বিয়ে স্থির হয়েছিল অভিনেত্রী বৈশালী ঠক্করের। —ফাইল চিত্র।
অক্টোবরেই নাকি বিয়ে স্থির হয়েছিল অভিনেত্রী বৈশালী ঠক্করের। তবে প্রাক্তন প্রেমিক রাহুল নবলানীর ‘ভাঙানিতেই’ নাকি তা ভেঙে গিয়েছিল। সে কারণেই কি ওই শুভদিনের পাঁচ দিন আগে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন বৈশালী? টেলি-দুনিয়ার জনপ্রিয় মুখের অকালমৃত্যুর পর উঠছে নতুন প্রশ্ন।
সংবাদমাধ্যমের একটি প্রতিবেদনে দাবি, ২০ অক্টোবর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল বৈশালীর। তার রেজিস্ট্রেশনের জন্য সেপ্টেম্বরের ২০ তারিখ ইনদওরের জেলাশাসকের অফিসে আবেদনও করেছিলেন তিনি। যদিও সে শুভদিন আর আসেনি!
১৫ অক্টোবর ইনদওরে নিজের বাড়ি থেকে অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোটও। যার পরতে পরতে নানা অভিযোগ রয়েছে পড়শি ব্যবসায়ী তথা বৈশালীর প্রাক্তন রাহুল এবং তাঁর স্ত্রী দিশার বিরুদ্ধে। রাহুলের হাতে মেয়েকে যে নিয়মিত হেনস্থার শিকার হতে হয়েছে, সে দাবিও করেছেন বৈশালীর মা এবং ভাই।
বৈশালীর পাত্র— আমেরিকানিবাসী সফ্টঅয়্যার ইঞ্জিনিয়ার মিতেশকুমার গোর। আদতে আমদাবাদের বাসিন্দা গোরের কাছে সুইসাইড নোটে ক্ষমাপ্রার্থনাও করেছেন বৈশালী। যদিও সেই নোটেই রাহুলের সম্পর্কে অন্য কথা লিখে গিয়েছেন তিনি। লিখেছিলেন, ‘‘শারীরিক এবং মানসিক ভাবে আমাকে শেষ করে দিয়েছে রাহুল। বলেছিল, ‘কিছুতেই আমাকে বিয়ে করতে দেবে না।’ আর ঠিক তা-ই করল।’’
বৈশালীর পরিবারের অভিযোগ, ১৫ অক্টোবর ইনদওরে আসার কথা ছিল হবু জামাই মিতেশ ও তাঁর পরিবারের। তবে তার আগেই মিতেশের সঙ্গো যোগাযোগ করেন রাহুল। এর পরেই বৈশালীর সঙ্গে বিয়ে ভেঙে দেন মিতেশের পরিবারের সদস্যরা। তাতেই কি মন ভেঙে গিয়েছিল বৈশালীর? সে প্রশ্নও উঠছে। এর আগেই নাকি একই ঘটনার সাক্ষী ছিলেন বৈশালী। কেনিয়ানিবাসী এক দন্তচিকিৎসকের সঙ্গে বৈশালীর বিয়ে স্থির হলেও তা নাকি রাহুলের ফুঁসলানিতেই ভেঙে যায়!