ফেলুদা টোটা রায়চৌধুরী।
"ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই কোনও দিনই আমার সিগারেট খাওয়াটা হয়নি।"
‘ফেলুদা ফেরত’ শ্যুটিংয়ের স্মৃতি উল্টোতে বসে নির্দ্বিধায় জানালেন খোদ ‘ফেলুদা’ টোটা রায়চৌধুরী। তা ছাড়াও তিনি বরাবরের স্বাস্থ্যসচেতন। খেলাধুলোও করতেন। ফলে, নিজেই ধারকাছ মাড়াননি ধূমপানের।
তিনি না খেলে কী হবে? ফেলুদা তো খেত!
তাই তাঁকে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, চারমিনার শুধু ঠোঁটে ঝুলিয়ে রাখলেই হবে না। রিং ছাড়তে হবে! একে চারমিনারের মতো কড়া সিগারেট। তার উপরে যে কোনও দিন সিগারেট খায়নি, তাকে ছাড়তে হবে ধোঁয়ার বলয়!
কী করলেন টোটা?
A post shared by Addatimes (@addatimes)
"আমারও মাথায় আসছিল না, আমি করব কী ভাবে? আমি কোনও দিন করিইনি!" বিমূঢ় টোটার এক বার, দু’বারের অসফল প্রচেষ্টার পর পরিচালক তাঁকে বলেছিলেন,"দাও, আমাকে দাও। আমি তোমায় দেখিয়ে দিচ্ছি। যদিও আমি বহু বছর হল সিগারেট খাওয়া ছেড়ে দিয়েছি। তবুও আমি এক বার চেষ্টা করে দেখতে পারি।" সৃজিত কিন্তু দীর্ঘ অনভ্যাসের পরেও রিং ছাড়তে পেরেছেন সহজেই। তাঁর দেখানো কায়দাতেই শেষ পর্যন্ত সফল টোটা।
প্রথম ধূমপানের মতোই টোটার মনে দাগ কেটে গিয়েছে সার্কাসের শট। সত্যজিৎ রায়ের আমলের ‘দ্য গ্রেট ম্যাজেস্টিক সার্কাস’-এর কলকাতায় প্রত্যাবর্তন ২০২০-র বিশেষ চমক। টোটাও চমকে গিয়েছিলেন সার্কাসের তাঁবু দেখে। অভিনেতার কথায়, "সার্কাসের তাঁবু, তাঁবুতে ঢোকার মুখে একটা গন্ধ, পরিবেশ... সব স্মৃতিগুলো ভিড় করে মাথায় চলে এল। প্রত্যেকটা মুহূর্তে উপলব্ধি করছিলাম, আমি আবার বোধ হয় ছোটবেলায় ফিরে গিয়েছি।"
সার্কাসের শ্যুটিংয়ের দিন সৃজিতের সৌজন্যে তাই পরিণত অভিনেতাকে সরিয়ে অনায়াসে ফিরে এসেছিল বছর সাতেকের টোটা।