মেজাজ হারানোর পর তীর্থস্থানে বিরাট। ছবি: সংগৃহীত।
সোমবার আইপিএলের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিলেন বিরাট কোহলি ও গৌতম গম্ভীর। লখনউ সুপার জায়ান্টস বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের খেলা ছিল। সব ঠিকঠাকই ছিল, ম্যাচ শেষে বচসায় জড়িয়ে পড়েন বিরাট-গম্ভীর। দুই ক্রিকেট তারকার এমন আচরণ সহজ ভাবে মেনে নেননি আইপিএল কর্তৃপক্ষ। শাস্তি পেতে হয় তাঁদের, ওই ম্যাচের পুরো ফি কেটে নেওয়া হয় বিরাট-গম্ভীরের। তবে এত বিতর্ক হওয়ার পরের দিন স্ত্রী অনুষ্কাকে নিয়ে সোজা মন্দিরে যান বিরাট।
পরনে ধুতি-উত্তরীয়, গলায় রজনীগন্ধার মালা, হালকা গোলাপি রঙের শাড়িতে দেখা গেল অনুষ্কাকে। এই প্রথম নয়, মাঝেমধ্যেই তীর্থ করতে বেরিয়ে পড়েন বিরাট অনুষ্কা। কখনও হরিদ্বারে, কখনও আবার হৃষীকেশে। আবার কখনও তাঁদের দেখা গিয়েছে মহাকালের মন্দিরে। বরাবরই অন্য দম্পতিদের তুলনায় ছকভাঙা তাঁরা। সিনেমা জগতের পার্টি নয়, বরং একে অপরের সঙ্গেই স্বচ্ছন্দ বিরাট-অনুষ্কা। তবে এ বার কোন মন্দিরে গিয়েছিলেন, তা জানা যায়নি। অবশ্য বুধবার স্ত্রীকে নিয়ে দিল্লি থেকে ছবি দিয়েছেন কোহলি।
ম্যাচ চলাকালীন লখনউয়ের একটা করে উইকেট পড়ার পরে নিজের স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে উল্লাস করছিলেন কোহলি। লখনউয়ের ডাগআউটের দিকে তাকিয়ে মুখে আঙুল দিয়ে চুপ করে থাকার ভঙ্গি দেখান। স্ত্রী অনুষ্কা শর্মার দিকে চুমুও ছুড়তে দেখা যায় তাঁকে। আফগানিস্তানের ক্রিকেটার নবীন উল হক আউট হওয়ার সময়ও উত্তেজিত হয়ে উল্লাস করেন কোহলি। টুপি খুলে মাটিতে ছুড়ে ফেলেন। সেটা হয়তো ভাল ভাবে নেননি নবীন। তাই হাত মেলানোর সময় কোহলিকে কিছু একটা বলেন লখনউয়ের বিদেশি ক্রিকেটার। পাল্টা কিছু বলেন কোহলিও। তার পরেই সেখানে আসেন গম্ভীর। তিনি কোহলিকে কিছু একটা বলেন। তার পরেই বিবাদ বেড়ে যায়।