Sreelekha Mitra

Bengal Polls: তৃণমূলের একটাই লক্ষ্য, যেনতেনপ্রকারেণ রাজ্য বামদল শূন্য হতে হবে: শ্রীলেখা মিত্র

কেন এখনও শাসকদলের বিপক্ষে সুর চড়াচ্ছেন অভিনেত্রী? পরের নির্বাচনে যাতে রাজ্যবাসী সজাগ হন?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মে ২০২১ ২১:৪৫
Share:

শ্রীলেখা মিত্র।

নির্বাচন শেষ। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানও মিটেছে। শ্রীলেখা মিত্রের সামাজিক পাতা তার পরেও ঘোরতর তৃণমূল বিরোধী। শুক্রবার তিনি জনৈক নেটাগরিকের পোস্ট শেয়ার করেছেন। সেই পোস্টে ‘সবুজ সাথী’ থেকে ‘স্বাস্থ্য সাথী’-- শাসকদলের সব প্রকল্প নিয়ে চূড়ান্ত কটাক্ষ করা হয়েছে। কী আছে পোস্টে? শেয়ার করা পোস্টে বলা হয়েছে, শাসকদলের রাজত্বে কারোর চাকরির প্রয়োজন নেই। কারণ, যাতায়াতের জন্য ‘সবুজ সাথী’ সাইকেল, খাওয়ার জন্য ২ টাকা কেজি রেশনের চাল, চিকিৎসার জন্য ‘স্বাস্থ্য সাথী’ কার্ড রয়েছে। ‘কন্যাশ্রী’, ‘যুবশ্রী’, ‘রূপশ্রী’ দিয়ে সন্তানেরা মানুষ হবে। মৃত্যুর পর সরকার ২ হাজার টাকা দেবে। তাতে সৎকার হবে। পোস্ট শেয়ার করে শ্রীলেখার মন্তব্য, ‘ভয়ঙ্কর পছন্দ আপনাদের!’

কেন এখনও শাসকদলের বিপক্ষে সুর চড়াচ্ছেন অভিনেত্রী? পরের নির্বাচনে যাতে রাজ্যবাসী সজাগ হন?

আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে জবাব শ্রীলেখার, ‘‘যাঁরা জেগে ঘুমবেন তাঁদের সজাগ করব কী করে? আমি যতই পোস্ট করি তাঁরা তাঁদের মতোই চলবেন।’’ তা হলে কি নেটাগরিকদের উস্কে দিতে তাঁর এই পোস্ট? কঙ্গনা রানাউতের মতো? সাফ জানালেন এ বার, ইতিমধ্যেই তাঁকে বলিউড অভিনেত্রীর সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, কঙ্গনার মতো তিনিও নাকি ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন। তিনি কারোর মতোই নন। এই ধরনের পোস্ট তিনি ভেবে-চিন্তেই দিচ্ছেন। যাতে যাঁরা ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’দের সাহায্য নিচ্ছেন তাঁরা মনে রাখেন, এই সংগঠন আদতে বামদলের একটি প্রয়াস। তার পরেই তাঁর যুক্তি, ‘‘ইদানিং প্রচার না করলে কেউই বোঝেন না, কার থেকে উপকৃত হচ্ছেন সবাই। ভোটের বেলায় চুপচাপ ফুলে ছাপ আর দরকারে ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’! দিনের পর দিন সত্যিই এটা মানা যায় না।’’

এখানেই থামেননি তিনি। কটাক্ষে বিঁধেছেন দেবলীনা কুমারকেও। শ্রীলেখার কথায়, বাম দলকে ব্যঙ্গোক্তি করে আদতে তাঁকেই বিঁধেছেন দেবলীনা। তাঁর দাবি, তিনি বা দলের বাকি সমর্থকেরা কেউই ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছেন না। প্রত্যেকটাই নির্মম সত্য। ‘রেড ভলান্টিয়ার্স’-এর সদস্যদের ধর্ষণের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালাচ্ছে্ন শাসকদলের সদস্য, সমর্থকেরা। তাঁর যুক্তি, শাসকদল রাজ্যে বামদলের কোনও অস্তিত্ত্বই রাখতে রাজি নয়। তাই শূন্য আসন পাওয়া দলের প্রতিও এত অত্যাচার তাদের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement