অভিনেতা কাদের খান।—ফাইল চিত্র।
গুরুতর অসুস্থ অভিনেতা কাদের খান। ছেলে সরফরাজ ও পুত্রবধূ সহিস্তার সঙ্গে এই মুহূর্তে কানাডায় রয়েছেন তিনি। সেখানেই আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন। শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন। তড়িঘড়ি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। প্রথমে জেনারেল ভেন্টিলেটরে। তবে পরিস্থিতির অবনতি হলে বিশেষ বাইলেভেল পজিটিভ এয়ারওয়ে প্রেসার ভেন্টিলেটরে স্থানান্তরিত করা হয় তাঁকে, যেখানে টিউবের বদলে মুখে মাস্ক পরিয়ে শরীরে অক্সিজেন দেওয়া হয়। সেখানে চিকিত্সকদের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। তবে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক। সজ্ঞানে থাকলেও কথা বলা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দেখা দিয়েছে নিউমোনিয়ার লক্ষণও।
এমনিতেই প্রগ্রেসিভ সুপ্রানিউক্লিয়ার পলসিতে (পিএসপি) আক্রান্ত কাদের খান। এটি এক ধরনের স্নায়ুঘটিত রোগ। যাতে অঙ্গপ্রত্যঙ্গ নাড়াচাড়ার ক্ষমতা একেবারেই হারিয়ে যায়। প্রভাব পড়ে হাঁটাচলাতেও। এ ছাড়াও, কথা বলা, খাবার গলাধঃকরণ, দৃষ্টিশক্তি এবং চিন্তাভাবনার ক্ষমতা লোপ পায়। এ বছর ৮১ বছরে পা রেখেছেন কাদের খান। ৬০-এর পর সাধারণত এই রোগের সূত্রপাত হয়। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই এই রোগে আক্রান্ত তিনি। তার জেরেই পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
কিছুদিন আগেই হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হয়েছিল প্রবীণ এই অভিনেতার। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে সে কথা জানিয়েছেন তাঁর ছেলে সরফরাজ। তবে অস্ত্রোপচার সফল হলেও, শারীরিক দুর্বলতা তো বটেই, থাকায় হাঁটাচলার ক্ষমতা একেবারে হারিয়ে ফেলেন কাদের খান।
আরও পড়ুন: তেগ, জ়ৈন, আদ্যা ভবিষ্যতে বলিউড মাতাবে কি এরাই?
আরও পড়ুন: ‘অভিমান’-এর ছায়া, তিয়াশা-সুবানের সম্পর্কে ফাটল?
১৯৭৩ সালে ‘দাগ’ ছবির মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন কাদের খান। দীর্ঘ চার দশকেরও বেশি সময় ধরে ৩০০-রও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে পরিচালক, চিত্রনাট্যকারের ভূমিকাও পালন করেছেন। তাঁর অভিনীত জনপ্রিয় ছবিগুলির মধ্যে কয়েকটি হল, ‘মুঝসে শাদি করোগি’, ‘আখিঁয়ো সে গোলি মারে’, ‘জোরু কা গুলাম, ‘হাসিনা মান জায়েগি’ এবং ‘জুড়বা’।