১০ বছর আগে চ্যানেল সময় দিয়েছিল মাত্র তিন মাস। চ্যালেঞ্জ ছিল নিজেকে এবং শো-কে সারভাইভ করানো। সেটা ঠিকঠাক উতরে দিয়েছিলেম মীর। আর তাই আটটা সিজন পেরিয়ে ‘মীরাক্কেল’ এখন নাইন্থ সিজনের লাস্ট বেল পরার অপেক্ষায়। আগামী ১২ জুন এই শো-য়ের ফাইনাল বেল পরবে। সম্প্রতি তার শুটিংয়ে ডাউন মেমারি লেনে হাঁটলেন সঞ্চালক মীর।
সপ্তাহে তিন দিন রাত সাড়ে ন’টায় একটি বেসরকারি চ্যানেলের এই শো-তে চোখ রাখেন আম-বাঙালি। বাংলাদেশেও তুমুল জনপ্রিয় এই শো। ফাইনালের পর তো নেক্টট শোয়ের জন্য দর্শকরা ওয়েট করবেন। কবে শুরু হবে আবার? সুখবর দিলেন মীর স্বয়ং। তাঁর কথায়, ‘‘সিজন টেনের জন্য আমি অলরেডি সই করে ফেলেছি। ফাইনালের পরের দিন থেকেই আমরা কাজ শুরু করব। তবে তারপরে কী হবে সেটা জানি না।’’
এই ক’বছরে সেন্স অফ কমেডির ফর্মুলা বদলে দিয়েছে ‘মীরাক্কেল’। তার রেসিপিটা কী? মীর শেয়ার করলেন, ‘‘আসলে আমি নিন্দার ছলে প্রশংসা করেছি। এই চ্যানেল, এই শো দেখবেন না, এটাও বলেছি। সে সময়ই কিন্তু টিআরপি চড়চড় করে বে়ড়েছে। আমাদের দেশে একটা কমন সমস্যা হল, যে বিষয়টা হেসে উড়িয়ে দেওয়া যায় সেটা মানুষ সিরিয়াসলি নেন। আর যেটা সিরিয়াস সেটা নিয়ে মস্করা করেন। কমেডি করতে করতে আমি এটা বুঝেছি আমাদের প্রায়োরিটির মিক্সআপ।’’
গ্র্যান্ড ফিনালের মঞ্চে মীর।
তাবড় তাবড় সেলেবরাও নাকি এই শো-এ যেতে ভয় পান! কারণ মীর কাকে নিয়ে কখন কী ভাবে মজা করবেন, সেটা আনপ্রেডিক্টেবল! মীরের কথায়, ‘‘দীপকদা মানে চিরঞ্জীবদা খুব ভয় পেতেন। বাবুদা মানে সন্দীপ রায় ভয় পেলেও এই শো-তে এসেছেন বেশ কয়েকবার। ঋতু খুব ভয় পায়, ওর দেরি করে আসা নিয়েও মজা করেছি। স্বস্তিকা তো আসতেই চায় না। বলে ওকে নাকি চেটে দেব। হ্যাঁ স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়কে চাটতে পারাটা বেশ লোভনীয় বিষয়।’’ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে হেসে উঠলেন সঞ্চালক।
‘আপনাদের তো খুবই ক্ষমতা, দেখুন না আমাদের শো-এ যদি আসেন মমতা’— হ্যাঁ এ আবদারও মীর করেছিলেন মদন মিত্র এবং শতাব্দী রায়ের কাছে। মীরের কাছে খবর আছে, মুখ্যমন্ত্রী এই শোয়ের নিয়মিত দর্শক।
তবে আপাতত পাখির চোখ ১২ জুন। গ্র্যান্ড ফিনালে মিটে যাওয়ার পর ফের কাউন্টডাউন শুরু মীরাক্কেল সিজন টেনের।
আরও দেখুন, মীরাক্কেল-৯ এর গ্র্যান্ড ফিনালের বিশেষ কিছু মুহূর্ত