এখনই অভিনয় জীবন থেকে অবসর নিতে নারাজ সব্যসাচী চক্রবর্তী। —ফাইল চিত্র।
গত জানুয়ারি মাসের ঘটনা। খবর ছড়িয়ে পড়ে, অভিনয় জীবন থেকে নাকি অবসর নিতে চলেছেন পর্দার ফেলুদা সব্যসাচী চক্রবর্তী! কলকাতায় নয়, পড়শি বাংলাদেশে এই ঘোষণা করেছিলেন সব্যসাচী। তার পর থেকেই অভিনেতাকে নিয়ে নানা জল্পনা ছড়ায় টলিপাড়ায়। অগণিত ফেলুদা অনুরাগী অভিনেতার এই সিদ্ধান্তে ভেঙে পড়েন। এমনকি, সমাজমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে তাঁরা দুঃখপ্রকাশ করেন।
সব্যসাচী নিজে এখন ফোন থেকে দূরে থাকা পছন্দ করেন। তাঁর অবসরকে ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধার পরেও বিষয়টা নিয়ে খুব একটা প্রতিক্রিয়া দেননি তিনি। ইদানীং তাঁর বক্তব্যে বার বার একটি কথার উপরে অভিনেতাকে জোর দিতে দেখা যায়। তিনি নাকি ক্লান্ত! সব্যসাচী বললেন, ‘‘হ্যাঁ, আমি ক্লান্ত। দু’বার করোনায় আক্রান্ত হয়ে খুবই কাহিল হয়ে পড়েছি।’’ তিনি কি সত্যিই অভিনয় থেকে অবসর গ্রহণ করতে চাইছেন? মঙ্গলবার সত্যজিৎ রায়ের জন্মদিনে তাঁর পুত্র সন্দীপ রায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন তাঁরই পর্দার ফেলুদা সব্যসাচী।সেখানেই আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেতা বললেন, ‘‘মোটেই নয়। দেখুন, বয়সও বাড়ছে। তাই আপাতত একটু বিরতি নিয়েছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে আর কোনও দিন অভিনয় করব না।’’
জানুয়ারি মাসে ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসাবে যোগ দেন সব্যসাচী। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমকে তিনি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘আমি আর অভিনয় করতে চাই না। আমার বয়স হয়েছে। এখন নতুনদের জন্য আমার জায়গা ছেড়ে দেওয়া উচিত।’’ এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবার সব্যসাচী আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, ‘‘আমার পরের ছবি নিয়ে লাগাতার প্রশ্ন করা হচ্ছিল। জানি না বলায় প্রশ্ন এল, আমি অবসর নিচ্ছি কি না। আমিও বললাম, তা হলে তাই। আসলে তাঁদের প্রশ্নে একটু বিরক্ত হয়েই আমি ও রকম উত্তর দিই। আমার বক্তব্যের ভুল ব্যখ্যা করা হয়েছে।’’ এরই সঙ্গে সব্যসাচী ব্যাখ্যা করলেন, ‘‘মেনে নিচ্ছি আমি কাজ কমিয়েছি। কিন্তু তার মানে এই নয় যে, অবসর নিয়েছি। ধরা যাক, আমাকে চা দেওয়ার পর বললাম যে এখন চা খাব না। তার মানে কি আমি চা খাওয়া ছেড়ে দিলাম?’’