নতুন ধারাবাহিকের তুলনায় ১০ বছর পুরনো ধারাবাহিক দেখতে কেন আগ্রহী দর্শক? কারণ খুঁজে দেখল আনন্দবাজার অনলাইন।
পুজোর আগে থেকেই টলিপাড়ায় ধারাবাহিক বন্ধের হিড়িক। কোনওটা তিন মাসে, কোনওটা সাত মাসে কোনওটা আবার এক বছরের মধ্যেই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এক দিকে যখন এত মেগা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, অন্য দিকে ১০ বছর পুরনো গল্পও আবার নতুন করে দেখার আগ্রহ যেন কিছুতেই মিটছে না দর্শক মনে।
পাঁচ বছরের পুরনো মেগা ‘ইচ্ছে নদী’। অনুরাগ, মেঘলাকে এখনও ভুলতে পারেননি দর্শক। ‘স্টার জলসা’র ফেসবুকের পাতায় আবারও দেখানো শুরু হয়েছে ‘ইচ্ছে নদী’ এবং ‘গানের ওপারে’। দুই ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তা নিয়ে কোনও কথা হবে না। এখনও নতুনদের রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছেন পুরনোরা। কারণ কী?
আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হয় চিত্রনাট্যকার সাহানা দত্তর সঙ্গে। তাঁর কথায়, “দেখুন ফলাফল কিন্তু এখনও আমরা জানি না। ফেসবুকে আদৌ কত জন দেখলেন, তা কিন্তু জানা নেই। তবে ধারাবাহিক বন্ধ আর নতুনদের হারিয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গ তুললে বলব টেলিভিশন এমন একটা মাধ্যম, যেখানে দর্শকের চাহিদা প্রতি দিন বদলাতে থাকে। আমরা সেই চাহিদার সঙ্গে পাল্লা দিতে পারলে সফল হব আর না পারলে ব্যর্থ হব। কত দ্রুত আমরা শিখছি, সেটাই দেখার। দর্শককে স্বাদ না বুঝতে পারলে এমনটাই হবে। এককালীন হিট ধারাবাহিকের গল্পের ধাঁচে যদি বার বার মেগা তৈরি করা হয়, তা হলে তো দর্শকের একঘেয়েমি আসবেই।”
এখনকার ধারাবাহিকের অভিনেতা অভিনেত্রীদের প্রিয় কারা? গুড্ডি ওরফে শ্যামৌপ্তি মুদলির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “আমার বার বার ‘গানের ওপারে’ দেখার ইচ্ছে করে।” নামপ্রচারে অনিচ্ছুক এক নায়িকা জানালেন, তাঁর আবার এখনও প্রিয় মৌরি-নিখিল অর্থাৎ ‘বউ কথা কও’ ধারাবাহিক।
আনন্দবাজার অনলাইন কথা বলেছিল বেশ কিছু দর্শকের সঙ্গে। তাঁদের মতে নতুন গল্পগুলো দেখে সেই তৃপ্তি পাওয়া যায় না এখন। একটা সময়ের পর আর ইচ্ছে করে না দেখতে। তাঁরা সকলেই বিভিন্ন পেশার সঙ্গে যুক্ত। সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে কর্মরত জয়দেব বললেন ‘‘‘এক আকাশের নীচে’ ধারাবাহিকটা যদি আবারও দেখা যেত, তা হলে মন্দ হত না।’’ মিমি চক্রবর্তীর ‘গানের ওপারে’-এর ভক্ত তো অগুনতি। তাই লকডাউনে আবারও ‘গানের ওপারে’ নতুন করে দেখার লোভ সামলে উঠতে পারেননি বেঙ্গালুরুর বাসিন্দা সুরঞ্জনা সাহা। প্রিয়জনদের ছেড়ে বহু দূরে আটক থাকার সময়ে পুপে-গোরারাই হয়ে উঠেছিল বহু সুরঞ্জনার অসময়ের সঙ্গী।