মা-বাবার দেওয়া চরম শাস্তি শুনে কেঁদে ফেললেন শ্রাবন্তী। ছবি: সংগৃহীত।
টলিপাড়ার প্রথম সারির অভিনেত্রীদের মধ্যে অন্যতম নাম শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। বড় পর্দায় অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর জীবনটাও যেন অনেকটা সিনেমার মতোই হয়ে গিয়েছে। জীবনে এসেছে বহু চড়াই-উতরাই। অভিনয়ের থেকেও তাঁর ব্যক্তিগত জীবন বার বার উঠে এসেছে শিরোনামে। মাত্র ১৬বছর বয়সে পরিচালক রাজীব কুমার বিশ্বাসকে বিয়ে করেন শ্রাবন্তী। কিন্তু সেই সম্পর্ক টেকেনি। বিয়ের ১৩ বছর পর রাজীবের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে। তার পরও তাঁর জীবন এসেছেন একাধিক পুরুষ। শ্রাবন্তীর এই বর্ণময় জীবন নিয়ে অনেকেরই প্রশ্ন ছিল তাঁর পরিবারের লোক কিছু বলেন না? মা-বাবার কি প্রতিক্রিয়া?
মেয়ের জীবনে এত ঝড় এলে তাঁর মা-বাবা কি বসে থাকবেন? সন্তান ভুল পদক্ষেপ করলে তাঁরা কি চুপ থাকবেন? কখনও না। শ্রাবন্তীর মা-বাবাও কিন্তু চুপ ছিলেন না। ক্যামেরার সামনে তাঁরা বললেন , কী করেছিলেন মেয়ের সঙ্গে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে মেয়ের বিয়ে করে নেওয়া কোনও মা-বাবার পক্ষেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। যদিও সেই ঘটনার কথা অবশ্য উল্লেখ করেননি তাঁরা। তবে তাঁদের কথায় স্পষ্ট যে, এমন সিদ্ধান্তর জন্যই মা-বাবাকে ক্ষুব্ধ করেছিলেন শ্রাবন্তী। তাঁরা বলেন, “আমরা মেয়ের সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। ওটাই ওর জীবনের বড় শাস্তি।” রিয়্যালিটি শো ‘হ্যাপি পেরেন্টস ডে’-তে এসে সেই শাস্তি পাওয়ার কথাই ক্যামেরার সামনে বলেন শ্রাবন্তীর মা এবং বাবা।
মা, বাবা যখন এই কথাগুলো বলছিলেন, তখন মুখে কোনও কথা নয়, চোখ দিয়ে শুধুই জল গড়িয়ে পড়ছিল শ্রাবন্তীর। সেই জলই মনে হয় বলে দেয় নায়িকার আক্ষেপের কথা। যদিও এত কিছুর মধ্যে নায়িকার একটাই কথা, তাঁর পৃথিবীতে ভালবাসার মানুষ চার জন। ছেলে ঝিনুক, দিদি আর মা-বাবা। তাঁদের ছাড়া শ্রাবন্তীর পৃথিবী অন্ধকার।