ঐশ্বর্যার জৌলুসের মাঝে নিজেকে কি ম্লান মনে হয়? কী বললেন অভিষেক? ফাইল চিত্র।
কখনও কখনও বয়োজ্যেষ্ঠ তারাদের আলোয় ম্লান হয়ে যান তারকা-সন্তানরা। এক দিকে বাবা অমিতাভ বচ্চন, অন্য দিকে স্ত্রী ঐশ্বর্যা রাই বচ্চন। দুই জগদ্বিখ্যাত তারকার মাঝে অস্বস্তিতে পড়েন না কি অভিষেক বচ্চন? জিজ্ঞাসা করতে ‘জুনিয়র বি’ বিনীত ভাবে জানান, “না, না একেবারেই না।।” কিন্তু তাঁর মুখের কথা কেড়ে নিয়ে ঐশ্বর্যা বলে ওঠেন, “এমন প্রশ্ন করাই অনুচিত!” তাঁদের ‘ছায়া’ অভিষেকের উপর পড়ার কথায় খেপে আগুন ‘তাল’ অভিনেত্রী।
বিয়ের আগে এবং পরে বহু ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছেন অভিষেক আর ঐশ্বর্যা। ২০০৭ সালে চারহাত এক করে ২০১০ সালে তাঁরা মণি রত্নমের ছবি ‘রাবণ’-এর প্রচারে গিয়েছেন একসঙ্গে। যৌথ ভাবে সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন তাঁরা। সেখানেই অভিষেকের অপ্রস্তুত মুহূর্তে মুখ খোলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী।
স্ত্রী এবং বাবার নাম-যশ-খ্যাতির কথা উল্লেখ করে সে বার অভিষেককে বলা হয়েছিল নিজের বিষয়ে ‘সত্যি’ কিছু বলতে। হয়তো নির্মম কিছু সত্যি শোনার আশায় এমন প্রশ্ন করা হয়েছিল। কিন্তু ঐশ্বর্যা বিরক্ত হয়ে বলে ওঠেন, “আমি বিরোধিতা করছি এই প্রশ্নের। তাঁর ছায়ায় পড়ে থাকার কথা উঠছে কী ভাবে? অভিষেক তাঁর নিজের কৃতিত্বে, কাজের বহরে, চরিত্রের বিভিন্নতায় খুব বেশি করে প্রতিষ্ঠিত। নিজের জায়গা অনেক আগেই তৈরি করে নিয়েছেন তিনি।”
যদিও অভিষেকের কথা থামিয়ে নিজে জবাব দেওয়ার আগে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন ঐশ্বর্যা। জানালেন, তিনি নিজেও এমন ‘জঘন্য’ প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছিলেন আগে। কেন অভিষেকের কথার মধ্যে ঢুকলেন, সেই ব্যাখ্যাও দিলেন তাই। বললেন, “আমাকে বলা হয়েছিল, আপনি তো মডেল, ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ হয়েছেন। তা হলে সেই সব চরিত্রই করবেন, যেখানে শুধু সুন্দরী মেয়ের প্রয়োজন?” ঐশ্বর্যার দাবি, ঠিক একই ধারণার বশবর্তী হয়ে অভিষেককে এমন প্রশ্ন করা হয়েছে, যার কোনও যৌক্তিকতা নেই। বললেন, “সত্যিটা সবার জানা দরকার যে, আমরা যে যার মতো ভাল কাজ করছি এবং করব। কেউ কারও ছায়ায় লুকিয়ে পড়ব না।”
অন্য দিকে, পেশাদার জীবনে দু’দশক ধরে অনেক ওঠাপড়া দেখেছেন অভিষেক বচ্চন। তাঁর অভিনীত চরিত্র নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ চলেছে ইন্ডাস্ট্রিতে। প্রশংসা, পুরস্কার যেমন পেয়েছেন, সমালোচনাও শুনেছেন বিস্তর। বিশেষ করে সুপারস্টার বাবা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তুলনা। সবই মনে রেখেছেন অভিষেক। কিন্তু নিজস্ব পন্থায়। জানান, একটা গোপন খাতা আছে তাঁর। তাতেই তুলে রাখেন সব। যে সব খারাপ মন্তব্য, সমালোচনা তাঁর চলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে মনে করেন, সেগুলিকে সরিয়ে রাখেন ওই খাতায়। এতে আত্মসংস্কারও হয় বলে দাবি অভিষেকের।