অবশেষে পহেলগাঁও নিয়ে মুখ খুললেন বাণী কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
পহেলগাঁওয়ের ঘটনা ত্রস্ত গোটা দেশ। কী ভাবে ভরা দুপুরে এমন কাণ্ড ঘটে গেল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রক্তাক্ত উপত্যকায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ২৬ জনের। জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করেছে লশকর-ই-ত্যায়বা। এর পরেই ফের পাকিস্তানের শিল্পীদের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারির দাবি উঠেছে। ‘আবির গুলাল’ নামে বলিউডের একটি ছবিতে অভিনয় করেছেন পাক অভিনেতা ফওয়াদ খান। বিপরীতে রয়েছেন বাণী কপূর। সেই ছবিকে নিষিদ্ধ তকমা দেওয়ার দাবি উঠেছে পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পরেই। এমনকি বাণী কপূরকেও বয়কট করার দাবি উঠেছে। এর মধ্যেই মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী।
সমাজমাধ্যমে বাণী লিখেছেন, “পহেলগাঁওয়ে নিরীহ মানুষদের উপর হামলার খবর শোনার পর থেকে আমি আর কথা খুঁজে পাচ্ছি না। আমি স্তম্ভিত, বিধ্বস্ত। নিহতদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করছি।”
বলিউডে ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ ছবিতে শেষ বার অভিনয় করেছিলেন ফওয়াদ। ভারতে তাঁর অনুরাগীর সংখ্যাও অনেক। কিন্তু ২০১৬ সালে উরির সেনাঘাঁটিতে জঙ্গি হামলার পর থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি হয় পাক শিল্পীদের উপর। তার পর থেকে আর বলিউডের ছবিতে কাজ করেননি ফওয়াদ। অবশেষে সেই জট কাটে এবং বাণীর সঙ্গে ‘আবির গুলাল’ ছবিতে জুটি বাঁধেন তিনি।
পহেলগাঁওয়ের ঘটনার পরেই তাই ‘আবির গুলাল’ ছবির জন্য বাণীর দিকেও ধেয়ে আসে কটাক্ষ। এক নিন্দক তাঁকে কটাক্ষ করে বলেন, “মানুষের সমাধিস্থলের উপর যাঁরা নৃত্য করেন, তাঁদের দেখে লজ্জা লাগে।” আর একজন ক্ষোভ উগরে দিয়ে লেখেন, “আপনি আমাদের দেশকে ঠকিয়েছেন। এর পরেও পাকিস্তানি অভিনেতার ছবি আমরা দেখব না।”