সত্যবতী হয়ে ফের ফিরে আসছেন ঊষসী চক্রবর্তী। ‘আদিম রিপু’, ‘চিত্রচোর’য়ের পর ‘বেণীসংহার’ ছবিতে ধারাবাহিকতা মেনেই তাঁকে ফিরতে হচ্ছে। কখনও মানে-অভিমানে, কখনও বন্ধুত্বের সাহচর্যে, কখনও বা দাম্পত্য কলহে যে সত্যবতীকে আমরা বড় পর্দায় দেখে আসছি আবার সেই ভূমিকায় ঊষসী। ‘ব্যোমকেশ’ আবির চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জমে উঠছে তাঁর ‘সত্যবতী’ রসায়ন।
সত্যবতী চরিত্রের প্রতি ঊষসীর অনুরাগ কেন এই প্রশ্ন উঠতে তিনি বললেন, অঞ্জন দত্ত তাঁকে চরিত্রটা বুঝিয়ে বলেছিলেন ব্যোমকেশ পৃথিবীর সেই বিরলতম গোয়েন্দা যে একসঙ্গে সত্যান্বেষী অন্য দিকে ছেলে বৌ নিয়ে ঘোরতর সংসারী। আমাদের যে প্রচলিত ধারণা আছে অ্যাডভেঞ্চার করতে গেলে সংসার-সন্তান হয় না, শরদিন্দু কোথায় যেন সেই মিথটাকে ভেঙে দিয়েছেন। এবং সেই মিথকে আরও ভেঙেছেন অঞ্জন। সেই জন্যই সত্যবতী অনন্য হয়ে উঠেছে ঊষসীর কাছে।
সত্যবতীর প্রতি ঊষসীর আকর্ষণের কারণ, সত্যবতীর সাজে পোশাকে, কথায়-বার্তায় একটা সাবেকিয়ানা আছে, আবার তার মধ্যে একটা অন্তর্নিহিত শক্তিও আছে। যে শক্তি দিয়ে সে তার চারপাশকে বিচার করে, ব্যোমকেশের মতো ক্ষুরধার যুক্তিওয়ালা মানুষকে প্রভাবিত করে, এমনকী কখনও কখনও নিয়ন্ত্রণও করে।
কিন্তু সত্যবতীর চরিত্রে ঊষসীকে কেন পছন্দ হল পরিচালক অঞ্জনের? তিনি বললেন, “ঊষসীর মধ্যে একটা লেখাপড়ার ব্যাপার আছে। আছে সেই সঙ্গে সাধারণ মেয়ে হয়ে ওঠার আমেজ। এই দুই কারণেই সত্যবতীর চরিত্রে ওকে ভেবেছিলাম।” সত্যবতী-ঊষসীর সঙ্গে আবির-ব্যোমকেশের রসায়ন জমিয়ে তুলতে যে পরিচালক যথেষ্ট সাহায্য করেছিলেন, সে কথাও বললেন ঊষসী। ‘চিত্রচোর’ করার সময় ব্যোমকেশ আর সত্যবতীর রসায়ন জমাতে পরিচালক তাঁদের পাঠাতে চেয়েছিলেন পূর্ণিমারাতে জঙ্গলে হাতি দেখতে। হাতি দেখার নির্দেশ পেয়ে তো আবির আর ঊষসী ভয়েই জড়োসড়ো। শেষমেশ হাতি দেখতে না গেলেও রসায়নটা জমে উঠেছিল। “এখন তো আমি আর আবির খুব বন্ধু” বলছেন ঊষসী।
ব্যক্তিগত জীবনে ঊষসী এখনও অবিবাহিতা। তিনি কি ব্যোমকেশের মতোই বর চান? ঊষসী বললেন, “ব্যোমকেশের সঙ্গে প্রেম করা যায়, কিন্তু বিয়ে করলে অজিতের মতো কাউকে করা উচিত। অজিত অনেক বেশি কমপোজড।”