শিয়রে ভোট। রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। ঠিক সেই সময় বহরমপুর মেতে উঠল নাট্যোৎসব ও কবিতা কার্নিভাল নিয়ে।মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে ঋত্বিকের ‘দেশ বিদেশের নাট্যমেলা’। আগামী বুধবার থেকে শুরু হবে রঙ্গাশ্রমের ছ’দিনের ‘নাট্য সমারোহ’। ওই দুটি নাট্যোৎসবের মাঝে, শনিবার দিনভর প্রায় শতাধিক কবির স্বরচিত কবিতা-কথায় ও আড্ডায় মুখর হয়ে উঠবে বহরমপুর শহর। রবিবার ‘শাহবাগ আন্দোলন ও মুর্শিদাবাদ’ নামে সংকলন গ্রন্থ প্রকাশিত হবে।
একদিকে ভোট নিয়ে ব্যস্ততা, অন্য দিকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা। তার প্রভাবও পড়েছে নাট্যোৎসবে। ঋত্বিক নাট্যগোষ্ঠীর সম্পাদক মোহিতবন্ধু অধিকারী বলছেন, “এই সময়ে নাট্যোৎসব আয়োজনের ফলে আমাদের যাঁরা নিয়মিত দর্শক তাঁরা আসতে পারছেন না। ভোটের কাজে ব্যস্ত সরকারি কর্মীদের দীর্ঘ সময়ে অফিসে কাটাতে হচ্ছে। ফলে তাঁরা নাটক দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। পরীক্ষার কারণে অভিভাবকরাও তেমনভাবে আসতে পারছেন না।” নাট্যোৎসব হওয়ার কথা ছিল গত বছর ডিসেম্বর মাসে।
মোহিতবন্ধুবাবু বলেন, “প্রতিবার ডিসেম্বরেই আমরা নাট্যোৎসবের আয়োজন করি। কিন্তু বহরমপুর রবীন্দ্রসদন সংস্কারের জন্য নাট্যোৎসবের সময় পিছিয়ে দিতে বাধ্য হই। এখনও পর্যন্ত সংস্কারের কাজ শেষ হয়নি। ফলে মুর্শিদাবাদ সুইমিং অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে অস্থায়ী নাট্যমঞ্চ তৈরি করে নাট্যোৎসব করার প্রস্তুতি শুরু করি। কিন্তু নাট্যোৎসব শুরুর সাত দিন আগে পূর্ত দফতর ও জেলাপ্রশাসনের সহযোগিতায় রবীন্দ্রসদন মঞ্চে নাট্যোৎসব আয়োজন সম্ভব হয়েছে।”
শনিবার রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে কবি ও সাহিত্যিকরা জড়ো হচ্ছেন ‘কবিতা কার্নিভাল’-কে ঘিরে। বহরমপুর বাসস্ট্যান্ডের মোহনা হলে ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উদ্যোক্তাদের পক্ষে সমীরণ ঘোষ জানান, বাংলার লোকায়ত ঐতিহ্য ও কৃষ্টির চর্চা, অনুসন্ধান, সংরক্ষণ এবং সকলের কাছে পরিবেশনের জন্য বাংলার কথামুখ নামে একটি সংস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
শুক্রবার ছিল বিশ্ব পুতুল দিবস। সেই উপলক্ষে কলকাতায়
মধুসূদন মঞ্চের সামনে নানা জেলার শিল্পীদের পুতুলনাচ
প্রদর্শনীর ছবিটি তুলেছেন রণজিৎ নন্দী।
‘দেখে যা নিজের চোখে’। শুক্রবার, মধুসূদন
মঞ্চের সামনে পুতুলনাচের উৎসবে।
ছবি: রণজিৎ নন্দী।