মিশমি দাস ছবি ইনস্টাগ্রাম।
প্রশ্ন: মিশমি দাস নাকি অভিনয় ছেড়ে দিচ্ছেন?
মিশমি: ভুল খবর। অভিনয় ছাড়ছি না। সাময়িক বিরতি নিচ্ছি। এই একটা কাজ ছাড়া কিছুই তো পারি না! ছেড়ে দিলে করব কী!
প্রশ্ন: ‘রিনি’ ওরফে ‘জুন আন্টি ২’-এর কী হবে? ‘রিস্তো কা মাঞ্ঝা’র ‘টিনা’ও তো হয়েছিলেন?
মিশমি: ধারাবাহিক ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’ আমায় প্রচুর জনপ্রিয়তা দিয়েছে। বিশেষ করে ‘রিনি’ চরিত্রটি। তার জন্য ‘জুন আন্টি ২’-এর তকমাও পেয়েছি। আমি সম্মানিত। পাশাপাশি, ‘রিস্তো কা মাঞ্ঝা’র ‘টিনা’ হিসেবেও কাজ করছিলাম। দুটো চরিত্রকেই আপাতত আর দেখা যাবে না। তবে এটুকু বলতে পারি, দুম করে শেষ হয়ে যাচ্ছে না আমার অভিনয়। যুক্তিগ্রাহ্য ভাবেই ধীরে ধীরে পর্দা থেকে সরে যাবে ‘রিনি’ আর ‘টিনা’।
প্রশ্ন: জনপ্রিয় থাকতে থাকতে সাময়িক অবসর! খলনায়িকা হতে হতে ক্লান্ত?
মিশমি: একসঙ্গে দুটো কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত। সকালের শিফটে যদি ‘রিনি’ হতাম, দুপুর বা বিকেল থেকে ‘টিনা’। বাড়ি ফিরতাম যখন, মনে হত শরীরে-মনে কিচ্ছু নেই। নিংড়ে যাচ্ছিলাম। ভাল লাগছিল না কিচ্ছু। এত পরিশ্রমে শরীরে-মনে চাপ, ছাপ দুটোই পড়ছিল। তার পরেই সিদ্ধান্ত নিলাম সাময়িক বিরতি নেব। সেই মতো এনওসি দিয়েছি। চরিত্র দু’টি দুই পরিচালক অন্য কাউকে দিয়েও করাতে পারেন। আবার স্থগিত রাখতে পারেন।
ছবি ইনস্টাগ্রাম।
প্রশ্ন: শহরেই অবসর বিনোদন? কী করবেন এ বার? শ্যুট শেষ করলেন কবে?
মিশমি: না, আমি আপাতত বাইরে চলে যাচ্ছি। সপরিবারে। সেখানে গিয়ে নিজের মতো করে সময় কাটাব। যোগা করব। ভাল ভাল বই পড়ব। গান শুনব। যা করব ইতিবাচক কিছু করব। নিজেকে নতুন ভাবে তৈরি করব। তার পর ফিরব শহরে। হয়তো সিরিজে নতুন চরিত্রে দেখা যাবে আমায়। সে রকমই ভাবনা আছে। দু’মাস আগে শেষ শ্যুটিং করেছি।
প্রশ্ন: আর প্রেমিক বিশাল ভন?
মিশমি: ও-ও তো সঙ্গে যাচ্ছে! আমরা সবাই মিলে বেশ কিছু দিন বাইরে কাটাতে যাচ্ছি।
প্রশ্ন: মৌনী রায়ের মতো ডেস্টিনেশন বিয়ে? নাকি সিরিজে কাজ পাচ্ছেন বলে ধারাবাহিককে ‘বিদায়’!
মিশমি: এ বাবা! লুকিয়ে বিয়ে করতে যাব কেন? বিয়ে কি খারাপ কোনও কাজ! বিয়ে এখনই করছি না। নিজেকে একটু সময় দিতে চাইছি। কাজ করতে করতে নিজেকে সময় দিতেই ভুলে গিয়েছিলাম। এ বার একটু নিজের সঙ্গে সময় কাটাই? আমার ইচ্ছে, সিরিজ দিয়ে ফিরব। সেই ইচ্ছে পূরণ হবে কি না, সময় বলবে। তবে আমার তরফ থেকে আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।
প্রশ্ন: পরিবার, ইন্ডাস্ট্রি কী বলছে?
মিশমি: পরিচালক, প্রযোজক সবাই বলেছেন, ‘‘যখন ইচ্ছে হবে, ফিরে আসবি। রিনি, টিনা তোর জন্যই তুলে রাখা থাকল। তুই চাইলেই আমরা নতুন ভাবে শুরু করব।’’ সবাই খুব সহযোগিতা করেছেন আমার সঙ্গে। আর পরিবার, বিশেষ করে মা সব সময়েই আমায় সমর্থন করেন। বলেন, ‘‘যেটা ভাল বুঝবি করবি।’’ ফলে, সমস্যা হয়নি সেখানেও।
প্রশ্ন: ইন্ডাস্ট্রির গুঞ্জন, পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার আর শ্রুতি দাসের সঙ্গে নাকি আপনার সমস্যা, এটা কি তারই ফলাফল?
মিশমি: এটাও বাজে রটনা। শ্রুতির সঙ্গে হাই-হ্যালো ছাড়া তেমন কথা হয়নি কোনও দিনই। স্বর্ণদার সঙ্গেও কাজের বাইরে কোনও কথা হত না। হ্যাঁ, কাজ করতে গিয়ে একাধিক বার হয়তো মতের অমিল হয়েছে। কিন্তু ছেড়ে চলে যাওয়ার মতো কিছু নয়! শেষ শ্যুটের দিন সেটে সবাই মিলে আমায় খাওয়ালেনও। সেই ছবি পোস্ট করতেই গুঞ্জন ছড়াল, আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি গোয়ায়। কী বলব?
প্রশ্ন: অতিমারি শেষে সবাই নতুন উদ্যমে কাজ করছেন, আর আপনি বিরতি নিচ্ছেন! উপার্জনের কী হবে?
মিশমি: ঈশ্বরের আশীর্বাদে, সবার শুভেচ্ছায় গত আট বছরে মন্দ উপার্জন করিনি। পুরোদমে খেটেছি। বাজে খরচ করিনি। ফলে, বেশ কিছু দিন তাই দিয়েই ভাল করে কেটে যাবে।