যশ দাশগুপ্ত।
অনেক হয়েছে আর না। নিজের কাছে আর কত ভাল থাকা যায়? ইনস্টায় ছবি দিয়ে নিজেকেই প্রশ্ন করেছেন অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। তিনি লিখেছেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে নিজের চোখে নিজেকে ভাল দেখানো...শয়তানের চোখে তো ঈশ্বরও ভাল নয়।’
নুসরত মা হবেন। সম্প্রতি, তাঁর গর্ভাবস্থার ছবিও প্রকাশ্যে এসেছে। তার আগে থেকেই টলিপাড়ায় সাংসদ-অভিনেত্রীর সঙ্গে যশ দাশগুপ্তের ‘বিশেষ বন্ধুত্ব’ নিয়ে জোর চর্চা চলছে। আরও খবর, গত ৬ মাসেরও বেশি সময় ধরে নাকি তাঁরা এক ছাদের নীচে থাকছেন। এ দিকে, নুসরতের অনাগত সন্তানের পিতৃত্ব অস্বীকার করেছেন নিখিল জৈন। ফলে, দুইয়ে দুইয়ে চার করতে সিদ্ধহস্ত নেটমাধ্যম ধরেই নিয়েছে যশের ভালবাসাকেই পৃথিবীর আলো দেখাতে চলেছেন নুসরত। এ নিয়ে যশ অবশ্য প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি। ইনস্টাগ্রামে নানা বক্তব্যের মাধ্যমে নিজের মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। তাতেও নেটাগরিকরা চুপ থাকেননি। যশকে নিয়ে নানা মিম তৈরি করে তাঁকে আক্রমণ করেছেন নিয়ম করে।
তবে এ কথা অনঃস্বীকার্য নুসরত চর্চার অংশ হলেও, নুসরতের মতো ট্রোলের শিকার তাঁকে হতে হয়নি এখনও। তা তাঁর ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মন্তব্য বাক্স দেখলেই স্পষ্ট। তাঁকে ভালবাসা জানাতে, তাঁর একটি পাল্টা মন্তব্য পেতে, তাঁর এক ঝলক দেখতে মুখিয়ে থাকেন নেটাগরিকরা। তবে টলিপাড়ার গুজবের প্রভাব এ বার ধীরে ধীরে তাঁর উপরেও পড়ছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে একটি ছবি দিয়েছিলেন যশ। নীল রঙের জামা পরে দাঁড়িয়ে আছেন অভিনেতা। সঙ্গে লেখা, ‘নীলের বিভিন্ন রূপ দিয়ে আমার মনের অবস্থাগুলি চিহ্নিত করব।’
সেই ছবির তলায় অসংখ্য প্রেমের নিবেদনের মধ্যে এক জন নেটাগরিক তোপ দাগলেন অভিনেতার দিকে। নেটাগরিক লিখেছিলেন, ‘তুমি অনেকের অনুপ্রেরণা ছিলে। তাই বলছি, অন্য কাউকে এ রকম শিক্ষা দিও না যে তারাও অন্য কারও জীবন নরকে পরিণত করে। অন্তত তোমার পরের প্রজন্মকে অমানুষ হতে শিখিও না। এতটুকুই অনুরোধ ছিল।’ প্রশ্ন জাগে, পরের প্রজন্ম বলতে কোথাও গিয়ে কি যশের সন্তানের কথা বলতে চাইলেন সেই নেটাগরিক?
এই ধরনের মন্তব্যে বিরক্ত হয়েই কি যশ লিখলেন, ‘যথেষ্ট হয়েছে।’ আর ভাল মানুষ দেখানোর জন্য তিনি এ বার হয়ত শুধুই ‘ভাল কথা’ বলবেন না। তা হলে কি তাঁর জীবন নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলবেন অভিনেতা?