Salman Khan

ঐশ্বর্যা, রানি, দিয়া মির্জার সঙ্গে বিবেকের শারীরিক সম্পর্ক ছিল! চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেছিলেন সলমন খান!

সলমনের সঙ্গে তিক্ত বিচ্ছেদের কাঁটা সরিয়ে বিবেকের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া করেছিলেন ঐশ্বর্যা। যে খবর একেবারেই তখন ভাল ভাবে নেননি সল্লুভাই। আর সেই রোষেই বিবেককে নিশানা করেন ‘ভাইজান’।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মুম্বই শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৩:৪৩
Share:

বিবেক ও সলমন। ফাইল চিত্র।

সলমন খান বনাম বিবেক ওবেরয়— বলিপাড়ার দুই নায়কের ‘যুদ্ধ’ ঘিরে সরগরম হয়েছিল বলিপাড়া। যাঁকে ঘিরে দুই নায়কের মধ্যে এত তিক্ততা, তিনি প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী তথা হৃদয় কাঁপানো নায়িকা ঐশ্বর্যা রাই। সলমনের সঙ্গে তিক্ত বিচ্ছেদের কাঁটা সরিয়ে বিবেকের সঙ্গে মন দেওয়া-নেওয়া করেছিলেন ঐশ্বর্যা। যে খবর একেবারেই তখন ভাল ভাবে নেননি সল্লুভাই। আর সেই রোষেই বিবেককে নিশানা করেন বলিউডের ‘ভাইজান’। এক রাতে বিবেককে ৪১ বার ফোন করে সলমন হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে। সলমনের বিরুদ্ধে একের পর এক বিস্ফোরক অভিযোগ জানিয়ে সরব হয়ে তোলপাড় ফেলে দেন বিবেক।

Advertisement

ঐশ্বর্যা রাই, রানি মুখোপাধ্যায়, দিয়া মির্জাদের সঙ্গে বিবেকের ‘চক্কর’ চলছে বলে অশালীন ইঙ্গিত করেছিলেন সলমন! এমন অভিযোগই করেছিলেন ‘সাথিয়াঁ’ ছবির নায়ক। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে সলমনের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেন বিবেক।

সলমন অশ্রাব্য ভাষায় তাঁকে গালিগালাজ করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। বিবেক বলেন, ‘‘এক রাতে আমায় ৪১ বার ফোন করেছে ও। মদ খেয়ে ফোন করে গালিগালাজ করে। আমায় জিজ্ঞাসা করে যে, কার কার সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে। এ কথা শুনে আমি বলি, এটা ব্যক্তিগত বিষয়। এর পরই একের পর এক নায়িকার নাম করতে শুরু করে সলমন।’’

Advertisement

এই প্রসঙ্গে বিবেক বলেছেন, ‘‘ও (সলমন) ঐশ্বর্যার নাম নেয়, দিয়া মির্জার নাম নেয়, রানি মুখোপাধ্যায়ের নাম নেয়, এমনকি সোমি আলিরও নাম করে। এ সব শুনে চমকে যাই। ওরা আমার সহ-অভিনেতা। ওদের সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব রয়েছে। কিন্তু সোমি আলির সঙ্গে আমার নাম জুড়ল কেন? সোমির সঙ্গে হয়তো চার বার মাত্র কথা হয়েছে। ও বলে যে, ওদের সকলের সঙ্গে আমার শারীরিক সম্পর্ক রয়েছে।’’

এর পরই বিবেক বলেছেন, ‘‘এত কিছু শোনার পরও চুপ ছিলাম। আমায় এমন ভাষায় গালিগালাজ করা হয়, যা মুখে আনতে পারব না। ওই অভিনেত্রীদের শারীরিক গঠন নিয়ে যখন কথা বলতে শুরু করল, এমনকি আমার বাগদত্তা গুরপ্রীতের নামও বলে। তখন আর নিজেকে সামলে রাখতে পারিনি। আমি ওকে থামানোর চেষ্টা করি।’’ সলমন ও বিবেকের এই তিক্ততা ঘিরে তোলপাড় পড়ে গিয়েছিল বলিউডে। দু’দশকের পুরনো এই ঘটনা এখনও ভুলতে পারেনি বি-টাউন।

প্রসঙ্গত, পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালীর ছবি ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির সেটে প্রথম দেখা হয় সলমন-ঐশ্বর্যার। পর্দার রোম্যান্স ছাপিয়ে যায় বাস্তবেও। পরিবারের অমত থাকা সত্ত্বেও সলমনের সঙ্গে চুটিয়ে প্রেম করছিলেন ঐশ্বর্যা। কিন্তু পরে তাঁদের সম্পর্ক ভেঙে খান খান হয়ে যায়। সলমন তাঁর উপর নির্যাতন চালাতেন বলে অভিযোগ করেছিলেন ঐশ্বর্যা। সলমনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরই বিবেকের সঙ্গে প্রেমের বাঁধনে জড়িয়েছিলেন প্রাক্তন বিশ্বসুন্দরী। যার জেরেই বিবেককে একহাত নিয়েছিলেন সলমন। যদিও পরে বিবেকের সঙ্গেও সম্পর্ক টেকেনি ‘অ্যাশে’র। বর্তমানে বচ্চন পরিবারের বধূ তিনি। তবে এখনও সলমনের সঙ্গে তাঁর মুখ দেখাদেখি বন্ধ। পুরনো এই ঘটনা এখনও ভুলতে পারেনি বি-টাউন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement