লতা মঙ্গেশকর এবং আশা ভোঁসলে।
১৯৯১ সাল পহলাজ নিহালনি তাঁর ছবি ‘ফার্স্ট লভ লেটার’-এর জন্য লতা মঙ্গেশকরকে একটি গান রেকর্ড করার অনুরোধ করেন।লতা সেই গান রেকর্ডের জন্য স্টুডিয়োয় পৌঁছলেও আচমকাই গান না গেয়ে স্টুডিয়ো থেকে বেরিয়ে আসেন।
কেন লতা গান গাইলেন না? পহলাজ নিহালনি মুম্বই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “গানের কথা লতাদিদির একেবারেই পছন্দ হয়নি।গানের কথা ছিল ‘কম্বল না হটাও’। লতা শুধু গান রেকর্ড করেননি তা নয়, তিনি বেশ বিরক্ত হয়েই জানান, এই গানের কথা অশালীন, যা তাঁর পক্ষে গাওয়া কোনও ভাবেই সম্ভব নয়”। পহলাজ জানান, এখানেই অবশ্য থেমে যাননি লতা। নিজে অশালীন বলে যে গান রেকর্ড করতে চাননি সেই গান তাঁর বোন আশাকে দিয়ে রেকর্ড করার জন্য প্রস্তাব দেন।
প্রশ্ন ওঠে লতা কি তাহলে ভাবতেন যে তাঁর মতে অশালীন শব্দের গান তিনি না গাইলেও আশা সেই গান গাইবে?
নিহালনি যদিও মুম্বই সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “ওই গানে অশালীন কিছুই ছিল না।ছবির নায়ক-নায়িকা মনীষা আর বিবেক দু’জনে গান গাইতে গাইতে কম্বলের তলায় ঢুকে যাবেন,এমনই দৃশ্য ছিল। লতাজি খুব ভদ্রভাবেই এই গান গাইবেন না, তা জানান। আর আশাজির কথা বলেন। আশাজিও ওই গান পরে ভালবেসেই রেকর্ড করেন”।
৯০-এর দশক থেকেই লতা গানের কথার বিষয় আরও সচেতন হতে আরম্ভ করেন। গান রেকর্ডের অনুরোধ এলেই তিনি গান গাইতেন না।লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁকে ঘিরে নানা ঘটনা উঠে আসছে।