অঙ্কিতা লোখন্ডে এবং ভিকি জৈন। ছবি: সংগৃহীত।
ট্রফি জেতা অধরাই রইল অঙ্কিতা লোখন্ডে ও তাঁর স্বামী ভিকি জৈনের। স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে রিয়্যালিটি শোয়ে প্রবেশ করলেও ক্রমে হয়ে উঠলেন একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। ভেবেছিলেন বিজয়ী হয়ে ফিরবেন ‘বিগ বস্’-এর ঘর থেকে। সে আর হল না। ভিকিকে প্রকাশ্যে অপমান করা থেকে অন্যের স্বামীর চরিত্রে কাদা ছেটানো— কিছুই বাদ রাখেননি তিনি। অন্য দিকে অভিনেত্রীর স্বামীও কম নয়। তিনিও অঙ্কিতার উদ্দেশে কটূক্তি করেন। বাইরের লোকের সামনে অঙ্কিতাকে অপমান করেন। এমনকী ভিকির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে তিনি নাকি অভিনেত্রীকে থাপ্পড় মারতে উদ্যত হন। এ দিকে ছেলে কয়লাখনির মালিক। ৫০ কোটির ফ্ল্যাটে রেখেছেন স্ত্রীকে। তার পরেও স্বামীর প্রতি এমন ব্যবহারে বার বার আপত্তি জানান অঙ্কিতার শাশুড়ি। ভিকির মা ‘বিগ বস্’-এর ঘরের ভিতরে তো বটেই, বাইরে বেরিয়েও বৌমার বিরুধ্ধে একগুচ্ছ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সংবাদমাধ্যমের কাছে। যদিও ‘বিগ বস্’-এর খেলা শেষ হতেই অঙ্কিতার সঙ্গে ব্যবহার প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখ পড়তেই জবাব দিলেন ভিকি।
ঝগড়াঝাঁটি বিগ বস্-এর ঘরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। শো চলাকালীন অন্য এক প্রতিযোগী অভিষেক কুমারের সঙ্গে কথা কাটাকাটির জেরেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন ভিকি। অঙ্কিতার গায়ে প্রায় হাত তুলতে যান। মুখ ঘুরিয়ে নেন অঙ্কিতা। ভিডিয়ো ভাইরাল হয় সমাজমাধ্যমে। এই প্রসঙ্গে ভিকি বলেন, ‘‘আমি সব সময় একটা সীমায় থেকে সকলের সঙ্গে মিশেছে। আমরা শিক্ষিত মানুষ। জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি কর্মক্ষেত্রে। কিন্তু বিগ বসের ঘরে পরিস্থিতি এমন হত যে মেজাজ হারিয়ে ফেলতাম। তবে আমি কখনও অঙ্কিতাকে চড় মারতে যাইনি। আর আমাদের সম্পর্ক এতটাই মজবুত যে এই বিষয়ে একে অপরকে সাফাই দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমাদের সম্পর্কের ভিত খুবই মজবুত। তাই আমরা একে অপরকে ছাড় দিতে পারি।’’