ইন্ডাস্ট্রিতে ছেলে খুঁজতে আসিনি

গতকাল ছিল জন্মদিন। পার্টিতে অকপট পায়েল সরকার। সামনে প্রিয়াঙ্কা দাশগুপ্ত।ইন্ডাস্ট্রিতে তো আমি ছেলে খুঁজতে আসিনি। বিয়েও করতে আসিনি। কাজ করতে এসেছি।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:০৪
Share:

জন্মদিনে বয়স বলতে মানা?

Advertisement

আমাকে দেখে যা মনে হচ্ছে, সেটাই আমার বয়স!

Advertisement

সামনে অঞ্জন দত্তর ‘হ্যামলেট’য়ে আপনি ওফেলিয়া। সুজন মুখোপাধ্যায়, মৈনাক ভৌমিকের ছবি করছেন। আপনি তো রোজ আইপিএল ম্যাচ খেলছেন!

আমি প্ল্যান করে করিনি। প্লেজ্যান্ট সারপ্রাইজ বলতে পারেন।

রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে ব্রেক-আপের পর আপনি যে ভাবে ফিরে এলেন, তা অনেক নায়িকার কাছেই অনুপ্রেরণা হতে পারে...

অনুপ্রেরণা— এত বড় কথা বলব না। ইন্ডাস্ট্রিতে তো আমি ছেলে খুঁজতে আসিনি। বিয়েও করতে আসিনি। কাজ করতে এসেছি। ব্রেক-আপের পর আমি কিন্তু নিজেকে একদম ডিট্যাচ করেছিলাম। আমার জীবনে যদি কোনও দুর্ঘটনা ঘটে থাকে, তা হলে সেই ভুলটা থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে চাইব।

আপনি কি ওই চার বছরের সম্পর্কটাকে ‘ভুল’ বলবেন?

ইয়েস, দ্যাট ওয়াজ দ্য রং টাইমিং, রং ডিসিশন অ্যান্ড রং পার্সন! ও আমার জন্য ঠিক ছিল না। আমার আরও সময় নিয়ে ভাবা উচিত ছিল। বাবা-মা আগের সম্পর্কটা নিয়ে খুশি ছিলেন না। সরাসরি হয়তো বলেননি। তবে না করলেই যে ভাল হয়, সেটা অনেক বার বোঝাতে চেয়েছিলেন। ব্রেক-আপের পর বাবা বলেছিলেন: ‘এ বার তুমি বুঝলে তো বাবা-মা, বাবা-মাই থাকেন?’ মা বলেছিলেন চোখ বন্ধ করে ঝাঁপিয়ে পোড়ো না।

আপনার ওপর তো ‘আদার ওম্যান’-এর একটা ট্যাগও ছিল...

হ্যাঁ। যখন কথা ওঠে, তখন উচিত দু’জনকে সমান ভাবেই উত্তর দেওয়া। কিন্তু একটা সময় দেখলাম আমিই সব হ্যান্ডেল করছি। আমি তো একা সম্পর্কে ছিলাম না। তা হলে আমাকেই কেন দায়িত্ব নিতে হবে?

আপনার প্রতি কোনও পুরুষের কোন আচরণটা সব থেকে খারাপ লেগেছে?

নাম বলব না। আমাকে একজন আন্ডারএস্টিমেট করেছিল। কিন্তু নিজেকে এমন জায়গায় নিয়ে গিয়েছি যাতে সে উল্টোটাই ভাবতে বাধ্য হয়েছে। তার ক্ষতি করার মতো আমার সময় নেই। একটা সময় বলা হত পায়েল কিছু কিছু ছবিতেই কাজ করতে পারে। সেটা আমি ভেঙেছি।

গত ছ’মাসে নিজের সম্পর্কে সবচেয়ে বড় গসিপ কী শুনেছেন?

আমি নাকি একসঙ্গে ৫-৬ জনের সঙ্গে প্রেম করছি! অ্যান্ড অ্যাম হ্যাভিং আ ব্লাস্ট উইথ অল অব দেম!

