(বাঁ দিক থেকে) সলমন খান, বাবা সিদ্দিকি, শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত।
ডন লরেন্স বিশ্নোইয়ের দলের সদস্যেরা মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন নেতা বাবা সিদ্দিকিকে খুনের দায় স্বীকার করে নিয়েছে। প্রিয় বন্ধুর মৃত্যুসংবাদে ভেঙে পড়েছেন সলমন খান। সিদ্দিকিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে, খবর পাওয়ামাত্র শনিবার ‘বিগ বস্ ১৮’-এর শুটিং বন্ধ করে দেন তিনি। গুলিবিদ্ধ নেতাকে চিকিৎসার কারণে ভর্তি করানো হয়েছিল লীলাবতী হাসপাতালে। তড়িঘড়ি সলমন পৌঁছে যান সেখানে। যদিও তাঁকে নিরাপত্তার কারণে সেখানে যেতে নিষেধ করা হয়েছিল। ‘ভাইজান’ সে কথা কানে তোলেননি। খবর, প্রয়াত বন্ধুকে শেষ বারের মতো দেখে আসার পর থেকেই নাকি ঘুমোতে পারছেন না তিনি। নিজের মাথার উপর মৃত্যুর খাঁড়া ঝুলছে জেনেও বার বার সিদ্দিকিদের বাড়ি গিয়েছেন সলমন। একা তিনি নন, বলিউডের ছোট-বড় সকল অভিনেতা সেখানে যান। শিল্পা শেট্টি কান্নায় ভেঙে পড়েন। তবে একমাত্র দেখা যায়নি শাহরুখ খানকে। একসময় বাবার মাধ্যমে সলমনের সঙ্গে ফের বন্ধুত্ব হয় শাহরুখের। তা হলে কেন তাঁর মৃত্যুতে দেখা গেল না বাদশাকে!
লরেন্স বিশ্নোইয়ের নিশানায় দীর্ঘ দিন ধরেই রয়েছেন সলমন খান। তাঁকে খুনের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি তাঁর ঘনিষ্ঠদেরও একই ভাবে হুমকি দিচ্ছেন বিশ্নোইয়ের দলের লোকেরা। শেষে বাবা সিদ্দিকির এমন পরিণতি। গোটা ঘটনাই একটা রাজনৈতিক মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে। আর বহু বছর ধরেই রাজনীতির থেকে নিজেকে দূরেই রেখেছেন শাহরুখ। রাজস্থানের বিশ্নোই সম্প্রদায় সলমনের উপর ক্ষুব্ধ বহু বছর আগে কৃষ্ণসার হরিণ খুনের কারণে। আর সেই কারণেই নাকি সাবধানি শাহরুখ। কারও ভাবাবেগে তাঁর কারণে আঘাত লাগুক, তা তিনি চান না। সেই কারণে গোটা ঘটনায় খানিকটা দূরত্ব বজায় রেখেছেন অভিনেতা। যদিও পুরোটাই কানাঘুষো।
বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে সলমনের সুসম্পর্ক ছিল, এ কথা সকলের জানা। তাঁর জন্যই শাহরুখের সঙ্গে ফের মিটমাট হয়েছিল সলমনের। বি টাউনে প্রায়ই কান্ডারির ভূমিকা পালন করে এসেছেন বাবা সিদ্দিকি। সেটা ২০১৩ সাল। শাহরুখ ও সলমনের মধ্যে তখন ঠান্ডা যুদ্ধ চলছিল। সলমনের প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাটরিনা কইফের জন্মদিনের পার্টিতে তর্কে জড়ান বলিউডের দুই খান। তার পরেই সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। এর পরে বলিউডও প্রায় দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এক দিকে শাহরুখের অনুগামীরা। অন্য দিকে সলমনের। অগত্যা হস্তক্ষেপ করতে হয় বাবা সিদ্দিকিকে। রাজনীতির দুনিয়ার মানুষ হলেও বলিউডের সঙ্গে তাঁর সখ্য বার বার ধরা পড়েছে। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগেই ফের বন্ধুত্ব তৈরি হয় দুই মহাতারকার মাঝে।