিবারের মিলনের অনুষ্ঠান হয়ে উঠতে চলেছে। এখন

তাই অভিভাবকদের কথা মেনে চলতেই হচ্ছে আমাদের। ওঁদের ইচ্ছে অনুসারে আমাদের বিয়ের আগে দেখাসাক্ষাত্‌ও বন্ধ। শুধু মাঝে মাঝে দরকার পড়লে ফোনে কথা। ক্কচিত্‌ দেখাশোনা।”

কবে কী ভাবে আলাপ হয় রাজর্ষির সঙ্গে? উত্তরে অনন্যা বললেন, “বছর দুয়েক আগে একটা ছবিতে কাজ করার ব্যাপারে কথা বলতে এসেছিল রাজ। ছবিটা শেষ পর্যন্ত হয়নি কিন্তু আমাদের আলাপটা জমে উঠল। যোগাযোগটা রয়েই গেল। তার পরের ঘটনা যা বললাম!” বলে খিলখিলিয়ে হাসতে হাসতে ফোনের অপর প্রান্তে চুপ করে গেলেন অনন্যা। কিন্তু কিছু দিন আগেও বিয়ের কথা উঠলে অনন্যা বলতেন, “পাত্র পাচ্ছি না তো। আমি তো ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির কাউকে বিয়ে করব না। চব্বিশ ঘণ্টা শ্যুটিংয়ের কাজ করলে বাইরের জগতের মানুষজনের সঙ্গে আলাপ হবেই বা কী করে?”

সেই অপেক্ষার অবসান ঘটল অবশেষে। রাজর্ষিকে মনে ধরেছে অনন্যার। বললেন, “খুব নম্র, ভদ্র ছেলে, আর খুব সিম্পল। ওর সারল্যটাই আমার ভাল লেগেছিল। তা ছাড়া বড়দের সম্মান করতে জানে। আমার তো মা আর দিদাকে নিয়ে সংসার। বাবা নেই। মা আর দিদাকে দেখার দায়িত্ব আমার। সেই দিকটা খুব ভাল বুঝতে পেরেছে ও। এটাও রাজকে পছন্দ হওয়ার বড় কারণ। বিয়ে করলেও আমি পুরনো দায়িত্বগুলো এড়িয়ে যেতে পারব না। এটা পাত্রের পক্ষে বোঝা জরুরি ছিল।” অনন্যা অভিনীত ‘আবহমান’, ‘ল্যাপটপ’য়ের মতো ছবি দেখে মুগ্ধ রাজর্ষি নিজেও একজন অভিনেতা। মুম্বইতে থাকাকালীন ‘স্পেশাল স্কোয়াড’ নামে এক ধারাবাহিকে প্রাইভেট ইনভেস্টিগেটরের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। রাজর্ষি চান বিয়ের পরেও অনন্যা তাঁর ‘সেরিব্রাল’ অভিনয় চালিয়ে যান। এই মুহূর্তে অনন্যা তিনটি ছবির কাজ প্রায় শেষ করেছেন। আর তারই ফাঁকে শুরু হয়ে গিয়েছে বিয়ের কেনাকাটা। “আমার গয়নাগাঁটি, বরের ঘড়ি, আংটি কেনা হয়েছে। আর কিছু হয়নি,” সোত্‌সাহে বললেন অনন্যা। জানা গেল বিয়ের বেনারসি এবং বরের ধুতি পাঞ্জাবির ডিজাইন করবেন শর্বরী দত্ত।

‘যদি লভ দিলে না প্রাণে’র নায়িকা এই বার বলতেই পারেন ‘যখন বিয়ে দিলে প্রাণে’! অপেক্ষা এখন ফাল্গুন মাসের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement