চোপ...

সেন্সর বোর্ডের নিষিদ্ধ শব্দতালিকা দেখে হতবাক ফিল্মি দুনিয়া। এখন উপায়? লিখছেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্তসেন্সর বোর্ডের নিষিদ্ধ শব্দতালিকা দেখে হতবাক ফিল্মি দুনিয়া। এখন উপায়? লিখছেন প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:০১
Share:

মনে আছে ‘আঁখে’ ছবির সেই ‘খেত গয়ে বাবা, বাজার গয়ি মা, অকেলি হু ঘর মে তু আজা বলমা’? ‘আন্দাজ’ ছবির সেই ঐতিহাসিক ‘খাড়া হ্যায়, খাড়া হ্যায়’ গান? দু’‌টো ছবির প্রযোজক ছিলেন পহেলাজ নিহালনি। সেই পহেলাজ যিনি আজ সেন্সর বোর্ডের কর্ণধার। সম্প্রতি যিনি ভারতীয় ছবি থেকে ২৪টি শব্দকে বাতিল বলে ঘোষণা করেছেন। সঙ্গে রয়েছে হিংসা, রক্তপাত এবং দ্ব্যর্থক শব্দের প্রয়োগ।

Advertisement

আর তা নিয়েই যত গণ্ডগোল ফিল্মি দুনিয়ায়! চিত্রনাট্যকারদের মাথায় হাত। তবে কি অ্যান্টিসেপ্টিক লোশনে কলম চুবিয়ে লিখতে বসতে হবে এ বার? পরিচালকরাও সরব শিল্পীস্বাধীনতাকে আক্রান্ত হতে দেখে। এমনকী অনর্থক গালাগালি দিয়ে ছবি হিট করানোর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধেও যাঁরা সোচ্চার ছিলেন, তাঁরাও অনেকে ক্ষিপ্ত। এখন উপায়?

শুধু বাচ্চাদের সিনেমা বানাতে হবে না কি!

Advertisement

সৃজিত মুখোপাধ্যায়

এ রকম নিয়ম আগে থাকলে আমার ‘২২ শে শ্রাবণ’ কেন, আরও অনেক ছবিই মুক্তি পেত না। এখন দেখছি শুধু ছোটদের সিনেমা বানানো যাবে। সেটা আমি করব না। আমি বেশ্যালয় নিয়ে ছবি বানাব আর তার বাইরে বোর্ডে লিখব নিক্কো পার্ক? আর সেখানের মানুষজন কি মিকি মাউস আর ডোনাল্ড ডাকের মতো কথা বলবেন? যে দেশে রোজ দশটা রেপ আর এত খুন হচ্ছে সেখানে আমরা সিনেমাতে ভায়োলেন্স দেখাতে পারব না। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতেই হবে। সংসদে আলোচনা হোক। প্রয়োজনে সাংসদদের সঙ্গেও আমাদের এ নিয়ে কথা বলতে আপত্তি নেই।

এই সপ্তাহে এ নিয়ে মিটিং-এ বসব

বাবুল সুপ্রিয়

ব্যক্তিগত ভাবে আমি এ রকম একটা তালিকাকে সমর্থন করি না। পহেলাজ নিহালনিকে আমি অনেক দিন হল চিনি। ওঁর অনেক ছবিতে আমি গানও গেয়েছি। তবে এটুকু বলতে পারি সেন্সর বোর্ড ‘ইউ’, ‘এ’, ‘ইউ/এ’— এই সব সার্টিফিকেশন দিতে পারে। কিন্তু এ রকম একটা তালিকা কি বোর্ড তৈরি করতে পারে? জানা নেই। এই বিষয়ে আমার তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন রাঠোরের সঙ্গে কথা হয়েছে। আমি চেষ্টা করছি যাতে এই সপ্তাহে এ নিয়ে একটা মিটিং করা যায়। যেখানে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির লোকেরাও থাকতে পারেন। ‘নো স্মোকিং’ লাইনটা যে ফিল্মের স্ক্রিনে লেখা হয় সে নিয়েও অনুরাগ কাশ্যপের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। অনুরাগের ‘বম্বে ভেলভেট’-এ ‘স্মোকিং’ দৃশ্য রয়েছে। ধূমপান খারাপ সেটা জানা। কিন্তু পরিচালকদের যুক্তিও শোনা দরকার। এই বিষয়ে রাজ্যবর্ধন, অনুরাগ আর আমি একত্রে বসব। আমার মতে ওই স্ক্রোলটা না দিয়ে একটা ছবির বাজেটের দশ শতাংশ খরচ করে ধূমপান ক্ষতিকারক বিষয়ক তথ্যচিত্র তৈরি হোক। কিন্তু শিল্পীর স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ নয়। আমরা ডিসএগ্রি করতে পারি। তবে ডিসএগ্রিএবল হতে পারি না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement