রাধিকা এবং নওয়াজ। ছবি: ইউটিউবের সৌজন্যে।
দশরথ মাঁজি যখন জীবিত ছিলেন, রাজনৈতিক দলগুলো থেকে সরকার, সমাজ থেকে প্রশাসন, সর্বস্তরে শুধু বিরোধিতাই শুধু পেয়েছিলেন। মৃত দশরথকে নিয়ে দাক্ষিণ্যের প্রতিযোগিতা চলছে রাজনৈতিক দল এবং সরকারগুলির মধ্যে। দলিত ভোট বড় বালাই!
পথ দেখিয়েছিলেন নীতীশ কুমার। দিন কয়েক আগে নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি অভিনীত দশরথ মাঁজির বায়োপিককে বিহারে করমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এ বার তাঁর দেখানো পথেই ‘মাঁজি দ্য মাউন্টেন ম্যান’কে করমুক্ত ঘোষণা করল উত্তরাখণ্ড সরকার। উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশেও ছবিটিকে করমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
রাস্তা না থাকায় পৌঁছনো যায়নি হাসপাতালে। চোখের সামনে তিলে তিলে মরতে দেখেছেন স্ত্রীকে। তাই আস্ত একটি পাহাড় কেটে একাই একটি রাস্তা বানিয়ে ফেলেছিলেন দশরথ মাঁজি। তবে এক দু’দিন নয় টানা ২২ বছর ধরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে রাস্তা বানিয়েছিলেন তিনি। বিহারের এক প্রত্যন্ত গ্রামের এই মহাদলিতের কাহিনি সেলুলয়েডে তুলে ধরেছেন নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকি। শুক্রবারই মুক্তি পেয়েছে কেতন মেহেতা পরিচালিত ছবিটি। যা ইতিমধ্যেই দর্শকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে। নওয়াজের মধ্যে দিয়েই সিনে পর্দায় বেঁচে থাকবেন ‘মাউন্টেন ম্যান’ দশরথ মাঁজি।