করিনা, সইফ এবং তৈমুর
মা শর্মিলা ঠাকুর থেকে শুরু করে মেয়ে সারা আলি খান, সবাই অভিনয়ে। বাবা মনসুর আলি খান পটৌডি, দিদি সাবা এবং ছেলে ইব্রাহিম আলি খান ছাড়া সইফ আলি খানের গোটা খানদান ফিল্মি। শুধু তাই নয়, সইফের স্ত্রী করিনা কপূর, প্রাক্তন স্ত্রী অমৃতা সিংহ-ও জনপ্রিয় অভিনেত্রী। একই ভাবে বোন সোহা আলি খান, ভগ্নিপতি কুণাল খেমুও রুপোলি পর্দার জগতে। তা হলে তাঁর মেজ ছেলে তৈমুর আলি খানই বা বাকি থাকে কেন? এমনই দাবি জনৈক সইফ অনুরাগীর। সেই সূত্র ধরেই তাঁর আবদার, এ বার আমেরিকান ছবি ‘বেবি’জ ডে আউট’-এর সফল রিমেক বানান সইফ। তাঁর ছেলে তৈমুরকে নিয়ে।
অনুরাগীর আরও যুক্তি, বলিউডে সব থেকে ঠান্ডা মাথার বাবা সইফ আলি খান। চার সন্তানকে দিব্যি সামলাচ্ছেন তিনি। তাই এই অসম্ভবও একমাত্র তাঁর দ্বারাই সম্ভব। জানা গিয়েছে, অনুরাগীর এই আবদারে নাকি সাড়াও দিয়েছেন সইফ। তাঁর কী বক্তব্য? অভিনেতার সাফ জবাব, তিনি যতটা ধীর-স্থির তৈমুর ততটাই দুরন্ত। তিনি জানেন, কিছুক্ষণ শ্যুটের পরেই ধৈর্য হারিয়ে সব ভন্ডুল করে দেবে সে। ওকে সামলানো তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। একই সঙ্গে অনুরাগীকে পাল্টা অনুরোধ সইফের, ‘‘আপনি বরং আমাদের নিয়ে চেষ্টা করতে পারেন। হয়তো আপনিই সফল হবেন।’’
সত্যি সত্যিই তৈমুরকেও অভিনয়ে আনছেন সইফ? স্বাভাবিক ভাবেই এমন প্রশ্ন উঠে এসেছে। এর আগে এক সাক্ষাৎকারে যদিও অভিনেতা জানিয়েছেন, তাঁর মা কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায়ের আবিষ্কার। তাঁর একাধিক ছবির নায়িকা। পরিবারের প্রায় সবাই বিনোদন জগতের সঙ্গে যুক্ত। এই জায়গা থেকেই সইফের দাবি, তিনি নিশ্চিত, তৈমুরও আগামী দিনে রুপোলি পর্দার হাতছানিতেই সাড়া দেবে।