স্মিথের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার তোড়জোড় শুরু ঘটনার পর থেকেই। ইতিমধ্যে অ্যাকাডেমির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন স্মিথ। সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণও করে অ্যাকাডেমি। এর পরেই অভব্য আচরণের শাস্তি হিসেবে স্মিথের অস্কার কেড়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু হয়।
অস্কার খোয়াবেন উইল স্মিথ?
স্ত্রীকে নিয়ে রসিকতা মেনে নিতে পারেননি। অ্যাকাডেমি পুরস্কারের মঞ্চে উঠে সটান সঞ্চালক ক্রিস রককে চড় মেরে বসেছিলেন উইল স্মিথ। তাই নিয়ে তুলকালাম। ক্ষমাপ্রার্থনা করেও রেহাই পাননি এ বছরের অস্কারজয়ী অভিনেতা। পিছু ছাড়েনি বিতর্কও। শাস্তি স্বরূপ এ বার কি কেড়ে নেওয়া হবে তাঁর পুরস্কার? সিদ্ধান্ত হতে পারে শুক্রবারই। যদিও স্মিথের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া নিশ্চিত হলেও অস্কার কেড়ে নেওয়ার প্রশ্নে এখনও দু’ভাগ অ্যাকাডেমির বোর্ড সদস্যরা।
অ্যাকাডেমির বোর্ডের সদস্যসংখ্যা ৫৪ জন। তার মধ্যে ২৫ জন মহিলা। তাঁদের উপরেই সিদ্ধান্তের ভার। দফায় দফায় আলোচনা, ভিডিয়ো কনফারেন্সের পরে এক দল চাইছেন স্মিথের অস্কার কেড়ে নেওয়া হোক। অন্য দলের বক্তব্য এতটা কঠিন শাস্তি না দেওয়াই ভাল।
অস্কার পুরস্কারের মঞ্চে চূড়ান্ত অনভিপ্রেত আচরণের পরেই ‘কিং রিচার্ড’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান স্মিথ। পুরস্কার মঞ্চে দাঁড়িয়েই মেজাজ হারিয়ে ক্রিসকে চড় মারার জন্য ক্ষমাপ্রার্থনা করেন অভিনেতা। তাতে মন গলেনি অ্যাকাডেমির। তাঁদের দাবি, শুধু চড় নয়, ক্রিসকে গালিগালাজও করেছেন স্মিথ। ঘটনার পর তাঁকে বেরিয়ে যেতে বলা হলেও তোয়াক্কা করেননি। স্মিথের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার তোড়জোড়ও শুরু তখন থেকেই। ইতিমধ্যে অ্যাকাডেমির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন স্মিথ। সঙ্গেই সঙ্গেই সেই পদত্যাগপত্র গ্রহণও করে অ্যাকাডেমি। এর পরেই অভব্য আচরণের শাস্তি হিসেবে স্মিথের অস্কার কেড়ে নেওয়ার প্রসঙ্গে আলোচনা শুরু হয়।
গোটা বিশ্বে অ্যাকাডেমির মোট সদস্য সংখ্যা ৯ হাজারের বেশি। স্মিথের অস্কার কেড়ে নেওয়া নিয়ে মতভেদ তাঁদের সকলের মধ্যেই। এক দল পুরস্কার কেড়ে নেওয়ার পক্ষে। আর এক দল মনে করিয়ে দিচ্ছেন, যৌন হেনস্থায় দোষী সাব্যস্ত হার্ভে ইউনস্টিন কিংবা শিশু ধর্ষণের অপরাধী রোমান পোলান্সকির পুরস্কার কেড়ে নেওয়া হয়নি। তা হলে স্মিথের বেলায় তা হবে কেন?