প্রিয়ঙ্কা চোপড়া তখন সবে মিস ওয়ার্ল্ড হয়েছেন। সেই সময় তাঁর বয়ফ্রেন্ড ছিলেন মডেল অসীম মার্চেন্ট। তবে তারকাদের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে যে ভাবে সম্পর্ক ঝরে যায়, ঠিক একই ভাবে প্রিয়ঙ্কা-অসীম আলাদা হয়ে যান। ২০১৪-তে এই অসীম আবার শিরোনামে। ‘৬৭ ডেজ’ বলে এক বায়োপিকের প্রযোজক তিনি। প্রিয়ঙ্কার প্রাক্তন সেক্রেটারি প্রকাশ জাজুকে নিয়ে এই ছবি। যে প্রকাশের সঙ্গেও প্রিয়ঙ্কার পরিবারের যথেষ্ট ঝামেলা হয়েছিল। এমনকী শেষ পর্যন্ত প্রকাশের বিরুদ্ধে অভিযোগের জন্য তাঁকে ৬৭ দিন জেল-ও খাটতে হয়েছিল।
তবে এই বায়োপিকের খবরটা যত না চাঞ্চল্যকর, তার থেকেও চমকে দেওয়ার মতো খবর আরও দু’টো বায়োপিক তৈরির সিদ্ধান্ত। একটি হল সত্তরের এক ডনকে নিয়ে। ছবিটি এই ডনের ছেলের দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই তৈরি হবে। আর তিন নম্বর বায়োপিকটার বিষয়টা যেন আরও চেনা। এক মিডিয়া ব্যারনের বিরুদ্ধে তার কলিগের ধর্ষণের অভিযোগ নিয়ে তৈরি হবে সে ছবি! সবক’টাই শুরু হবে ২০১৪-তে।
হঠাৎ অসীমের এই অদ্ভুত বায়োপিক-প্রীতি কেন? “আমার কোম্পানি লাইমলাইট মোশন পিকচার্স প্রাইভেট লিমিটেড-এর তরফ থেকে হার্ডহিটিং ছবি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কঠিন বাস্তব থেকে অনুপ্রাণিত ছবি। ডনের ছবিটার নাম ‘তরিখ’ আর তৃতীয়টার নাম ‘হোয়াই’। তিনটিই হিন্দি ছবি। প্রত্যেকটা ছবি সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষদের নিয়ে তৈরি হবে,” বলেন অসীম।
ভয় হচ্ছে না আমাদের দেশে এ রকম সংবেদনশীল বিষয় নিয়ে ছবি বানাতে? “আমি ভগবান ছাড়া কাউকে ভয় পাই না। ‘৬৭ ডেজ’ ছবিটা জেলে কাটানো ৬৭ দিনকে কেন্দ্র করেই। যখন ও (প্রকাশ জাজু) ফিরে দেখে, বুঝতে চেষ্টা করে কী ভাবে ওর বলিউডের সঙ্গে গাঁটছড়া তৈরি হয়। যে ডনের কথা বলছি, তার ছেলের সঙ্গে আমি এক্সক্লুসিভ রাইট সই করেছি। চিত্রনাট্য রেডি। লিগাল টিমও গোটা ব্যাপারটা খুঁটিয়ে দেখছে,” বলছেন অসীম। তৃতীয় ছবিটির বিষয় শুনে অনেকেই তার সঙ্গে তরুণ তেজপাল কাণ্ডের যোগ খুঁজে পেতেই পারেন। এ কথা অসীমকে জানাতেই তিনি হেসে বলেন, “নো কমেন্টস।”
ছবির পরিচালক আর অভিনেতাদের নাম এখনও ঠিক হয়নি। অসীম নিজেও তো ‘ওয়ান্টেড’ ছবিতে অভিনয় করেছেন। চান নাকি ক্যামেরার সামনে যেতে? “যদি এমন কোনও চরিত্র থাকে, যেখানে আমি ফিট করতে পারি, তা হলে আপত্তি নেই!” বলে কথা শেষ করেন অসীম।