আমিও এটাই শুনেছি। তা ছাড়াও শুনেছি পায়েলের যত সংখ্যক ছবি, ঠিক ততগুলো সম্পর্ক রয়েছে!

এটা কি সম্ভব? একজন নায়িকা কি এমনি এমনি সাতটা ছবি করতে পারে না? সেটা করতে গেলেই কি তাকে এ রকম সম্পর্ক রাখতেই হবে? আজ বয়ফ্রেন্ড থাকলে কেউ এ সব বলত না। কই একজন হিরো যদি পাঁচটা মেয়ের সঙ্গে নাচে, তা হলে এ সব গুজব রটে না! তবে গুজবে রাগ দেখানোর মতো সময় আমার নেই।

ক’জন পরিচালককে ডেট করেছেন?

রাজ চক্রবর্তী। বাকিদের আমি ডেট করিনি। ‘ফ্রেন্ডস উইথ বেনেফিট’-এ আমি বিশ্বাস করি না।

এখন আপনি কি একটু বেপরোয়া হয়ে গিয়েছেন?

না। চিরকালই আমি একটু ব্যালান্সড্ জীবন কাটিয়েছি। ডিস্কে গিয়েছি। আমার যখন ২২-২৩ বছর বয়স, মুম্বইয়ে গিয়ে একা থেকেছি।

শুনেছি কিছু মাস আগে দুই পুরুষ আপনাকে নিয়ে তুমুল ঝগড়া বাধিয়েছিলেন?

ওমা, তাই নাকি! দেখতে চাই সেটা।

এমনটা সামনে ঘটলে কী করবেন?

ডিস্ট্রিবিউট করব না নিজেকে। দু’জনকেই মুভি দেখাব একসঙ্গে। আমি মাঝখানে বসব। ভাল মুভি হলে দু’জনের ঝগড়া থেমে যাবে।

সেটল করতে চান না?

আমি সিঙ্গল। এই চার বছরের হারানো সময়টা মেক-আপ করছি। ফোকাস নষ্ট করতে চাই না।

তবু উঠতি নায়ক থেকে আঁতেল পরিচালক, প্রযোজক থেকে ডিস্ট্রিবিউটর— সবার সঙ্গে আপনার লিঙ্ক আপ। গদগদ লাগে না?

শুধু মেল অ্যাডুলেশন হলে খারাপ লাগত না। কিন্তু এ ক্ষেত্রে ‘ওয়াও ফ্যাক্টর’ নেই কারণ বলা হয় এঁদের সবার সঙ্গে যোগাযোগ থাকার জন্যই নাকি আমি এত কাজ পাচ্ছি।

ঈর্ষা থেকে এটা বলা হচ্ছে?

হতে পারে। বা এটাও তো হতে পারে যে এ সব কথা ছড়ালে আমার ট্যালেন্টকে ক্রেডিট দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। নায়িকাদের প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়াটা তো সহজ কথা নয়।

গুজব রটিয়েদের কী বলবেন?

(হাসি) বলব পারলে করে দেখাও। আমি তো না করিনি।

ছেলেদের চোখে মক্ষীরানি হওয়ার টিপস দেবেন?

(হাসি) ওটা নিজের প্রতিভা। টেস্ট পেপার সলভ্ করে কাজ দেবে না।

এক পার্টিতে পাঁচ জনের সঙ্গে আপনার নাচের ছবি দেখলে মনে হয় সবাই আপনার কাছে স্পেশ্যাল!

(হাহাহাহা) ধুত। মেয়েদের সঙ্গে নাচলে এটা বলতেন? আসলে যাঁদের কথা বলছেন, এঁরা জানেন কেউ স্পেশাল নন। সবাই বন্ধু। পার্টিতে যা হচ্ছে, ওখানেই শুরু, ওখানেই শেষ। হ্যাংওভার নিয়ে কেউ বাড়ি ফেরে না।

কেউ যদি বলে, ডাহা মিথ্যে বলছেন!

বলব গো টু হেল!

আপনার কোনও বিভীষিকা আছে?

ভয় লাগে ভেবে যে আমাকে তো সারা জীবন সুন্দরী দেখতে লাগবে না...

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement