‘অযোগ্য’র অগ্নিপরীক্ষা? কী বলছেন কৌশিক? নিজস্ব চিত্র।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শোরগোল। রেশন দুর্নীতির মামলায় ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে ডেকে পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ২০১৯-এ অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির আর্থিক নয়ছয় মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের পাঁচ বছর পরে ফের অন্য মামলায় তলব তাঁর। খবর ছড়াতেই টলিউডে নতুন প্রশ্ন, ৭ জুন মুক্তি পাচ্ছে কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ৫০ তম ছবি ‘অযোগ্য’। ৫ জুন নায়িকাকে ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা ছবির উপরে কেমন প্রভাব ফেলবে?
এই প্রশ্ন নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল পরিচালকের সঙ্গে। কৌশিক আত্মবিশ্বাসী তাঁর ছবি নিয়ে। বলেছেন, ‘‘ঋতুপর্ণাকে দর্শকের একটা বড় অংশ পছন্দ করেন। তাঁর ছবি মুক্তি পেলেই প্রেক্ষাগৃহে ভিড় জমান। আমি জানি, তাঁরা আসবেন। দর্শকসংখ্যা কমার কোনও প্রশ্নই নেই।’’ তাঁর আরও দাবি, এর আগে এই জুটিকে নিয়ে তিনি ‘দৃষ্টিকোণ‘ বানিয়েছিলেন। এই ছবিটি করতে গিয়ে তিনি দেখেছেন, নায়িকা আরও পরিণত। তিনি প্রতিটি দৃশ্যে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। জুটির এই ছবি না দেখা মানে তাঁদের শ্রেষ্ঠ কাজের সাক্ষী না থাকা। কৌশিকের মতে, বাঙালি হয়তো এই ভুল করবে না। ছবির নায়ক বা নায়িকার সঙ্গে তাঁর এ বিষয়ে কোনও কথা হয়নি। পুরো টিম ছবির শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত। সবার ‘পাখির চোখ’ ৭ জুন।
প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণার ৫০ তম ছবি নিজস্ব চিত্র।
ইডির এই পদক্ষেপ নিয়ে কৌশিকের কী মত? কাজের সূত্রে তিনি ঋতুপর্ণাকে কাছে থেকে দেখেছেন। নায়িকা কোনও ভাবে এই ধরনের বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন? সঙ্গে সঙ্গে সপাট জবাব, ‘‘আমি অভিনেতা ঋতুপর্ণা প্রসঙ্গে বলব। ওঁর মতো দক্ষ অভিনেত্রী খুব কম দেখেছি। প্রতি মুহূর্তে নিজেকে ঘষামাজা করে চলেছেন। অভিনয়ের প্রতি আরও নিবেদিতপ্রাণ। ওঁর জন্য গর্ব হয়।’’ এও জানিয়েছেন, নায়িকার ব্যক্তিজীবন নিয়ে তিনি বিন্দুমাত্র ভাবিত নন। কোনও মন্তব্যও করবেন না।