পাখির চোখ আগামী ২ এপ্রিল। কারণ ওই দিন অনুরাগীদের সঙ্গে বিশেষ মিটিং করবেন সুপারস্টার রজনীকান্ত। তারপরই তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার ফের ঝালিয়ে নেওয়ার সম্ভবনা দেখা যেতে পারে। তবে এখনই তামিলনাড়ু জুড়ে বেশ কিছু পোস্টার পড়েছে। যেখানে রজনীর রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার ইঙ্গিত রয়েছে।
আরও পড়ুন, প্রকাশ্যে রানিকে উপেক্ষা করলেন কাজল-অজয়!
তামিল জনতার একটা বড় অংশের ইচ্ছে, এ মুহূর্তে রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে যোগদান করে তামিলনাড়ুকে বাঁচান থালাইভা। যদিও রজনীর ঘনিষ্ঠ সূত্রের দাবি, এখনও পর্যন্ত এটা গুজব। তাঁর মুখমাত্র জানিয়েছেন, বছরে একবার করে অনুরাগীদের সঙ্গে দেখা করেন রজনী। বিভিন্ন জেলা থেকে অনুরাগীরা চেন্নাই যান তারকার সঙ্গে দেখা করতে। এটাও সেই বার্ষিক মিটিং। তবে মিটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন, তৈমুরের জন্য কোন পছন্দের জিনিস ছাড়লেন করিনা?
এ দিকে গত বৃহস্পতিবার রজনীর বিশেষ আমন্ত্রণে চেন্নাইতে পৌঁছন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ডাটো শ্রী নাজিব টান রাজাক। মালয়েশিয়ায় ‘কাবালি’র শুটিংয়ের সময় রজনী প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষ আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। গতকাল তাঁদের মধ্যে বৈঠকও হয়। সূত্রের খবর, মালয়েশিয়া সরকার তাদের ট্যুরিজমের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডার করতে চান রজনীকে।
এই পোস্টারই প্রশ্ন তুলেছে। ছবি: সংগৃহীত।
গত ২০ বছর ধরে অনুরাগীরা রজনীকে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সাপোর্ট করলেও কখনওই সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেননি তিনি। খুব সাধারণ জীবন যাপন করেছেন। অভিনয়কেই প্রথম প্রায়োরিটি দিয়েছেন রজনীকান্ত। তিনি কি সত্যিই এ বার তামিল জনগণের ডাকে রাজনীতিতে যোগ দেবেন? উত্তর সম্ভবত পাওয়া যাবে ২ এপ্রিলের পর।