মধুমিতা সরকার। ছবি: সংগৃহীত।
শুক্রবার রাতে একই ছাদের তলায় হাজির হয়েছিল গোটা টলিউড ইন্ডাস্ট্রি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায় থেকে নতুন প্রজন্মের ইশা সাহা, দিতিপ্রিয়া রায়— প্রায় সকলেই উপস্থিত হয়েছিলেন শহরের এক বিলাসবহুল হোটেলে। উপলক্ষ ‘হইচই’ ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্মদিন। গত বছরও এই ভাবেই উদ্যাপন করা হয়েছিল এই দিনটা। এক বছরে বদলে গিয়েছে কত কিছু। ইন্ডাস্ট্রিতে গুঞ্জন ছিল, অনেক দিনই প্রযোজনা সংস্থা ‘এসভিএফ’-এর নয়নের মণি নাকি মধুমিতা সরকার। তবে গত কয়েক মাস ধরেই শোনা যাচ্ছে, সেই সম্পর্ক নাকি ভেঙেছে।
প্রতি বছর ‘হইচই’-এ কোনও না কোনও সিরিজ় থাকে মধুমিতার ঝুলিতে। গত বছরও কালো পোশাকে এই পার্টিতে হাজির হয়েছিলেন নায়িকা। কিন্তু এ বছরে এত চেনা মুখের ভিড়ে খুঁজে পাওয়া গেল না মধুমিতাকে।
এ বছর তাঁদের অনুষ্ঠানের থিম ছিল বাঙালিয়ানা। জয়া আহসান, মধুরিমা বসাক, ঊষসী রায়, ইশা-সহ সকলেই এসেছিলেন বাঙালি সাজে। কেউ কেউ আবার খোঁপায় দিয়েছিলেন ফুলের মালা। এ দিন অনেকেই আশা করেছিলেন, এমনই কোনও সাবেকি সাজে হয়তো দেখা যাবে মধুমিতাকেও। কিন্তু কেন এলেন না তিনি? ইন্ডাস্ট্রির অন্দরে ফিসফাস প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে নাকি সম্পর্ক মোটে ভাল নেই নায়িকার। কিছু দিন আগে পর্যন্ত চুক্তিতে ছিলেন। সেই চুক্তিও এখন আর নেই। একটা সময় এই সংস্থা ছাড়া অন্য কোনও সংস্থার ছবিতেও কাজ করতেন না। সম্প্রতি সেই ধারাও বদলেছে। সদ্য শেষ করেছেন শিলাদিত্য মৌলিকের নতুন ছবির শুটিং। একটি হিন্দি ছবির কাজও শুরু করার কথা মধুমিতার।
আগে অনেক বারই প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে নায়িকাকে। বরাবরই এড়িয়ে গিয়েছেন সেই প্রসঙ্গ। ‘হইচই’-এর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে নায়িকার অনুপস্থিতি আরও উস্কে দিয়েছে সেই আলোচনা। সেই প্রশ্নের জবাব কি এ বার দেবেন মধুমিতা?